Guess the Celebrity: দেহব্যবসা করেই...! স্নানঘরে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা বের হতেই সিক্রেট ফাঁস নায়িকার, অকালে জীবনটাই শেষ!

গত কয়েক বছরে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক চমকপ্রদ প্রকাশ ঘটেছে। ইডি থেকে এনসিবি-র টার্গেট ছিল বলিউড। বিশেষ করে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর। আয়কর কর্মকর্তারাও সময়ে সময়ে অভিযান চালিয়েছেন বিভিন্ন তারকার বাড়িতে।

এতে কয়েকজন তারকা ধরা পড়লেও অনেকে আবার বেঁচে যান। আজ এমন একজন অভিনেত্রীর জীবনের কথা জানবেন যিনি ১২০-টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এই অভিনেত্রী বলিউডে ২০ বছর রাজত্ব করেছেন এবং একটানা ৪০বছর কাজ করছেন। তিনি হলেন একসময়কার ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ অভিনেত্রী মালা সিনহা৷ তাঁর জীবনকাহিনি শুনলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে আপনারও৷

অভিনেত্রী মালা সিনহা গুরু দত্ত, অশোক কুমার, দিলীপ কুমার, রাজকুমার, মনোজ কুমার, রাজেশ খান্না থেকে অমিতাভ বচ্চনের মতো বড় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং অনেক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন।

কথিত আছে যে একজন শীর্ষ অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত কৃপণ । লাখ লাখ কোটি টাকা আয় করা নায়িকা নিজেই সমস্ত ঘরের কাজ করতেন। অর্থ অপচয় এড়াতে চাকরও রাখতেন না৷

ছয়ের দশকের সুপারহিট অভিনেত্রীর উত্থানটা ছিল উল্কাগতির মতো৷ কিন্তু একটা ভুলেই শেষ হয়ে যায় তাঁর কেরিয়ার৷ সুপারহিট ছবির নায়িকার কেলেঙ্কারি ফাঁস হতেই শিউরে ওঠে সমস্ত ভক্তরা৷

সালটা ১৯৭৮৷ মালা সিনহার কেরিয়ার তখন মধ্যগগণে। আচমকা একদিন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা মালা সিনহার বাড়িতে হানা দেন। অভিযান চালানোর পর চক্ষু চড়কগাছ হয় সকলের৷ অভিনেত্রীর বাথরুমের দেওয়াল থেকে ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। যা বিরাট শোরগোল ফেলে দেয় ইন্ডাস্ট্রিতে৷

এই খবর জানাজানি হতেই শুরু হয় অভিনেত্রীকে নিয়ে নানান চর্চা৷ এই ঘটনার রেশ পৌঁছেছিল আদালত পর্যন্ত৷ সূত্রের খবর, আদালতে দাঁড়িয়ে মালা সিনহা বলেছিলেন এই টাকা তিনি দেহব্যবসা করে জমিয়েছেন৷ অভিনেত্রীর এই একটা কথাই তাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়৷

শোনা যায়, মালা সিনহাকে তার বাবা ও আইনজীবী পতিতাবৃত্তি করার মিথ্যা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ মালা সিনহাও নাকি তার বাবা ও আইনজীবীর পরামর্শ মেনে চলেন। মালা আদালতে জানিয়েছেন যে তিনি এই টাকা পতিতাবৃত্তির মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে তার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে চলচ্চিত্রের সংখ্যা কমে যায়। বছরে ৫-৬টি ছবি করতেন এই অভিনেত্রী।