Tollywood|| মিমি-'মিনি' বন্ধুত্ব! মৈনাক ভৌমিকের নতুন ছবির ট্রেলর মুক্তিতে চাঁদের হাট

*'মিনি' নিয়ে চর্চা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। নারীকেন্দ্রিক ছবি। তার ওপর একেবারে অন্য রূপে সাংসদ অভিনেত্রী। অপেক্ষার অবসান। মুক্তি পেল 'মিনি'র ট্রেলর। প্রতিবেদন: অরুনিমা দে।

*এই ছবি অসময় বন্ধুত্বের গল্প, তা আগেই জানা গিয়েছিল। প্রথম ঝলক দেখে বোঝা গেল, এই ছবি আসলে মাসি-বোনঝির রসায়নের গল্প। তাও আবার যে-সে মাসি নয়, একেবারে আধুনিকা মাসি।

*মাসির ভূমিকায় অভিনয় করছেন মিমি চক্রবর্তী। তাঁর বোনঝির চরিত্রে দেখা যাবে অয়ন্না চট্টোপাধ্যায়কে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মৈনাক ভৌমিক।

*অভিনেত্রী সম্পূর্ণা লাহিড়ী ও রাহুল ভঞ্জর প্রযোজনা সংস্থার ছবি 'মিনি'। সম্প্রতি হয়ে গেল এই ছবির ট্রেলর লঞ্চের অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা, পরিচালক ও কলা কুশলীরা।

*'মিনি'- ছবিতে সুন্দর বন্ধুত্ব দেখানো হয়েছে। বন্ধুত্ব সমবয়সীদের মধ্যেই হয়, এমনটাও সব সময় জরুরি নয়, সে কথাও বলে এই ছবি। আধুনিক সমাজের সমস্যা, বাচ্চাদের একাকীত্ব, এই সবকিছুর ঝলক রয়েছে 'মিনি'-তে।

*তরুণী তিতলি ও ছোট্ট 'মিনি'-র বন্ধুত্বের গল্প বলে এই ছবি। মাসি ও বোনঝি বয়সের বাধা ভেঙে কীভাবে একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে এই বিষয় ধরেই এগিয়েছে গল্প।

*'মিনি' জেদি, অদূরে, দুস্টু, কারো কথা শোনে না। তিতলি প্রাকটিক্যাল। দুজনের মিল একটাই দুজনেই সে অর্থে পারফেক্ট নয়। অনস্ক্রিন মাসি-বোনঝির অফস্ক্রিন রসায়নও যে বেশ ভাল, তা বোঝা গেল ট্রেলর লঞ্চের অনুষ্ঠানে।

*মৈনাক ভৌমিকের পরিচালনায় কাজ করলেন মিমি চক্রবর্তী। মৈনাকের লেখা চিত্রনাট্যে অভিনয় করলেও, তাঁর পরিচালনায় এই প্রথম কাজ করলেন মিমি।

*নায়িকার কথায়, ‘‘মৈনাকের সঙ্গে কাজ করতে আমি খুবই উৎসাহী। 'ক্রিসক্রস' ছবির সময় ওঁর সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছিল। ছবির চিত্রনাট্য মৈনাকের লেখা। সেই সুবাদেই কথা হয়। প্রথম লকডাউনে মৈনাক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গোটা লকডাউনে এই একটাই ভাল জিনিস হয়েছে আমার সঙ্গে। আমাকে 'মিনি'  ছবির কথা বলে মৈনাক। পুরো চিত্রনাট্য শোনায়নি। একটা আইডিয়া দেয়। আমার চরিত্রটা খুব পছন্দ হয়েছিল। শ্যুটিং-এর সময় আরও ভাল ভাবে বুঝতে পারলাম। একদম এই প্রজন্মের একটি মেয়ের গল্প। তবে সে শেকড় ভোলেনি। মেয়েটি আত্মনির্ভর কিন্তু পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ ওর কাছে। সমস্ত সম্পর্ককে দাম দেয় এই মেয়েটি। গল্পটা দারুণ। মৈনাক খুবই কুল থাকে সেটে, খুব মজা করে শ্যুট করছি।’’

*মৈনাকের কথায়, ‘‘অবশেষে আমি আর মিমি একসঙ্গে কাজ করলাম। এই ছবির বিষয়টা বোঝার জন্য একটা ম্যাচিয়োরিটির দরকার আছে। মিমির মধ্যে সেটা ভরপুর। এই ছবির গল্পে মজা, আনন্দ, দুঃখ, বিরহ সমস্ত অনুভূতি রয়েছে।’’

*মিমি মাসি হিসেবে কতটা নম্বর পেলেন সেই উত্তর মিলবে ছবির মুক্তিতে অর্থাৎ, ৬ মে।