অনেকে তাঁকে বলত খামখেয়ালি। কেউ বলত, নিজের মেজাজে চলেন। কিশোর কুমারের মনে কখন কী চলত, বোঝা মুশকিল ছিল। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী। কোটি কোটি মানুষের মনে তিনি আজও অমর। তাঁর গান, তাঁর গায়েকি, চালচলন, জীবন-যাপন, মেজাজ, এসব নিয়ে বলতে বসলে রাত পেরিয়ে যাবে। তিনি কিংবদন্তি। গানের জগতে তিনি অমর, অক্ষয় ধ্রুবতারা।
স্বপ্নে যেমন দেখতেন, ঠিক তেমনই একখানা বাড়ি বানাতে চেয়েছিলেন কিশোর কুমার। সেই বাড়ির প্রতিটা ঘর ভরা থাকবে জলে। আর তাঁর শোওয়ার ঘরের খাটের সামনে থাকবে একটা নৌকা। সেই নৌকায় চেপে তিনি যাবেন ডাউনিং রুমে। এমন বাড়ি বানানোর জন্য নাকি কিশোর কুমার একজন আর্কিটেক্ট-এর খোঁজও করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ তা আর হয়ে ওঠেনি।
কিশোর কুমার হইতে সাবধান। এমনই লেখা একটি বোর্ড টাঙানো ছিল তাঁর বাড়ির সামনে। একবার চলচিত্র পরিচালক এইচএস রাওয়াল এসেছিলেন কিশোর কুমারের বাড়িতে। কথাবার্তার পর রাওয়াল যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন তাঁর হাত কামড়ে দেন কিশোর কুমার। রাওয়াল কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ির বাইরে টাঙানো বোর্ড দেখে আসা উচিত ছিল তাঁর।