লস অ্যাঞ্জেলসে দুর্ধর্ষ এক ফার্ম হাউজ বানিয়েছেন হলিউডের তারকা দম্পতি অ্যাস্টন কুচার এবং মিলা কুনিস, অন্দরে একবার ঢুঁ মারলে জুড়োবে চোখ আর মন

Last Updated:
Inside Ashton Kutcher And Mila Kunis’s Farmhouse: হলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অ্যাস্টন কুচার এবং মিলা কুনিস। লস অ্যাঞ্জেলসে পাহাড়ের চূড়ায় চোখধাঁধানো একটি বাড়ি রয়েছে তাঁদের। আর সেই বাড়িতে কোথাও যেন সেই বেভার্লি হিলস-এর ছোঁয়াও রয়েছে। আসলে ওই জনপ্রিয় টিভি সিরিজের ক্ল্যাম্পেট পরিবারের মতোই ওই তারকা জুটিও নিজেদের বাড়িতে নিজেরাই কুয়ো তৈরি করেছেন।
1/6
হলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অ্যাস্টন কুচার এবং মিলা কুনিস। লস অ্যাঞ্জেলসে পাহাড়ের চূড়ায় চোখধাঁধানো একটি বাড়ি রয়েছে তাঁদের। আর সেই বাড়িতে কোথাও যেন সেই বেভার্লি হিলস-এর ছোঁয়াও রয়েছে। আসলে ওই জনপ্রিয় টিভি সিরিজের ক্ল্যাম্পেট পরিবারের মতোই ওই তারকা জুটিও নিজেদের বাড়িতে নিজেরাই কুয়ো তৈরি করেছেন। এমনকী লকডাউন চলাকালীন একটি ভুট্টার ক্ষেতও বানিয়েছিলেন। আর মজার বিষয় হল, সেটির নাম দিয়েছেন কুকু ফার্মস। তবে ওই পরিবারটি বেভার্লি হিলের রাজকীয়তা এবং জাঁকজমকের দিকে ঝুঁকলেও কুচার আর কুনিস জুটি কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো পথেই হেঁটেছেন। (Photo Courtesy: Douglas Friedman)
হলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অ্যাস্টন কুচার এবং মিলা কুনিস। লস অ্যাঞ্জেলসে পাহাড়ের চূড়ায় চোখধাঁধানো একটি বাড়ি রয়েছে তাঁদের। আর সেই বাড়িতে কোথাও যেন সেই বেভার্লি হিলস-এর ছোঁয়াও রয়েছে। আসলে ওই জনপ্রিয় টিভি সিরিজের ক্ল্যাম্পেট পরিবারের মতোই ওই তারকা জুটিও নিজেদের বাড়িতে নিজেরাই কুয়ো তৈরি করেছেন। এমনকী লকডাউন চলাকালীন একটি ভুট্টার ক্ষেতও বানিয়েছিলেন। আর মজার বিষয় হল, সেটির নাম দিয়েছেন কুকু ফার্মস। তবে ওই পরিবারটি বেভার্লি হিলের রাজকীয়তা এবং জাঁকজমকের দিকে ঝুঁকলেও কুচার আর কুনিস জুটি কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো পথেই হেঁটেছেন। (Photo Courtesy: Douglas Friedman)
advertisement
2/6
নিজেদের সেই ছয় একর বিস্তৃত সম্পত্তির বিষয়ে কুনিসের বক্তব্য, “আমরা একটা বাড়ি চেয়েছিলাম, কোনও এস্টেট নয়।” আর সেটা সাকারও করেছেন তাঁরা। ফলে ছয় একর জমি জুড়ে রয়েছে তাঁদের বসবাসের একটি বাড়ি, গেস্টহাউজ তথা এন্টারটেনমেন্ট বার্ন এবং একটি আলাদা করে রাখা বার্বিকিউ প্যাভিলিয়ন। এই প্রসঙ্গে কুচার বলেন, “এটি পুরনো শস্যের একটা গোলাঘরের দেখতে থাকুক, এটাই চেয়েছিলাম। আর সেটিকেই আমরা বাড়ির রূপ দিয়েছি। তবে আধুনিকতা এবং সমসাময়িক ব্যাপারটাও এখানে রয়েছে।”
নিজেদের সেই ছয় একর বিস্তৃত সম্পত্তির বিষয়ে কুনিসের বক্তব্য, “আমরা একটা বাড়ি চেয়েছিলাম, কোনও এস্টেট নয়।” আর সেটা সাকারও করেছেন তাঁরা। ফলে ছয় একর জমি জুড়ে রয়েছে তাঁদের বসবাসের একটি বাড়ি, গেস্টহাউজ তথা এন্টারটেনমেন্ট বার্ন এবং একটি আলাদা করে রাখা বার্বিকিউ প্যাভিলিয়ন। এই প্রসঙ্গে কুচার বলেন, “এটি পুরনো শস্যের একটা গোলাঘরের দেখতে থাকুক, এটাই চেয়েছিলাম। আর সেটিকেই আমরা বাড়ির রূপ দিয়েছি। তবে আধুনিকতা এবং সমসাময়িক ব্যাপারটাও এখানে রয়েছে।”
advertisement
3/6
কুকু ফার্মস তৈরি: Backen & Gillam-এর বিখ্যাত স্থপতি হওয়ার্ড ব্যাকেনই রয়েছেন এই বাড়িটি বানানোর পিছনে। এমনিতে ফার্মহাউজকে একটি অন্যরকম রূপদান করার জন্যই পরিচিত তিনি। গ্রাম্য বিষয়টাকে খুব সরল, ছিমছাম এবং সতেজ ভাবে তুলে ধরার ক্ষমতাও রয়েছে তাঁর মধ্যে। কুকু ফার্মে তিনি ব্যবহার করেছেন রিক্লেমড উড বা তক্তার মতো পুরনো কাঠ, বোর্ড-ফর্মড কংক্রিট এবং প্রচুর কাচ। এক্ষেত্রে কিন্তু পাশে ছিলেন অ্যাস্টনও। ব্যাকেনের বক্তব্য, “সবথেকে কৌতূহলী গ্রাহকদের মধ্যে অন্যতম হলেন অ্যাস্টন আর মিলা। আর গোটা বিষয়টাতে ওঁরাও অংশগ্রহণ করেছিলান। বিমের মাপ, ক্রস ব্রেসিং-সহ নানা বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা চলত। যেটা সকলের সঙ্গে হয় না।” (Photo Courtesy: Douglas Friedman)
কুকু ফার্মস তৈরি: Backen & Gillam-এর বিখ্যাত স্থপতি হওয়ার্ড ব্যাকেনই রয়েছেন এই বাড়িটি বানানোর পিছনে। এমনিতে ফার্মহাউজকে একটি অন্যরকম রূপদান করার জন্যই পরিচিত তিনি। গ্রাম্য বিষয়টাকে খুব সরল, ছিমছাম এবং সতেজ ভাবে তুলে ধরার ক্ষমতাও রয়েছে তাঁর মধ্যে। কুকু ফার্মে তিনি ব্যবহার করেছেন রিক্লেমড উড বা তক্তার মতো পুরনো কাঠ, বোর্ড-ফর্মড কংক্রিট এবং প্রচুর কাচ। এক্ষেত্রে কিন্তু পাশে ছিলেন অ্যাস্টনও। ব্যাকেনের বক্তব্য, “সবথেকে কৌতূহলী গ্রাহকদের মধ্যে অন্যতম হলেন অ্যাস্টন আর মিলা। আর গোটা বিষয়টাতে ওঁরাও অংশগ্রহণ করেছিলান। বিমের মাপ, ক্রস ব্রেসিং-সহ নানা বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা চলত। যেটা সকলের সঙ্গে হয় না।” (Photo Courtesy: Douglas Friedman)
advertisement
4/6
ডিজাইনের পিছনে ব্যক্তিত্ব এবং উদ্দেশ্য: অ্যাস্টন-মিলার এই নয়নাভিরাম বাড়ির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সাস্টেনেবিলিটি। তাঁদের বাড়িটিতে রয়েছে শুধুই সৌর শক্তি। যার প্যানেলগুলি একটি লম্বা বারান্দার উপরের অংশে ঢাকা অবস্থায় রয়েছে। ব্যাকেনের ব্যাখ্যা, “আসলে ওঁরা মাটির স্বাস্থ্য, পরিশ্রুত জল এবং রিজেনারেটিভ ফার্মিংয়ের উপরেই জোর দিয়েছেন। এটা কোনও তত্ত্ব নয়, বরং তাঁদের থাকার ধরন।”
ডিজাইনের পিছনে ব্যক্তিত্ব এবং উদ্দেশ্য: অ্যাস্টন-মিলার এই নয়নাভিরাম বাড়ির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সাস্টেনেবিলিটি। তাঁদের বাড়িটিতে রয়েছে শুধুই সৌর শক্তি। যার প্যানেলগুলি একটি লম্বা বারান্দার উপরের অংশে ঢাকা অবস্থায় রয়েছে। ব্যাকেনের ব্যাখ্যা, “আসলে ওঁরা মাটির স্বাস্থ্য, পরিশ্রুত জল এবং রিজেনারেটিভ ফার্মিংয়ের উপরেই জোর দিয়েছেন। এটা কোনও তত্ত্ব নয়, বরং তাঁদের থাকার ধরন।”
advertisement
5/6
অন্দরসজ্জার জন্য ওই তারকা দম্পতি দায়িত্ব দিয়েছিলেন AD100 ডিজাইনার ভিকি চার্লসের উপর। যিনি আগে Soho House-এর হেড অফ ডিজাইন ছিলেন। আর সেই Soho House-এর ভক্ত কুচার এবং কুনিস। তাঁরা দু’জনেই তাঁদের পুরনো বাড়ির আসবাবপত্র এই নতুন বাড়িতে রাখতে চেয়েছিলেন। যেমন- সেই তালিকায় ছিল ভারত থেকে কুচারের নিয়ে যাওয়া বিশাল মাপের রুপোর সিংহাসন-রূপী দু’টি চেয়ার এবং একটি বিশাল ক্রিস্টাল ঝাড়বাতি। শস্য গোলার মতো এন্টারটেনমেন্ট প্যাভেলিয়নে ঝুলিয়েছেন সেই রাজকীয় ঝাড়বাতি। আর প্রাথমিক স্নানাগারে রেখেছেন সিংহাসনের মতো সেই চেয়ার দু’টিকে। মজা করে কুনিস বলেন, “একটা শস্যের গোলায় গ্ল্যামারাস জিনিস। সত্যিই এটা পাগলামি। যখনই দেখি, তখনই আমরা হেসে ফেলি।”
অন্দরসজ্জার জন্য ওই তারকা দম্পতি দায়িত্ব দিয়েছিলেন AD100 ডিজাইনার ভিকি চার্লসের উপর। যিনি আগে Soho House-এর হেড অফ ডিজাইন ছিলেন। আর সেই Soho House-এর ভক্ত কুচার এবং কুনিস। তাঁরা দু’জনেই তাঁদের পুরনো বাড়ির আসবাবপত্র এই নতুন বাড়িতে রাখতে চেয়েছিলেন। যেমন- সেই তালিকায় ছিল ভারত থেকে কুচারের নিয়ে যাওয়া বিশাল মাপের রুপোর সিংহাসন-রূপী দু’টি চেয়ার এবং একটি বিশাল ক্রিস্টাল ঝাড়বাতি। শস্য গোলার মতো এন্টারটেনমেন্ট প্যাভেলিয়নে ঝুলিয়েছেন সেই রাজকীয় ঝাড়বাতি। আর প্রাথমিক স্নানাগারে রেখেছেন সিংহাসনের মতো সেই চেয়ার দু’টিকে। মজা করে কুনিস বলেন, “একটা শস্যের গোলায় গ্ল্যামারাস জিনিস। সত্যিই এটা পাগলামি। যখনই দেখি, তখনই আমরা হেসে ফেলি।”
advertisement
6/6
ঘরের অনুভূতি: কুচারের বক্তব্য, “ঘরে শান্তির বাতাবরণ আনতে সব কিছু সাজানো-গোছানো অবস্থায় নিজস্ব জায়গায় থাকা উচিত। যদি আমার আশপাশের পরিবেশ বিশৃঙ্খল হয়, তাহলে মনটাতেও বিশৃঙ্খলাই বিরাজ করবে। তাই আমরা যখনই এখানে থাকি, আমাদের পৃথিবীটাই যেন সুন্দর হয়ে যায়।”
ঘরের অনুভূতি: কুচারের বক্তব্য, “ঘরে শান্তির বাতাবরণ আনতে সব কিছু সাজানো-গোছানো অবস্থায় নিজস্ব জায়গায় থাকা উচিত। যদি আমার আশপাশের পরিবেশ বিশৃঙ্খল হয়, তাহলে মনটাতেও বিশৃঙ্খলাই বিরাজ করবে। তাই আমরা যখনই এখানে থাকি, আমাদের পৃথিবীটাই যেন সুন্দর হয়ে যায়।”
advertisement
advertisement
advertisement