হেমার সঙ্গে অন্তরঙ্গ প্রেমের দৃশ্য করতে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ; এ নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া বলিউডের ড্রিম গার্লের?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
১৯৮৮ সালে তিনি ‘রিহাই’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল নাসিরুদ্দিন শাহ এবং বিনোদ খান্নাকে।
advertisement
অরুণা রাজে পরিচালিত ছবিটি সেই সময়ে সাহসী তকমা অর্জন করেছিল। ‘রিহাই’ ছবির গল্পে প্রতিফলিত হয়েছিল প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের জীবনকাহিনি। স্বামীরা কাজের সূত্রে শহরে থাকেন। ফলে গ্রামে নিজেদের মতো করেই জীবনযাপন করেন তাঁরা। আসলে এই ছবিতে মহিলাদের যৌনতা এবং সমাজের দ্বিচারিতার বিষয়টি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন পরিচালক। এমনকী পুরুষরা নিজেদের চাহিদা মেটাতে যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন, অথচ নারীদের পবিত্র থাকা আবশ্যক।
advertisement
এই বিষয়টিকেই চ্যালেঞ্জ করেছিল ‘রিহাই’। কেন এই ছবি করতে রাজি হয়েছিলেন, গত বছর ভারতী এস প্রধানের সঙ্গে এক বিশেষ আলাপচারিতায় সেই বিষয়টাই তুলে ধরেছিলেন হেমা মালিনী। এমনকী, মহিলা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার জন্যই হ্যাঁ বলেছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, “ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন অরুণা রাজে। আর গল্পটাও আমার বেশ ভাল লেগেছিল। আর ওই সময় আমি ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছিলাম। যেমন - প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে। খুবই ভাল লেগেছিল। গল্পটাও খুব মিষ্টি অথচ সাহসী ছিল। আর সব ধরনের চরিত্রই তো করা উচিত, তাই না? একজন অভিনেতা হিসেবে আমার মনে হয়, নিজেকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য যে কোনও কিছুই করা উচিত।”
advertisement
ছবিটির শ্যুটিংয়ের স্মৃতি হাতড়ে হেমা বলেন যে, “ছবিটি খুব সুন্দর এবং ভদ্র ভাবেই তৈরি হয়েছি।” এরপর সঞ্চালিকা ভারতী প্রধান ওই ছবির একটি অন্তরঙ্গ প্রেমের দৃশ্যের বিষয়ে কথা বলেন। যেখানে নাসিরুদ্দিন শাহ ছিলেন। তিনি হেমা মালিনীর সঙ্গে ওই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে বেশ ভয় পাচ্ছিলেন। এই কথা শুনে হেসে ওঠেন বলিউডের স্বপ্নসুন্দরী। তিনি বলেন, “এতটাই যদি ভয় লাগে, তাহলে সেটা তো ভালই। তাই না?”
advertisement
ওই একই সাক্ষাৎকারে ‘বাগবান’ ছবির প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে, মায়ের জোরাজুরিতেই ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “আমার মনে আছে, পরিচালক রবি চোপড়া আমাকে গল্পটি শোনাচ্ছিলেন। আমার মা-ও আমার সঙ্গেই ছিলেন। পরিচালক বেরিয়ে যাওযার পরে আমি বলেছিলাম, ‘এত বড় বড় চারটে ছেলের মায়ের চরিত্র করতে তো বলছেন। কিন্তু আমি কীভাবে সেটা করব’? তখন মা বলেছিলেন, ‘না, না। তোমার এটা করা উচিত। গল্পটা সত্যিই খুব ভাল’।”