‘বলিউড-কাপল’ বলতে কাদের কথা মনে পড়ে? দীপিকা পাড়ুকোন-রণবীর সিং, ভিকি কৌশল-ক্যাটরিনা কাইফ, রণবীর কাপু-আলিয়া ভাট, সইফ আলি খান-করিনা কাপুর খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন-অভিষেক বচ্চন প্রমুখ। আগের প্রজন্মে ছিলেন ঋষি কাপুর-নিতু কাপুর, ববিতা-রণধীর কাপুর, ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী, জয়া বচ্চন-অমিতাভ বচ্চনরা। ছক ভাঙা দম্পতিদের মধ্যে অন্যতম মনসুর আলি খান পতৌদি-শর্মিলা ঠাকুর, বিরাট কোহলি-অনুষ্কা শর্মারা। সকলেই বেশ গ্ল্যামারাস। সুন্দরী নায়িকারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন রিল লাইফের নায়কদের। কিন্তু ব্যতিক্রম সব কিছুরই রয়েছে। অনেক সময়ই সুন্দরী অভিনেত্রীরা নায়কের বাইরে ছবির সঙ্গে যুক্ত কাউকে বেছে নেন স্বামী হিসেবে। যেমন শ্রীদেবী-বনি কাপুর। অথবা মাধুরী দীক্ষিত নেনে, জুহি চাওলার মতো নায়িকা, যাঁরা একেবারে অন্য পেশার মানুষকে বেছেছেন। তাঁরা একেবারেই গ্ল্যামার দুনিয়ায় বিচরণ করতে পছন্দ করেন না।
এমন অনেক সুন্দরী নায়িকা রয়েছেন, যাঁদের জীবনসঙ্গীর চেহারা ততটা গ্ল্যামারাস নয়। কিন্তু তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সুখী জীবন কাটাচ্ছেন বা অনেকগুলো দিন কাটিয়েছেন। আসলে ভালবাসা বাহ্যিক সৌন্দর্যের উপর নির্ভর করে না। এমন কিছু দম্পতির কথা জেনে নেওয়া যাক, যাঁদের চেহারায় গ্ল্যামারগত সাদৃশ্য না থাকলেও তাঁরা জুটি বেঁধেছিলেন।
ভূমিকা চাওলা-ভারত ঠাকুর: সলমন খানের ছবি 'তেরে নাম' দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় ভূমিকা চাওলার। কিন্তু বক্স অফিস হিট তেরে নামের পর হিন্দি ছবিতে তাঁর কেরিয়ার খুব একটা এগোয়নি। তবে দক্ষিণী নায়িকার জীবনে গ্ল্যামারের অভাব হয়নি। দক্ষিণী চলচ্চিত্রে তিনি প্রতিষ্ঠিত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে থাকা একজন মানুষকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন ভূমিকা। ২০০৭ সালে যোগা প্রশিক্ষককে বিয়ে করেন। তাঁর ভরত ঠাকুর। উভয়ের বয়সে ৬ বছরের ফারাক। যোগা প্রশিক্ষক হলেও ভরতের চেহারাতেও গ্ল্যামারের ছোঁয়া কমই।
জুহি চাওলা-জয় মেহতা: ১৯৮৮ সালে 'কয়ামত সে কয়ামত তক' ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন জুহি। প্রথম ছবিতেই নিজের অসাধারণ পরিচিতি তৈরি করে ফেলেন বলিউডের মিষ্টি নায়িকা। তিনি আজও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলেছেন, সঙ্গে চলে ব্যবসায়িক কেরিয়ারও। জুহি ১৯৯৫ সালে একজন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন, তাঁর নাম জয় মেহতা। মাত্র ৬ বছরের ফারাক হলেও জয়কে বেশ খানিকটা বৃদ্ধ মনে হয়। তুলনায় জুহি এত বছর পরও ধরে রেখেছেন তাঁর মিষ্টি হাসিটি।