Bonny Sengupta I Sukhen Das : দিনরাত খেটে টলিপাড়ায় জায়গা তৈরি করেন অনাথ সুখেন দাস, তাঁরই নাতি বনির নাম আজ দুর্নীতিতে

নাম জড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে। হইচই টলিপাড়ায়। অভিযোগ, রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত। এ বিষয়ে অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

কিন্তু জানেন কি, এই বনির দাদুর নামের সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির আবেগ। একের পর এক সুপারহিট ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে বাঙালির মনজয় করেছেন তিনি। তিনি সুখেন দাস।

বাংলা ছবির স্বর্ণযুগে অবদান ছিল সেই মানুষটির। অভিনেতা ও পরিচালক সুখেন দাসের নাতি অধুনা টলি তারকা বনি। ১৯৩৮ সালে জন্ম হয় সুখেন দাসের। মৃত্যু ২০০৪ সালে।

প্রবল অর্থকষ্টে বড় হয়েছেন তিনি। কারণ তাঁর বাবা-মা ছিলেন না। অনাথ সুখেন দাস তার ফলে পড়াশোনা বেশি করতে পারেননি। এক সময়ে অনাথাশ্রম থেকে পালিয়ে গিয়ে এক চিকিৎসকের চেম্বারে আশ্রয় নেন।

স্টুডিও পাড়ায় যাতায়াত করা শুরু করেন। সেই সময়ে পরিচালক দেবনারায়ণ গুপ্তর নজরে আসে এই ছোট্ট ছেলেটি। ছোট বয়সেই অভিনয় জগতে পা রেখেছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মাস্টার সুখেন নামেই পরিচিত ছিলেন। ‘দাসীপুত্র’ ছবিতে প্রথম কাজ। তার পর একাধিক সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ‘মা এক মন্দির’, ‘প্রতিশোধ’, ‘দাদামণি’, ‘ধন্যি মেয়ে’ সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

দু'বার বিয়ে করেছিলেন সুখেন দাস। তাঁর ছেলে রজত দাস অভিনেতা এবং পরিচালক। তাঁর দাদা অজয় দাস বিখ্যাত সুরকার ছিলেন। সুখেন দাসের মেয়ে পিয়া সেনগুপ্ত (তখন দাস) 'দাদামণি' ছবিতে প্রথম কাজ করেন।

পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত সুখেন দাসের সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন। তার পর মেয়ের সঙ্গে অনুপের বিয়ে দেন সুখেন দাস। তাঁদেরই সন্তান বনি।