Darshana Banik-Saurav Das Wedding: বাবার জন্য আমি আর সৌরভ বাপেরবাড়ি-শ্বশুরবাড়ি মিলিয়ে মিশিয়ে থাকব, বিয়ের আগে জানালেন দর্শনা

দর্শনা বণিকের সল্টলেকের বাড়ি সেজে উঠেছে আলোয়। ওই দিকে সৌরভ দাসের বাড়িতেও পূর্ণ প্রস্তুতি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শহরের পাঁচতারা হোটেলে ছাদনাতলায় বসবেন টলিপাড়ার যুগল।

বাঙালি রীতি মেনেই বিয়ে করবেন সৌরভ-দর্শনা। আর তার মাঝেই আইবুড়ো ভাত থেকে শুরু করে সব বিয়ের জন্য বানানো বিশেষ গাছকৌট-কুলো সবই তারকা জুটি শেয়ার করে নিয়েছেন স্যোশাল মিডিয়ায়।

আজ, বৃহস্পতিবার সকালে, অধিবাস হল দর্শনার। বাবার সঙ্গে বসে নিয়ম পালন করলেন মেয়ে। দাদা এবং বৌদি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে চলে এসেছেন সল্টলেকের বাড়ি।

বণিক বাড়িতে আজ আনন্দের সমাগম। কিন্তু একজনই নেই। যাঁর অনুপস্থিতি প্রতি মুহূর্তে চোখে জল আনে সকলের। তিনি, দর্শনার মা। ২০১৬ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চলে যান তিনি।

সেই থেকে মাতৃহারা মেয়ে বাবার সঙ্গেই থাকে। বাবার সঙ্গে দেশবিদেশ ঘুরতে যায়। বাবা-ই সব। আজ সেই বাবাকেও ছেড়ে যেতে হবে শ্বশুরবাড়ি। বিয়ের আগের সন্ধ্যায় নিউজ18 বাংলার সঙ্গে কথা বললেন দর্শনা।

নায়িকার কথায়, ‘‘এই সময়ে মা থাকলে কী ভাল হত। সবসময়েই মনে হয় সেটা। বাবাকে ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়াটা খুবই কঠিন। কিন্তু আমার বাবা পুরো ‘ড্যাডি কুল।’ আমাকে আর দাদাকে বাবা-ই শক্ত হতে শিখিয়েছে।’’

‘‘এমনকি আমার অষ্টমঙ্গলার সময়ে বাবা সোলো ট্রিপে মিশর যাচ্ছে।’’ তবে বিয়ের পর বাপেরবাড়ি আর শ্বশুরবাড়ির মধ্যে যাতায়াত থাকবে নায়িকার।’’ বাবার জন্য, নিজের কাজের সুবিধার জন্যেও।

দর্শনা বললেন, ‘‘সপ্তাহে তিন-চারদিন হয়তো আমি সৌরভের বাড়িতে, মানে আমার শ্বশুরবাড়িতে থাকব। কিন্তু বাকিটা আমি চেষ্টা নিজের বাড়িতেই থাকতে।’’

‘‘শুরুতে অনেকটাই আমি আর সৌরভ আলাদা থাকব। মিলিয়ে মিশিয়ে থাকা, কাজের জন্য অন্য শহরেও যেতে হতে পারে আমাদের। আপাতত তো এরকম ভাবেই ম্যানেজ করব। পরেরটা পরে ভাবা যাবে।’’

এখন কেবল রাত পোহানোর অপেক্ষা বর-কনের। বিয়ের কার্ডেও তাঁদের অমর প্রেমের ছোঁয়া রেখেছেন। কার্ডে আঁকা ছবিতে দেখা যাচ্ছে দর্শনা এবং সৌরভ একে অপরকে আলিঙ্গন করে রয়েছে। এখন অপেক্ষা প্রথমবার তারকা যুগলকে দম্পতি হিসেবে দেখার।