ফুলশয্যার রাতের গল্পই ফুটে উঠেছিল এই গানে; অশ্লীল শব্দ ব্যবহার না করেও ভক্তদের মনে জাদু ছড়িয়ে দিয়েছিলেন গুলজার

Last Updated:
গানে একটাও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। গুলজার এই গানের মাধ্যমে কনের মনে চলা অনুভূতি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সফল হয়েছিলেন।
1/7
হিন্দি সিনেমার ১০০ বছরের ইতিহাসে যদি সেরা পাঁচটি গানের তালিকা তৈরি করা হয়, তাহলে বেশ কিছু গানের কথা এবং সুর মনে ভেসে বেড়াবে। এর মধ্যে অন্যতম হল ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিল সে’ ছবির সেই গান - ‘জিয়া জ্বলে’। যা গুলজারের লেখা।
হিন্দি সিনেমার ১০০ বছরের ইতিহাসে যদি সেরা পাঁচটি গানের তালিকা তৈরি করা হয়, তাহলে বেশ কিছু গানের কথা এবং সুর মনে ভেসে বেড়াবে। এর মধ্যে অন্যতম হল ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিল সে’ ছবির সেই গান - ‘জিয়া জ্বলে’। যা গুলজারের লেখা।
advertisement
2/7
বিয়ের রাতে একজন কনের মনে ঠিক কী চলে, তাঁর সেই অনুভূতিগুলিই ফুটে উঠেছে ওই গানেই। তবে এই গানের একটা বিশেষ বিষয় রয়েছে। কারণ 'জিয়া জ্বলে' গানে একটাও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। গুলজার এই গানের মাধ্যমে কনের মনে চলা অনুভূতি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সফল হয়েছিলেন।
বিয়ের রাতে একজন কনের মনে ঠিক কী চলে, তাঁর সেই অনুভূতিগুলিই ফুটে উঠেছে ওই গানেই। তবে এই গানের একটা বিশেষ বিষয় রয়েছে। কারণ 'জিয়া জ্বলে' গানে একটাও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। গুলজার এই গানের মাধ্যমে কনের মনে চলা অনুভূতি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সফল হয়েছিলেন।
advertisement
3/7
এই গানের হাত ধরে প্রথম বারের জন্য একসঙ্গে কাজ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর এবং এআর রহমান। বলাই বাহুল্য যে, লতা মঙ্গেশকর নিজের কণ্ঠের এমন জাদু ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, যা আজ ২৬ বছর পরেও জীবন্ত হয়ে রয়েছে। এই গানের সুর-ছন্দ এবং কথা যেভাবে আমাদের মনে বসে গিয়েছে, তা থেকে বেরোনো খুবই মুশকিল।
এই গানের হাত ধরে প্রথম বারের জন্য একসঙ্গে কাজ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর এবং এআর রহমান। বলাই বাহুল্য যে, লতা মঙ্গেশকর নিজের কণ্ঠের এমন জাদু ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, যা আজ ২৬ বছর পরেও জীবন্ত হয়ে রয়েছে। এই গানের সুর-ছন্দ এবং কথা যেভাবে আমাদের মনে বসে গিয়েছে, তা থেকে বেরোনো খুবই মুশকিল।
advertisement
4/7
এই গানের কথা নিজেই শুনিয়েছিলেন গুলজার। আর তাঁর গানের উপর একটি বই লিখেছেন অনুবাদক নাসরিন মুন্নি কবির। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় গুলজার বলেন, “বিয়ের রাতে একজন কনের মনে কী চলে, সেটাই গানের মাধ্যমে ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে একটাও আপত্তিকর বা অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করিনি।
এই গানের কথা নিজেই শুনিয়েছিলেন গুলজার। আর তাঁর গানের উপর একটি বই লিখেছেন অনুবাদক নাসরিন মুন্নি কবির। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় গুলজার বলেন, “বিয়ের রাতে একজন কনের মনে কী চলে, সেটাই গানের মাধ্যমে ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে একটাও আপত্তিকর বা অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করিনি।
advertisement
5/7
কারণ আমি জানতাম যে, এমন শব্দ ব্যবহার করলে লতাজি নিজেই গানটি গাইতেন না।” গুলজার আরও বলেন যে, “আমি ফুলশয্যার রাতের বিষয়টাকে সভ্য ভাবে গ্রহণ করি না। আমি শুধুই ফুলশয্যার আবেগের ছবিটাই ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি। এর জন্য কিছু শব্দ আমি ব্যবহার করেছি। যেখানে ‘মসলে ফুলোঁ’-র মতো শব্দও রয়েছে।
কারণ আমি জানতাম যে, এমন শব্দ ব্যবহার করলে লতাজি নিজেই গানটি গাইতেন না।” গুলজার আরও বলেন যে, “আমি ফুলশয্যার রাতের বিষয়টাকে সভ্য ভাবে গ্রহণ করি না। আমি শুধুই ফুলশয্যার আবেগের ছবিটাই ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি। এর জন্য কিছু শব্দ আমি ব্যবহার করেছি। যেখানে ‘মসলে ফুলোঁ’-র মতো শব্দও রয়েছে।
advertisement
6/7
‘রাতভর বেচারি মেহন্দি পিসতি হ্যায় প্যায়রো তলে’-এর মাধ্যমে দুই সঙ্গীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টা দর্শানো হয়েছে।”১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘দিল সে’-তে এই গান ব্যবহার করা হয়েছিল। পরিচালক মণিরত্নমের এই ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এআর রহমান। আর ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শাহরুখ খান এবং মণীশা কৈরালাকে।
‘রাতভর বেচারি মেহন্দি পিসতি হ্যায় প্যায়রো তলে’-এর মাধ্যমে দুই সঙ্গীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টা দর্শানো হয়েছে।”১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘দিল সে’-তে এই গান ব্যবহার করা হয়েছিল। পরিচালক মণিরত্নমের এই ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এআর রহমান। আর ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শাহরুখ খান এবং মণীশা কৈরালাকে।
advertisement
7/7
যদিও ‘দিল সে’ ছবি বক্স অফিসে কামাল করতে পারেনি। তবে ছবির ‘জিয়া জ্বলে’ গানটি সুপারহিট হয়েছিল। বক্স অফিস ইন্ডিয়ার হিসেব বলছে, ১১ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি ছবিটি ভারতে মাত্র ১৮ কোটি টাকা আয় করেছিল। ফলে ফ্লপের তকমা জুটেছিল ছবিটির কপালে।
যদিও ‘দিল সে’ ছবি বক্স অফিসে কামাল করতে পারেনি। তবে ছবির ‘জিয়া জ্বলে’ গানটি সুপারহিট হয়েছিল। বক্স অফিস ইন্ডিয়ার হিসেব বলছে, ১১ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি ছবিটি ভারতে মাত্র ১৮ কোটি টাকা আয় করেছিল। ফলে ফ্লপের তকমা জুটেছিল ছবিটির কপালে।
advertisement
advertisement
advertisement