ছবি সুপারহিট, নির্মাতাদের কপাল খুললেও নায়ক-নায়িকার কপাল পুড়েছিল, ভাবছেন এমনটা কী করে হয়? উত্তর রইল এখানে

Last Updated:
Bollywood Most Infamous Movies : ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে দুটি ছবি বক্স অফিসে হিট হয়েছিল, কিন্তু তারা এমন বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল যা তিনটি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ককে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এই পরিবারগুলি আজও একে অপরকে এড়িয়ে চলে এবং তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েনও অব্যাহত রয়েছে। এই ছবিগুলি ছিল ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ এবং ‘দেবদাস’।
1/7
বেশিরভাগ বলিউড ছবির সমাপ্তিই সুখকর হয়ে থাকে, তবে প্রতিটি ছবির সাফল্য পর্দার আড়ালে অনেক বন্ধুত্ব এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে। ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে দুটি ছবি বক্স অফিসে হিট হয়েছিল, কিন্তু তারা এমন বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল যা তিনটি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ককে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এই পরিবারগুলি আজও একে অপরকে এড়িয়ে চলে এবং তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েনও অব্যাহত রয়েছে। এই ছবিগুলি ছিল হাম দিল দে চুকে সনম এবং দেবদাস। দুটি ছবিই সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত। দুটি ছবিই দুর্দান্তভাবে চিত্রায়িত হয়েছে এবং দুটিরই ভিত্তি প্রেমের গল্প। দুটি ছবির মধ্যে পরিচালক ছাড়া নায়িকার দিক থেকেও মিল রয়েছে। হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতে সলমন খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জুটি প্রশংসিত হয়েছিল, দেবদাস ছবিতে নজর কেড়েছিল শাহরুখ খান আর ঐশ্বর্যর রসায়ন। এই দুই ছবির সময়েই সলমন খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মধ্যে প্রেম এবং বিচ্ছেদ ঘটেছিল। জেনে নেওয়া যাক এই বিতর্কের খুঁটিনাটি।
বেশিরভাগ বলিউড ছবির সমাপ্তিই সুখকর হয়ে থাকে, তবে প্রতিটি ছবির সাফল্য পর্দার আড়ালে অনেক বন্ধুত্ব এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে। ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে দুটি ছবি বক্স অফিসে হিট হয়েছিল, কিন্তু তারা এমন বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল যা তিনটি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ককে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এই পরিবারগুলি আজও একে অপরকে এড়িয়ে চলে এবং তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েনও অব্যাহত রয়েছে। এই ছবিগুলি ছিল হাম দিল দে চুকে সনম এবং দেবদাস। দুটি ছবিই সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত। দুটি ছবিই দুর্দান্তভাবে চিত্রায়িত হয়েছে এবং দুটিরই ভিত্তি প্রেমের গল্প। দুটি ছবির মধ্যে পরিচালক ছাড়া নায়িকার দিক থেকেও মিল রয়েছে। হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতে সলমন খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জুটি প্রশংসিত হয়েছিল, দেবদাস ছবিতে নজর কেড়েছিল শাহরুখ খান আর ঐশ্বর্যর রসায়ন। এই দুই ছবির সময়েই সলমন খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মধ্যে প্রেম এবং বিচ্ছেদ ঘটেছিল। জেনে নেওয়া যাক এই বিতর্কের খুঁটিনাটি।
advertisement
2/7
বছরটা ছিল ১৯৯৯। ১৮ জুন একটি ছবি মুক্তি পায়। ছবিটির নাম হাম দিল দে চুকে সনম। ছবিটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনসালি। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সলমন খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অজয় ​​দেবগণ। ছবির সঙ্গীত অসাধারণ ছিল। সঙ্গীত রচনা করেছিলেন ইসমাইল দরবার, গান লিখেছিলেন মেহবুব এবং চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনসালি। সংলাপ লিখেছিলেন অমরিক গিল। ছবিটি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং সলমন খানের রসায়ন নিয়ে আলোচনার জন্ম দেয়, বক্স অফিসে বিশাল সাফল্য পায়। সলমন এবং ঐশ্বর্যের প্রেম যদিও মাত্র দুই বছর টিকে ছিল।
বছরটা ছিল ১৯৯৯। ১৮ জুন একটি ছবি মুক্তি পায়। ছবিটির নাম হাম দিল দে চুকে সনম। ছবিটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনসালি। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সলমন খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অজয় ​​দেবগণ। ছবির সঙ্গীত অসাধারণ ছিল। সঙ্গীত রচনা করেছিলেন ইসমাইল দরবার, গান লিখেছিলেন মেহবুব এবং চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনসালি। সংলাপ লিখেছিলেন অমরিক গিল। ছবিটি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং সলমন খানের রসায়ন নিয়ে আলোচনার জন্ম দেয়, বক্স অফিসে বিশাল সাফল্য পায়। সলমন এবং ঐশ্বর্যের প্রেম যদিও মাত্র দুই বছর টিকে ছিল।
advertisement
3/7
এবার আসা যাক ২০০২ সালে, সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত আরেকটি ছবি বক্স অফিসে হিট করে। ভরত শাহ প্রযোজিত, বান্টি শর্মা-ইসমাইল দরবারের সঙ্গীতে সমৃদ্ধ এই ছবিরও চিত্রনাট্য লিখেছেন সঞ্জয় লীলা বনসালি। ছবিটির নাম দেবদাস। শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, মাধুরী দীক্ষিত এবং জ্যাকি শ্রফ অভিনীত এই ছবিও বক্স অফিসে হিট হয়েছিল।
এবার আসা যাক ২০০২ সালে, সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত আরেকটি ছবি বক্স অফিসে হিট করে। ভরত শাহ প্রযোজিত, বান্টি শর্মা-ইসমাইল দরবারের সঙ্গীতে সমৃদ্ধ এই ছবিরও চিত্রনাট্য লিখেছেন সঞ্জয় লীলা বনসালি। ছবিটির নাম দেবদাস। শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, মাধুরী দীক্ষিত এবং জ্যাকি শ্রফ অভিনীত এই ছবিও বক্স অফিসে হিট হয়েছিল।
advertisement
4/7
বিচ্ছেদের পর ঐশ্বর্য এবং বিবেক ওবেরয় ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। ২০০৪ সালে স্টারডাস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তিনি বিবেকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। এই সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি সলমন খান অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন এবং বিবেক ওবেরয়কে হুমকি দিয়েছিলেন। এতে বিতর্ক আরও তীব্র হয়। সলমন, ঐশ্বর্য এবং বিবেকের মধ্যে সম্পর্ক আর কখনও স্বাভাবিক হয়নি। বচ্চন পরিবার, শাহরুখ খান, সুভাষ ঘাই এবং সঞ্জয় লীলা বনসালির মতো সেলিব্রিটিরাও এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
বিচ্ছেদের পর ঐশ্বর্য এবং বিবেক ওবেরয় ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। ২০০৪ সালে স্টারডাস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তিনি বিবেকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। এই সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি সলমন খান অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন এবং বিবেক ওবেরয়কে হুমকি দিয়েছিলেন। এতে বিতর্ক আরও তীব্র হয়। সলমন, ঐশ্বর্য এবং বিবেকের মধ্যে সম্পর্ক আর কখনও স্বাভাবিক হয়নি। বচ্চন পরিবার, শাহরুখ খান, সুভাষ ঘাই এবং সঞ্জয় লীলা বনসালির মতো সেলিব্রিটিরাও এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
advertisement
5/7
বিবেক ওবেরয় অসংখ্যবার মিডিয়ার কাছে খোলাখুলিভাবে তাঁর কষ্ট প্রকাশ করেছেন। এমনকি তিনি সলমন খানের বিরুদ্ধে হামলা ও হুমকির অভিযোগও করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে সলমন খান তাঁর কেরিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছেন এবং তাঁকে বেশ কয়েকটি ছবি থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। বিবেক ওবেরয় আরও অভিযোগ করেছেন যে ঐশ্বর্যও তাঁকে ব্যবহার করেছিলেন সলমনকে ছাড়ার জন্য।
বিবেক ওবেরয় অসংখ্যবার মিডিয়ার কাছে খোলাখুলিভাবে তাঁর কষ্ট প্রকাশ করেছেন। এমনকি তিনি সলমন খানের বিরুদ্ধে হামলা ও হুমকির অভিযোগও করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে সলমন খান তাঁর কেরিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছেন এবং তাঁকে বেশ কয়েকটি ছবি থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। বিবেক ওবেরয় আরও অভিযোগ করেছেন যে ঐশ্বর্যও তাঁকে ব্যবহার করেছিলেন সলমনকে ছাড়ার জন্য।
advertisement
6/7
তবে, শুধুই বিবেক ওবেরয়ের কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়নি! ফল ভুগতে হয়েছে সমানভাবে ঐশ্বর্য আর সলমনকেও। তাঁদের সম্পর্কের ভাঙনের বিতর্কের পর সঞ্জয় লীলা বনসালি তাঁর পরের ছবি গোলিও কি রাসলীলা: রাম লীলাতে দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিংকে নিয়েছিলেন। নিজের ম্যাগনাম ওপাস বাজিরাও মস্তানিতেও তিনি এই স্টারকাস্ট রাখেন। বাজিরাও মস্তানির শ্যুটিং শুরু হয়েছিল ঐশ্বর্য আর সলমনকে নিয়ে, কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের ভাঙনের ফলে শ্যুটিং বন্ধ করে দিতে হয়, পরিণতিতে ছবিও তাঁদের হাতছাড়া হয়!
তবে, শুধুই বিবেক ওবেরয়ের কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়নি! ফল ভুগতে হয়েছে সমানভাবে ঐশ্বর্য আর সলমনকেও। তাঁদের সম্পর্কের ভাঙনের বিতর্কের পর সঞ্জয় লীলা বনসালি তাঁর পরের ছবি গোলিও কি রাসলীলা: রাম লীলাতে দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিংকে নিয়েছিলেন। নিজের ম্যাগনাম ওপাস বাজিরাও মস্তানিতেও তিনি এই স্টারকাস্ট রাখেন। বাজিরাও মস্তানির শ্যুটিং শুরু হয়েছিল ঐশ্বর্য আর সলমনকে নিয়ে, কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের ভাঙনের ফলে শ্যুটিং বন্ধ করে দিতে হয়, পরিণতিতে ছবিও তাঁদের হাতছাড়া হয়!
advertisement
7/7
সলমন আসলে ঐশ্বর্য অভিনীত নানা ছবির সেটে গিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেছিলেন। যেমন চলতে চলতে। এই ছবির প্রযোজক তাই শাহরুখ খানের বিপরীতে রানি মুখোপাধ্যায়কে নিয়েছিলেন, ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে ঐশ্বর্য দুঃখও একদা প্রকাশ করেছিলেন। আর হ্যাঁ, ঐশ্বর্যকে নিয়ে সলমন প্রযোজক-পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গেও না কি ঝগড়া করেছিলেন। তবে সুভাষ ঘাই এই নিয়ে কখনও মিডিয়াতে খোলামেলা কথা বলেননি।
সলমন আসলে ঐশ্বর্য অভিনীত নানা ছবির সেটে গিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেছিলেন। যেমন চলতে চলতে। এই ছবির প্রযোজক তাই শাহরুখ খানের বিপরীতে রানি মুখোপাধ্যায়কে নিয়েছিলেন, ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে ঐশ্বর্য দুঃখও একদা প্রকাশ করেছিলেন। আর হ্যাঁ, ঐশ্বর্যকে নিয়ে সলমন প্রযোজক-পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গেও না কি ঝগড়া করেছিলেন। তবে সুভাষ ঘাই এই নিয়ে কখনও মিডিয়াতে খোলামেলা কথা বলেননি।
advertisement
advertisement
advertisement