ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রীয়ের বাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ হেমা এবং তাঁর কন্যাদের! সেই প্রথা ভেঙেছিল এক বারই! কিন্তু কেন?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে বলিউডের ড্রিম গার্লকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তবে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেননি। তাতে অবশ্য সম্পর্কের জটিলতা তো তৈরি হয়ইনি, বরং ধর্মেন্দ্রর দুই পরিবারের মধ্যেই ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা বরাবরই বজায় ছিল।
বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও রুপোলি পর্দার দুনিয়ায় পা রেখে প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। এতটাই গভীর ছিল সেই প্রেম যে, তার পরিণতির ক্ষেত্রে প্রথম বিয়ে এমনকী প্রথম পক্ষের চার সন্তানও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি! সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে বলিউডের ড্রিম গার্লকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তবে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেননি। তাতে অবশ্য সম্পর্কের জটিলতা তো তৈরি হয়ইনি, বরং ধর্মেন্দ্রর দুই পরিবারের মধ্যেই ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা বরাবরই বজায় ছিল।
advertisement
ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যাবে, হেমা-ধর্মেন্দ্রর দুই কন্যা এষা এবং অহনার সঙ্গে ধর্মেন্দ্র-প্রকাশের দুই পুত্র সানি এবং ববি দেওলের সম্পর্ক খুবই সুন্দর। এমনকী সেই প্রমাণও বার বার সামনে এসেছে। ২০১৯ সালে যখন সানি দেওল রাজনৈতিক ময়দানে পদার্পণ করেছিলেন, তখন তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন সৎ বোন এষা। তবে দুই পরিবারের মধ্যে শ্রদ্ধা-সম্মান থাকলেও ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রীয়ের বাড়িতে কখনও পা রাখেননি হেমা মালিনী এবং তাঁর কন্যারা। বলা ভাল, সেখানে হেমা এবং তাঁর কন্যাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এমনটাই জানা যায় অভিনেত্রীর জীবনী ‘হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ থেকে। কিন্তু সেই নিয়মের বেড়াজাল এক বার ভেঙে দিয়েছিলেন হেমা-কন্যা এষা। কিন্তু কেন? আজ সেই গল্পই শোনাব আমরা।
advertisement
এক বার প্রকাশ কৌরের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন এষা। তা-ও খোদ সানি দেওলই বোনকে নিজেদের বাড়িতে আনানোর ব্যবস্থা করেন। আসলে ২০১৫ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্রর ভাই তথা অভিনেতা অভয় দেওলের বাবা অজিত দেওল। সম্পর্কে যিনি ধর্মেন্দ্রর সন্তানদের কাকা হন। অজিতের অসুস্থতার কথা জানতে পেরেই থাকতে পারেননি তাঁর আদরের ভাইজি এষা। কাকাকে দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আর বোনের সেই ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন সানি।
advertisement
এক সাক্ষাৎকারে এষা জানিয়েছিলেন যে, “আমি আমার কাকার (অজিত দেওল) সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। আসলে তিনি আমাকে আর অহনাকে খুবই স্নেহ করতেন। আর অভয়ও আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ। ফলে ওই বাড়িতে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না। আর অসুস্থতার কারণে কাকা হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন না যে, আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারব। ফলে কোনও উপায় না-দেখে আমি আমার দাদা সানিকে ডেকে কাকার সঙ্গে দেখা করানোর ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম।”
advertisement