Bollywood Gossip: সকালবেলা নবরাত্রিতে উপবাস করে যজ্ঞ, রাতে তাজে ২ পেগ স্কচ! তারপরেই বাথরুমে ৪০ মিনিট ধরে...
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Bollywood Gossip: মমতা কুলকার্নির কিন্নর আখড়া থেকে বিতর্কিতভাবে উপাধি হারান৷ মহামন্ডলেশ্বর খেতাব দেওয়ার সাতদিনের মধ্যেই ছিনিয়ে নেওয়া হয় উপাধি৷
মমতা কুলকার্নি যখন ৯০-র দশকে বলিউডে পা দেন৷ সিনেমায় আসার পর থেকেই তিনি নিয়মিত শিরোনামে থাকতেন। এমনকি মহাকুম্ভে মমতা কুলকার্নি আধ্যাত্মিকতার জগতে ঢুকে গেছেন এইরকম দেখাচ্ছেন সেখানে তাঁর পুরনো বলিউড গসিপগুলি তাঁর পিছু ছাড়েনি পাশাপাশি নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের সময়, কিন্নর আখড়া অভিনেত্রীকে মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি দিয়েছিল, তিনি ৭ দিন মাত্র মহামণ্ডলেশ্বর ছিলেন৷ কিন্তু আশ্রমের ভিতরেই তাঁকে নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে তারপরেই তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
advertisement
তবে তিনি নিজেই নিজের সংযম হারানোর গল্প বলেছেন৷ নবরাত্রির সময় '২ পেগ' খাওয়ার গল্পও জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। মমতা কুলকার্নিকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, 'আমি শুনেছি যে তিনি নবরাত্রির সময় উপবাস করতেন এবং রাতে তাজ হোটেলে ২ পেগ মদ খেতেন৷’ এই প্রশ্ন শুনে মমতা কুলকার্নি তাঁর আধ্যাত্মিক অনুশীলনের কথা বলেছিলেন।
advertisement
মমতা কুলকার্নি বলেন, 'আমি যখন বলিউডে ছিলাম, আমার জীবনে ১৯৯৭ সালে এসেছিলেন আমার গুরু।' তারপরে উপস্থাপক প্রশ্ন করলেন, 'আমি শুনেছি আপনি যখন সিনেমা করতেন, তখনও আপনি উপবাস করতেন রাতে সে তাজে যেতেন এবং ২ পেগ স্কচ খেতেন? এ প্রসঙ্গে মমতা কুলকার্নি বলেন, 'বলিউডের সময় আমার জীবন এমন ছিল যে আমি যখনই শ্যুটিংয়ে যেতাম, তখন আমার কাছে তিনটি ব্যাগ থাকত। একটি আমার পোশাকের জন্য, অন্যটি আমার মন্দিরের জন্য। আমার ঘরের একটি টেবিলে আমার মন্দির থাকত। পুজোর পরই শুটিংয়ে যেতাম।’’
advertisement
মমতা আরও বলেন, '‘আমি নবরাত্রি পালন করতাম। এই নবরাত্রি ৯ দিন ধরে চলে। আমি উপবাসের সংকল্প করেছিলাম, সকাল, বিকাল ও সন্ধ্যায় তিনটি যজ্ঞ করতাম। মাত্র ৯ দিন শুধুমাত্র জল খেয়ে ছিলাম। আমি ৩৬ কেজি চন্দন দিয়ে যজ্ঞ করেছি। তখন আমার ডিজাইনার ছিলেন বলিউডের, তিনি বললেন, 'মমতা, তুমি কি করছ, তুমি খুব সিরিয়াস হয়ে গেছ। এসো, ওঠো, ৯ দিন হয়ে গেছে, এখন চলো। তারপর আমরা তাজে গেলাম, তারপর দু-একটি নবরাত্রি এভাবেই কেটে গেল। আমি তখন স্কচ নিতাম।’’
advertisement
advertisement
advertisement
মমতা কুলকার্নির কিন্নর আখড়া থেকে বিতর্কিতভাবে উপাধি হারান৷ মহামন্ডলেশ্বর খেতাব দেওয়ার সাতদিনের মধ্যেই ছিনিয়ে নেওয়া হয় উপাধি৷ প্রতিষ্ঠাতা অজয় দাস এবং আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠির মধ্যে গভীর বিরোধ হয়, সেটা সামনেও চলে আসে৷ যদিও অজয় দাস ত্রিপাঠীকে তাঁর পদ থেকে অপসারণের হুমকি দিয়েছিলেন, ত্রিপাঠী এই দাবি খারিজ করে বলেছিলেন যে দাসের এমন কর্তৃত্ব নেই। এই দ্বন্দ্ব আখড়ায় আরও বিতর্কের দিকে নিয়ে যায়, যার ফলে ত্রিপাঠি এবং কুলকার্নি উভয়কেই তাঁদের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
advertisement