Bengali Actress Mysterious Life: ১৫-এ বিয়ে, ১৮-এ মা! মেয়ের মৃত্যু হল চোখের সামনে! বাঙালী অভিনেত্রীর কোমর ছুঁতে চেয়েছিলেন স্বামীর বন্ধু... নায়িকার জীবন ধাঁধার থেকেও জটিল
- Published by:Rachana Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
সুজিত সরকারের ‘পিকু’ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের মাসির চরিত্রে অভিনয় করে ফের দর্শকদের মনজয় করেছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তার পরেই মেয়ের মৃত্যু। এর পর থেকে তাঁকে আর তেমন ভাবে পর্দায় দেখা যায়নি। সম্প্রতি যশ-নুসরতের সঙ্গে আড়ি ছবিতে তাঁকে মুখ্য চরিত্র হিসাবে দেখা গিয়েছে।
৭০ দশকের এই অভিনেত্রী শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, সৌন্দর্য দিয়েও মানুষের মনে রাজত্ব করতেন। তিনি যখন কাঁদতেন, প্রেক্ষাগৃহের দর্শরাও কাঁদত। যখনই তিনি হাসতেন, থিয়েটার করতালিতে ফেটে পড়ত। তার সময়ে তিনি অনেক হিট ছবিতে কাজ করেছেন।
advertisement
সুন্দর মুখ এবং সুন্দর হাসির সেই অভিনেত্রী হলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্র এবং বিনোদ খান্নার মতো বড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। খুব অল্প বয়সেই তাঁর বিয়ে হয়।
advertisement
মৌসুমী মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন এবং ১৮ বছর বয়সে তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এর পরই তিনি চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। তিনি দেবানন্দের বড় ভক্ত ছিলেন। আজও তিনি দেবানন্দের প্রতি মুগ্ধ।
advertisement
মৌসুমী ৭০-৮০ দশকের সুপারস্টার বিনোদ খান্নার জন্য পাগল ছিলেন। কপিল শর্মার শো-তে কপিল তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সেই যুগে সবচেয়ে সুদর্শন অভিনেতা কে?
advertisement
মৌসুমী বলেছিলেন, বিনোদ খান্নার মতো সুদর্শন আর কেউ ছিলেন না, তাঁর চেহারা আসলে একজন নায়কের মতো ছিল, তিনি ছিলেন সেই যুগের সবচেয়ে সুদর্শন অভিনেতা।
advertisement
অভিনয়ের পাশাপাশি মৌসুমী তাঁর চনমনে এবং সাহসী স্বভাবের জন্যও পরিচিত। ‘ঘায়েল’ ছবির সেটে একটু দেরিতে আসায় ধর্মেন্দ্রর ছেলে সানি দেওলকে বকুনি দিয়েছিলেন।
advertisement
মৌসুমী নিজের শর্তে কাজ করতেন। রেখার সঙ্গে ১৯৭৮ সালের 'ভোলা-ভালা' ছবিতে কাজ করেছিলেন এবং ছবির শিরোনামে মৌসুমীর আগে রেখার নাম ছিল। এতে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে তিনি প্রকাশ্যে রেখাকে নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।
advertisement
৭৬ বছরের সেই বর্ষীয়ান বাঙালি অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন খুবই কষ্টের। হেমন্ত কুমারের ছেলে জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
advertisement
কম বয়সে বিয়ে হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বাও হন তাড়াতাড়িই। মৌসুমী দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। পায়েল চট্টোপাধ্যায় ও মেঘা চট্টোপাধ্যায়।
advertisement
কিন্তু ২০১৯ সালে পায়েলের মৃত্যু হয়। ছোট থেকে ডায়াবেটিসে ভুগতেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে কোমায় ছিলেন।
advertisement
এই প্রসঙ্গে পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী জানিয়েছিলেন যে, ‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’ ছবিতে ধ্রুবর জীবনের চারটি সম্ভাবনার চারটি অধ্যায়ের গল্প বলা হয়েছে। আর এই চারটে অধ্যায়ে চার জন কিংবদন্তি বাঙালি শিল্পীকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে। আর এই শিল্পীরা হলেন যামিনী রায়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিকাশ ভট্টাচার্য , বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়।
advertisement
তিনি একবার সিনেদুনিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, 'আমি এই সংস্কৃতি একেবারেই পছন্দ করতাম না। আমরা যারা অভিনয় করি, তার মানে এই নয় যে প্যাকআপ করার পর কেউ আমার কাঁধে হাত রাখবে। কেন রাখবে? একবার আমার স্বামীর বন্ধু আমার কোমরে হাত রাখতে চেয়েছিল এবং আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম'।
advertisement