

তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী ছিলেন৷ অথচ গত এক বছরে সুশান্তকে মাত্র ১৪২ বার ফোন করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী৷ বিহার পুলিশের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে৷ Photo- Instagram


তবে সুশান্তের সঙ্গে সেভাবে ফোনে কথা না বললেও গত এক বছরে নিজের মাকে ৮৯০ বার ফোন করেছিলেন রিয়া৷ আর নিজের ভাইকে ফোন করেন ৮০০ বার৷


শুধু তাই নয়, সুশান্তকে গোটা বছরে মাত্র ১৪২টি ফোন করলেও অভিনেতার স্টাফদের ৫০২ বার ফোন করেন রিয়া৷ সুশান্তের সেক্রেটারিকেই ১৪৮ বার ফোন করেন তিনি৷


পুলিশ সূত্রের দাবি, বিহার পুলিশের কাছে সুশান্তের বাবার দায়ের করা এফআইআর-এ যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গেই গত এক বছরে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেছেন রিয়া৷


বিহার পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, এই ফোন কল থেকেই স্পষ্ট সুশান্তের দৈনন্দিন জীবনে কতখানি প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছিলেন রিয়া৷


রিয়া চক্রবর্তী, সন্ধ্যা চক্রবর্তী, ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা, শ্রুতি মোদি সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিহার পুলিশ৷ এই মামলাটি আপাতত সিবিআই-এর হাতে চলে গিয়েছে৷


সিবিআই-কে সুশান্তের মৃত্যু রহস্যের মামলা হস্তান্তর করার পর বিহার পুলিশের তরফে এ দিনই সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করা হয়েছে৷ সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সুশান্তের বাবা অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে পুরোপুরি নিজের কব্জায় নিয়ে ফেলেছিলেন রিয়া৷


বিহার পুলিশের হলফনামায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সুশান্তকে মানসিক অবসাদগ্রস্ত বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন রিয়া৷ তাঁকে ওষুধের ওভারডোজ দেওয়া হত বলেও অভিযোগ করা হয়েছে হলফনামায়৷ সুশান্তকে রিয়া ব্ল্যাকমেল করতেও শুরু করেন বলে অভিযোগ করেছে বিহার পুলিশ৷


বিহার পুলিশের আরও অভিযোগ, সুশান্ত সিনেমা ছেড়ে অর্গ্যানিক ফার্মিং করতে আগ্রহী ছিলেন৷ কিন্তু রিয়া তাঁকে তা করতে দেননি৷