

• সেলিব্রিটিদের খ্যাতি, সুনাম, স্টারডমের পাশাপাশি জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে ট্রোল । খ্যাতির বিড়ম্বনা থেকে বাদ যান না বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চনও । কিন্তু বেশিরভাগ সেলেবরাই ট্রোলকে বিশেষ পাত্তা না দেওয়ার পক্ষপাতী । কিন্তু এ বার ট্রোলের জবাবে যা করলেন স্বয়ং বিগ বি, তাতে বিষ্মিত, হতবাক তাঁর কোটি কোটি ভক্তকূল ।


• সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি তিনি । অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে । হাসপাতালের বেড থেকেই ভক্তদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি । কখনও গান, কখনও মনের কথা, কখনও বাবার স্মৃতিচারণা, কখনও নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে চলেছেন তিনি ।


• কিন্তু এ বার যা করলেন তা এক কথায় নজিরবিহীন । কটূ বাক্য প্রায় কখনওই প্রয়োগ করতে দেখা যায় না অমিতাভকে । তাঁর সভ্য, মার্জিত ব্যবহারের জন্য আলাদাই জনপ্রিয়তা রয়েছে নায়কের । কিন্তু এ বার যেন সেই সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেল ।


• এক ব্যক্তি অমিতাভকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি চাই আপনি করোনায় মরে যান ।’ এরপরেই ক্ষেপে ওঠেন বিগ বি । দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন এই ট্রোলের বিরুদ্ধে । সরাসরিই বলেন, “তোমার বাবা কে তুমি নিজেই জানো না।” আবার এও লিখেন, ‘‘আমি যদি আমার ভক্তদের বলি ‘ঠোক দো শালে কো’ তা হলে কী হবে ভেবে দেখেছো!’’


• অমিতাভ লিখেছেন, “কেউ চায় আমি কোভিড সংক্রমণে মরে যাই। তুমি যেই হও, নিজের বাবার নামটাও এখানে লেখনি। কারণ জানোই না যে কে তোমার বাবা”। দীর্ঘ পোস্টে বিগ বি আরও লিখেছেন যে, “দুটো ঘটনা ঘটতে পারে। হয় আমি বাঁচব। নয়তো মরে যাব। যদি আমি মরে যাই তাহলে কোনও সেলিব্রিটির নাম জড়িয়ে তোমার কুকথা লেখার কী হবে…করুণা হয়।”


• “জানবে অমিতাভ বচ্চনকে আক্রমণ করে এসব লিখছো বলেই নজরে এসেছো। এসব করে কিছু হবে না। আর যদি আমি ভগবানের দয়ায় বেঁচে থাকি এবং সুস্থ থাকি তাহলে শুধু আমার কাছ থেকে নয়, আমার ৯ কোটি একনিষ্ঠ ভক্তদের থেকেও নিন্দার ঝড় সামলাতে হতে পারে। আমার ভক্তরা আমার বর্ধিত পরিবার।”


• “আমি আমার ভক্তদের এখনও এসব বলিনি। তবে যদি বেঁচে থাকি তাহলে ওদের সবই বলব। জেনে রেখো, তাঁরা একটা জোরাল শক্তি যা বিশ্বের পূর্ব থেকে পশ্চিম এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁরা শুধুমাত্র একটি বর্ধিত পরিবারই নয়। সেই বর্ধিত পরিবার আজ নিমেষে ভস্মও করে দিতে পারে। আমার তাঁদের শুধু এইটুকুই বলার অপেক্ষা যে, ঠোক দো শালে কো।”