Arjun Chakraborty: তাঁর চোখে 'আদর্শ বাবা' কে...? চমকে দিলেন অর্জুন! Father's Day-তে কত নম্বর দিলেন নিজেকে?

Last Updated:
Arjun Chakraborty On Father's Day: বাবা হিসেবে তিনি জীবনে পেয়েছেন 'ফেলুদা' সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। আবার নিজেও বাবা হয়েছেন অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। বাস্তবে। বছর পাঁচেকের অবন্তিকাকে নিয়ে অবসরে তাঁর গলাতেও হয়ত নেমে আসে "আয় খুকু আয়..." কিংবা কোনও নার্সারি রাইম।
1/13
বাবা হিসেবে তিনি জীবনে পেয়েছেন 'ফেলুদা' সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। আবার নিজেও বাবা হয়েছেন অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। বাস্তবে। বছর তিনেকের অবন্তিকাকে নিয়ে অবসরে তাঁর গলাতেও হয়ত নেমে আসে "আয় খুকু আয়..." কিংবা কোনও নার্সারি রাইম। আবার এই অর্জুনই পর্দায় বিভূতিভূষণের অপু অর্থাৎ 'অপূর্ব কুমার রায়'। মা-মরা ছেলে কাজলের 'সিঙ্গেল ফাদার'। একক পিতৃত্ব সামলে কাজলকে বড় করছেন অপূর্ব! তাঁকে নিয়ে একদিন নিশ্চিন্দিপুরের জন্ম ভিটে, তাঁর নিজের গ্রাম দেখাতে নিয়ে যায় সেই বাবা! আর শেখায় জীবনের শিক্ষা।
বাবা হিসেবে তিনি জীবনে পেয়েছেন 'ফেলুদা' সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। আবার নিজেও বাবা হয়েছেন অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। বাস্তবে। বছর তিনেকের অবন্তিকাকে নিয়ে অবসরে তাঁর গলাতেও হয়ত নেমে আসে "আয় খুকু আয়..." কিংবা কোনও নার্সারি রাইম। আবার এই অর্জুনই পর্দায় বিভূতিভূষণের অপু অর্থাৎ 'অপূর্ব কুমার রায়'। মা-মরা ছেলে কাজলের 'সিঙ্গেল ফাদার'। একক পিতৃত্ব সামলে কাজলকে বড় করছেন অপূর্ব! তাঁকে নিয়ে একদিন নিশ্চিন্দিপুরের জন্ম ভিটে, তাঁর নিজের গ্রাম দেখাতে নিয়ে যায় সেই বাবা! আর শেখায় জীবনের শিক্ষা।
advertisement
2/13
হাতের ট্যাটুতে স্ত্রী সৃজার পাশাপাশি রয়েছে মেয়ে অবন্তিকার জন্ম তারিখ। পর্দার বাইরের জীবনে আপাদমস্তক 'ফ্যামিলি ম্যান' অর্জুন। অন্তত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চোখ বোলালে তেমনই মনে হয়। গত তিন বছরে ঠিক কতটা বাবা হয়ে উঠলেন অর্জুন? কতটা শিখলেন বাবা সব্যসাচীর শেখানো পাঠ? আর কতটা শেখালেন ছোট্ট অবন্তিকাকে? বাবা হিসেবে নিজেকে কত নম্বরই বা দেবেন অর্জুন? নিউজ 18 বাংলা ডিজিটালে রইল তারই এক ঝলক। একডজন প্রশ্নের উত্তরে পিতৃত্বের এক নিজস্ব সংজ্ঞা তুলে ধরলেন অর্জুন।
হাতের ট্যাটুতে স্ত্রী সৃজার পাশাপাশি রয়েছে মেয়ে অবন্তিকার জন্ম তারিখ। পর্দার বাইরের জীবনে আপাদমস্তক 'ফ্যামিলি ম্যান' অর্জুন। অন্তত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চোখ বোলালে তেমনই মনে হয়। গত তিন বছরে ঠিক কতটা বাবা হয়ে উঠলেন অর্জুন? কতটা শিখলেন বাবা সব্যসাচীর শেখানো পাঠ? আর কতটা শেখালেন ছোট্ট অবন্তিকাকে? বাবা হিসেবে নিজেকে কত নম্বরই বা দেবেন অর্জুন? নিউজ 18 বাংলা ডিজিটালে রইল তারই এক ঝলক। একডজন প্রশ্নের উত্তরে পিতৃত্বের এক নিজস্ব সংজ্ঞা তুলে ধরলেন অর্জুন।
advertisement
3/13
আবার এই অর্জুনই পর্দায় বিভূতিভূষণের অপু অর্থাৎ 'অপূর্ব কুমার রায়'। মা-মরা ছেলে কাজলের 'সিঙ্গেল ফাদার'। একক পিতৃত্ব সামলে কাজলকে বড় করছেন অপূর্ব! তাঁকে নিয়ে একদিন নিশ্চিন্দিপুরের জন্ম ভিটে, তাঁর নিজের গ্রাম দেখাতে নিয়ে যায় সেই বাবা! আর শেখায় জীবনের শিক্ষা।
আবার এই অর্জুনই পর্দায় বিভূতিভূষণের অপু অর্থাৎ 'অপূর্ব কুমার রায়'। মা-মরা ছেলে কাজলের 'সিঙ্গেল ফাদার'। একক পিতৃত্ব সামলে কাজলকে বড় করছেন অপূর্ব! তাঁকে নিয়ে একদিন নিশ্চিন্দিপুরের জন্ম ভিটে, তাঁর নিজের গ্রাম দেখাতে নিয়ে যায় সেই বাবা! আর শেখায় জীবনের শিক্ষা।
advertisement
4/13
১) প্রশ্ন : একজন আদর্শ বাবা হয়ে উঠতে গেলে কী জরুরি বলে তোমার মনে হয়? উত্তর : একজন 'ভাল' বাবা হয়ে ওঠার কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে বলে তো আমি মনে করি না। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস শিখি। তবে সময় দেওয়া। সন্তানদের পড়াশোনা থেকে খেলাধুলো, সবেতেই যতটা সম্ভব, যেভাবে সম্ভব নিজেকে দেওয়া, এগুলো বোধহয় আদর্শ বাবা হয়ে ওঠার কিছু 'থাম্বরুল'। যেগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই রয়ে গিয়েছে। আমাদের বাবারাও তাই করেছেন। আমরাও সেটুকুই করার চেষ্টা করছি নিজেদের মত করে।
১) প্রশ্ন : একজন আদর্শ বাবা হয়ে উঠতে গেলে কী জরুরি বলে তোমার মনে হয়? উত্তর : একজন 'ভাল' বাবা হয়ে ওঠার কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে বলে তো আমি মনে করি না। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস শিখি। তবে সময় দেওয়া। সন্তানদের পড়াশোনা থেকে খেলাধুলো, সবেতেই যতটা সম্ভব, যেভাবে সম্ভব নিজেকে দেওয়া, এগুলো বোধহয় আদর্শ বাবা হয়ে ওঠার কিছু 'থাম্বরুল'। যেগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই রয়ে গিয়েছে। আমাদের বাবারাও তাই করেছেন। আমরাও সেটুকুই করার চেষ্টা করছি নিজেদের মত করে।
advertisement
5/13
প্রশ্ন : অবন্তিকা আসার পরে এবং আগে, কতটা পাল্টেছে জীবন? উত্তর : অবন্তিকা আসার আগে অনেক কিছুই খুব ক্যাজুয়ালি নিতাম। সৃজা আর আমার একসঙ্গে সময় কাটানোটা... মাঝে মাঝে সেগুলো মিস করি। কিন্তু এখন ও-ই আমাদের এক এবং একমাত্র 'প্রায়োরিটি'। তাই জীবনের প্ল্যানিং টা অন্যভাবে হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে সময় ম্যানেজ করব, ওকে কী ভাবে ভাল শিক্ষা দেব, ওর কিছু অসুবিধে হচ্ছে কিনা, ওর জামা-কাপড় কেনা এইসব ঘিরেই চিন্তাগুলো ঘুরপাক খায় আজকাল। ওকে কেন্দ্র করেই জীবন হয়ে গিয়েছে। অবশ্য ওর জন্য নিজেদের ভাল রাখতেও চেষ্টা করি।
প্রশ্ন : অবন্তিকা আসার পরে এবং আগে, কতটা পাল্টেছে জীবন? উত্তর : অবন্তিকা আসার আগে অনেক কিছুই খুব ক্যাজুয়ালি নিতাম। সৃজা আর আমার একসঙ্গে সময় কাটানোটা... মাঝে মাঝে সেগুলো মিস করি। কিন্তু এখন ও-ই আমাদের এক এবং একমাত্র 'প্রায়োরিটি'। তাই জীবনের প্ল্যানিং টা অন্যভাবে হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে সময় ম্যানেজ করব, ওকে কী ভাবে ভাল শিক্ষা দেব, ওর কিছু অসুবিধে হচ্ছে কিনা, ওর জামা-কাপড় কেনা এইসব ঘিরেই চিন্তাগুলো ঘুরপাক খায় আজকাল। ওকে কেন্দ্র করেই জীবন হয়ে গিয়েছে। অবশ্য ওর জন্য নিজেদের ভাল রাখতেও চেষ্টা করি।
advertisement
6/13
৩) প্রশ্ন : লম্বা আউটডোরে শ্যুটিং চললে কী ভাবে ওর সঙ্গে সময় কাটাও? উত্তর : লম্বা আউটডোর-টা বেশ কষ্টকর আমার জন্য। আমি 'হোমসিক' হয়ে যাই। এটা অবন্তিকা আসার আগেও ছিল। ও আসার পর অবশ্যই আরও বেড়েছে। যতই ভিডিও কল করি না কেন ওকে কোলে নিতে না পাড়াটা খুব কষ্ট দেয়। বরং ভিডিও কলে দেখলে আরও কষ্ট বাড়ে। আমি সৃজাকে বলি 'তুমি কত লাকি! তুমি ওকে ছুঁতে পারছ, আমি পারছি না!' আসলে আমি খুব স্ট্রংলি বিশ্বাস করি বাড়ির মত জায়গা আর দুটো নেই। 
৩) প্রশ্ন : লম্বা আউটডোরে শ্যুটিং চললে কী ভাবে ওর সঙ্গে সময় কাটাও? উত্তর : লম্বা আউটডোর-টা বেশ কষ্টকর আমার জন্য। আমি 'হোমসিক' হয়ে যাই। এটা অবন্তিকা আসার আগেও ছিল। ও আসার পর অবশ্যই আরও বেড়েছে। যতই ভিডিও কল করি না কেন ওকে কোলে নিতে না পাড়াটা খুব কষ্ট দেয়। বরং ভিডিও কলে দেখলে আরও কষ্ট বাড়ে। আমি সৃজাকে বলি 'তুমি কত লাকি! তুমি ওকে ছুঁতে পারছ, আমি পারছি না!' আসলে আমি খুব স্ট্রংলি বিশ্বাস করি বাড়ির মত জায়গা আর দুটো নেই। 
advertisement
7/13
৪) প্রশ্ন : এবার একটু অবন্তিকার কথা শোনা যাক। ও কী খেতে ভালবাসে? ওর প্রিয় রং কী? কী করতে বেশি ভালোবাসে? উত্তর : এখন যে বয়সটায় রয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট রং যে বেশি ভালবাসে তা নয়। খেলাও বদলাতে থাকে। তবে ও ওয়াটার কালার করতে জল-রং দিয়ে তুলিতে আঁকিবুকি কাটতে খুব ভাল বাসে। প্যাস্টেল কালারও করে। তবে সবুজ, নীল, কালো। হালকা রং, গাঢ় রং, সবই খুব মজা করে করে। খাওয়াও বদলাতে থাকে। যেহেতু এখনও সবে স্বাদগুলো চিনছে একটু একটু করে। কলা খেতে খুব ভালোবাসে অবন্তিকা। আগে আপেলটা খেত না এখন সেটাও খাচ্ছে। ডিম খেতেও বেশ ভালবাসছে আজকাল দেখছি।
৪) প্রশ্ন : এবার একটু অবন্তিকার কথা শোনা যাক। ও কী খেতে ভালবাসে? ওর প্রিয় রং কী? কী করতে বেশি ভালোবাসে? উত্তর : এখন যে বয়সটায় রয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট রং যে বেশি ভালবাসে তা নয়। খেলাও বদলাতে থাকে। তবে ও ওয়াটার কালার করতে জল-রং দিয়ে তুলিতে আঁকিবুকি কাটতে খুব ভাল বাসে। প্যাস্টেল কালারও করে। তবে সবুজ, নীল, কালো। হালকা রং, গাঢ় রং, সবই খুব মজা করে করে। খাওয়াও বদলাতে থাকে। যেহেতু এখনও সবে স্বাদগুলো চিনছে একটু একটু করে। কলা খেতে খুব ভালোবাসে অবন্তিকা। আগে আপেলটা খেত না এখন সেটাও খাচ্ছে। ডিম খেতেও বেশ ভালবাসছে আজকাল দেখছি।
advertisement
8/13
প্রশ্ন : বাবা এবং ওর খেলার সাথী, দুটো চরিত্রেই যাতায়াত করতে হয় নিশ্চই ? কীভাবে ম্যানেজ করো? উত্তর : প্রথম খেলার সাথী তো মা-বাবাকেই হতে হয়। শাসন করার পাশাপাশি সময় দেওয়া, হাসি-মজার মধ্যে ওর মত করে সন্তানের মত করে ওর সঙ্গ দেওয়া এটা বোধহয় সব মা-বাবাকেই করতে হয়। প্রত্যেক বাবা-মাকেই বোধহয় 'অলরাউন্ডার' হতে হয়। খেলার সাথী আর বাবা এই দুই চরিত্রের পার্থক্য বোঝার মত এখনও অতটা বড় হয়নি। তবে আরেকটু বড় হলে বোধহয় বুঝতে পারবে এই পার্থক্যটা।
প্রশ্ন : বাবা এবং ওর খেলার সাথী, দুটো চরিত্রেই যাতায়াত করতে হয় নিশ্চই ? কীভাবে ম্যানেজ করো? উত্তর : প্রথম খেলার সাথী তো মা-বাবাকেই হতে হয়। শাসন করার পাশাপাশি সময় দেওয়া, হাসি-মজার মধ্যে ওর মত করে সন্তানের মত করে ওর সঙ্গ দেওয়া এটা বোধহয় সব মা-বাবাকেই করতে হয়। প্রত্যেক বাবা-মাকেই বোধহয় 'অলরাউন্ডার' হতে হয়। খেলার সাথী আর বাবা এই দুই চরিত্রের পার্থক্য বোঝার মত এখনও অতটা বড় হয়নি। তবে আরেকটু বড় হলে বোধহয় বুঝতে পারবে এই পার্থক্যটা।
advertisement
9/13
৬) প্রশ্ন : ও তো এখনও ছোট। তাও কখনও সখনও বকাবকিও কী করো? উত্তর : বকা-ঝকা ঠিক নয়। তবে জোর গলায় কখনও সখনও বলতে হয়। কারণ একদম ছোট বয়স থেকেই শৃঙ্খলাবোধটা বাচ্চাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হয় বলে মনে করি। তবে চেঁচামেচিটা বাচ্চাদের সামনে যতটা সম্ভব না করা যায় ততই ভাল। রাগ হলেও ওদের বুঝিয়ে বলতে হবে। বিশেষত তিন চার বছরের বাচ্চার ক্ষেত্রে যখন সবে তাদের বোঝার ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে।
৬) প্রশ্ন : ও তো এখনও ছোট। তাও কখনও সখনও বকাবকিও কী করো? উত্তর : বকা-ঝকা ঠিক নয়। তবে জোর গলায় কখনও সখনও বলতে হয়। কারণ একদম ছোট বয়স থেকেই শৃঙ্খলাবোধটা বাচ্চাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হয় বলে মনে করি। তবে চেঁচামেচিটা বাচ্চাদের সামনে যতটা সম্ভব না করা যায় ততই ভাল। রাগ হলেও ওদের বুঝিয়ে বলতে হবে। বিশেষত তিন চার বছরের বাচ্চার ক্ষেত্রে যখন সবে তাদের বোঝার ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে।
advertisement
10/13
প্রশ্ন : বাবা হিসেবে কত নম্বর দেবে নিজেকে? ধরো দশের মধ্যে? উত্তর : বাবা হিসেবে আমি খুব একটা নম্বর নিজেকে দেব না। খুব বেশি হলে আমি দশে পাঁচ দেব। কারণ, এখনও অনেক শেখার বাকি। শুধুমাত্র তো বাচ্চাদের শেখার থাকে না। সারা জীবন একটা মানুষ শেখে। তাই বাবা হিসেবে বা একজন স্বামী হিসেবে এবং একজন সন্তান হিসেবেও শেখার কোনও শেষ নেই। আরও ভাল বাবা হতে হবে। নতুন জিনিস শিখতে হবে। সেটা আমার বাবা বা শ্বশুরমশাইয়ের মত গুরুজনদের থেকেই হোক বা নতুন পড়া কোনও বই থেকে। আরও পরিণত হয়ে উঠতে হবে বাবা হিসেবে। তাই নম্বর এই মুহূর্তে বেশি দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রশ্ন : বাবা হিসেবে কত নম্বর দেবে নিজেকে? ধরো দশের মধ্যে? উত্তর : বাবা হিসেবে আমি খুব একটা নম্বর নিজেকে দেব না। খুব বেশি হলে আমি দশে পাঁচ দেব। কারণ, এখনও অনেক শেখার বাকি। শুধুমাত্র তো বাচ্চাদের শেখার থাকে না। সারা জীবন একটা মানুষ শেখে। তাই বাবা হিসেবে বা একজন স্বামী হিসেবে এবং একজন সন্তান হিসেবেও শেখার কোনও শেষ নেই। আরও ভাল বাবা হতে হবে। নতুন জিনিস শিখতে হবে। সেটা আমার বাবা বা শ্বশুরমশাইয়ের মত গুরুজনদের থেকেই হোক বা নতুন পড়া কোনও বই থেকে। আরও পরিণত হয়ে উঠতে হবে বাবা হিসেবে। তাই নম্বর এই মুহূর্তে বেশি দেওয়া যাচ্ছে না।
advertisement
11/13
প্রশ্ন : তুমি নিজে একজন সেলিব্রিটি। আবার একজন সেলিব্রিটিকে বাবা হিসেবে পেয়েছ। বাবার সঙ্গে তোমার সম্পর্কের কেমিস্ট্রি নিয়ে একটু বলো... উত্তর : বাবা যে একজন পাবলিক ফিগার সেটা বুঝেছি একটু বড় হয়ে। যদিও বাবা সবসময়ই সেটাকে বুঝতে না দেওয়ার চেষ্টাই করতেন। বাবা বলতেন, কাজটা কাজ। সে ক্যামেরার সামনে হোক বা অফিসে হোক। আমি আর দাদা সেটা মেনেই বড় হয়েছি। বাবা সবসময় বন্ধুর মত ছিলেন। একজন 'গাইডিং ফ্যাক্টর' হয়ে আছেন এখনও। বাবার সঙ্গে তুলনা করলে নিজেকে আরও কম নম্বর দেব হয়ত। বাবাকে ভয় পেতাম। মা-র সঙ্গে অনেক বেশি নিজেদের কথা ভাগ করে নিতাম। কিন্তু এমন নয় যে বাবা খুব কখনও বকাবকি করেছেন, খুব অন্যায় না করলে। বোধহয় বাবার গম্ভীর গলার স্বরের জন্যেই ছোটবেলা থেকে একটু বেশি ভয় পেতাম। কিন্তু আমি আর দাদা গৌরব বন্ধু হিসেবেও পেয়েছি বাবাকে। বাবা-মা দুজনেই অত্যন্ত বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তাই আমাদের কাছে আমাদের বাবাই সেরা বাবা!
প্রশ্ন : তুমি নিজে একজন সেলিব্রিটি। আবার একজন সেলিব্রিটিকে বাবা হিসেবে পেয়েছ। বাবার সঙ্গে তোমার সম্পর্কের কেমিস্ট্রি নিয়ে একটু বলো... উত্তর : বাবা যে একজন পাবলিক ফিগার সেটা বুঝেছি একটু বড় হয়ে। যদিও বাবা সবসময়ই সেটাকে বুঝতে না দেওয়ার চেষ্টাই করতেন। বাবা বলতেন, কাজটা কাজ। সে ক্যামেরার সামনে হোক বা অফিসে হোক। আমি আর দাদা সেটা মেনেই বড় হয়েছি। বাবা সবসময় বন্ধুর মত ছিলেন। একজন 'গাইডিং ফ্যাক্টর' হয়ে আছেন এখনও। বাবার সঙ্গে তুলনা করলে নিজেকে আরও কম নম্বর দেব হয়ত। বাবাকে ভয় পেতাম। মা-র সঙ্গে অনেক বেশি নিজেদের কথা ভাগ করে নিতাম। কিন্তু এমন নয় যে বাবা খুব কখনও বকাবকি করেছেন, খুব অন্যায় না করলে। বোধহয় বাবার গম্ভীর গলার স্বরের জন্যেই ছোটবেলা থেকে একটু বেশি ভয় পেতাম। কিন্তু আমি আর দাদা গৌরব বন্ধু হিসেবেও পেয়েছি বাবাকে। বাবা-মা দুজনেই অত্যন্ত বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তাই আমাদের কাছে আমাদের বাবাই সেরা বাবা!
advertisement
12/13
প্রশ্ন : বাবা 'ফেলুদা' এই বিষয়টা কেমন এনজয় করতে ছোটবেলায়? বন্ধুরা কী কিছু বলতো? উত্তর : সত্যি কথা বলতে 'ফেলুদা' বলতে যে এই বিশাল ব্যাপারটা একদম ছোট বয়সে ঠিক বুঝতাম না। সত্যজিৎ রায়ের লেখা চরিত্র, তাঁর করা সিনেমা, সন্দীপ রায়ের করা ছবি, সেই এক আইকনিক চরিত্রে বাবা অভিনয় করছেন এত কিছু তখন বুঝতাম না। তবে একটা যে বিশেষ কিছু সেটুকু বুঝতাম। এনজয় করতাম। বন্ধুরা বলতো অবশ্য। তখন একটু অবাক হতাম। কারণ এই গ্ল্যামার ব্যাপারটা মা-বাবা আমাদের কোনওদিনই বুঝতে দেননি। সেটা হয়তো উচিতও নয়। আমাদের বড় হয়ে ওঠাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক আর পাঁচটা বাচ্চার মতই হয়েছে। মজা তো লাগত, একটা অন্য ধরণের পেশায় বাবা-মা আছেন। তখন তো ভাবিনি আমরাও এই পেশাতেই এসে পড়ব। আমি খুব খুশি আমার মা-বাবা সেটা বুঝতে দেননি।
প্রশ্ন : বাবা 'ফেলুদা' এই বিষয়টা কেমন এনজয় করতে ছোটবেলায়? বন্ধুরা কী কিছু বলতো? উত্তর : সত্যি কথা বলতে 'ফেলুদা' বলতে যে এই বিশাল ব্যাপারটা একদম ছোট বয়সে ঠিক বুঝতাম না। সত্যজিৎ রায়ের লেখা চরিত্র, তাঁর করা সিনেমা, সন্দীপ রায়ের করা ছবি, সেই এক আইকনিক চরিত্রে বাবা অভিনয় করছেন এত কিছু তখন বুঝতাম না। তবে একটা যে বিশেষ কিছু সেটুকু বুঝতাম। এনজয় করতাম। বন্ধুরা বলতো অবশ্য। তখন একটু অবাক হতাম। কারণ এই গ্ল্যামার ব্যাপারটা মা-বাবা আমাদের কোনওদিনই বুঝতে দেননি। সেটা হয়তো উচিতও নয়। আমাদের বড় হয়ে ওঠাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক আর পাঁচটা বাচ্চার মতই হয়েছে। মজা তো লাগত, একটা অন্য ধরণের পেশায় বাবা-মা আছেন। তখন তো ভাবিনি আমরাও এই পেশাতেই এসে পড়ব। আমি খুব খুশি আমার মা-বাবা সেটা বুঝতে দেননি।
advertisement
13/13
১২) প্রশ্ন : অভিযাত্রিক-এ তুমি অপু। কাজলের বাবা। এই চরিত্রটা থেকে তুমি বাবা হওয়ার কোন গুণটা শিখেছ? উত্তর : আমার মনে হয়, অপু অর্থাৎ অপূর্ব কুমার রায় একজন আদর্শ বাবা। যিনি অত্যন্ত শান্ত, দৃঢ়চেতা। 'সিঙ্গেল ফাদার' হিসেবে ছেলেকে মানুষ করছেন তাঁর মত করে। কিন্তু জীবনের চরম খারাপ সময়েও মানসিক দৃঢ়তা একটুও টলেনি তাঁর। বই-পড়া, সাদা-মাটা জীবন, কাজলকে গ্রাম দেখাতে নিয়ে যাওয়া। সবকিছুর মধ্যেই একজন খুব ঠাণ্ডা মাথার, অত্যন্ত শিক্ষিত, রুচিবান, গুণী মানুষকে পাওয়া যায় যাঁকে কাজল বাবা হিসেবে পেয়েছে। অপূর্বর ওই ঠাণ্ডা স্বভাব, পরিণত বুদ্ধি, চারিত্রিক ঋজুতা এগুলো যদি নিজের চরিত্রে আনতে পারি তাহলে একটা বিশাল পাওয়া হবে সেটা!
১২) প্রশ্ন : অভিযাত্রিক-এ তুমি অপু। কাজলের বাবা। এই চরিত্রটা থেকে তুমি বাবা হওয়ার কোন গুণটা শিখেছ? উত্তর : আমার মনে হয়, অপু অর্থাৎ অপূর্ব কুমার রায় একজন আদর্শ বাবা। যিনি অত্যন্ত শান্ত, দৃঢ়চেতা। 'সিঙ্গেল ফাদার' হিসেবে ছেলেকে মানুষ করছেন তাঁর মত করে। কিন্তু জীবনের চরম খারাপ সময়েও মানসিক দৃঢ়তা একটুও টলেনি তাঁর। বই-পড়া, সাদা-মাটা জীবন, কাজলকে গ্রাম দেখাতে নিয়ে যাওয়া। সবকিছুর মধ্যেই একজন খুব ঠাণ্ডা মাথার, অত্যন্ত শিক্ষিত, রুচিবান, গুণী মানুষকে পাওয়া যায় যাঁকে কাজল বাবা হিসেবে পেয়েছে। অপূর্বর ওই ঠাণ্ডা স্বভাব, পরিণত বুদ্ধি, চারিত্রিক ঋজুতা এগুলো যদি নিজের চরিত্রে আনতে পারি তাহলে একটা বিশাল পাওয়া হবে সেটা!
advertisement
advertisement
advertisement