বিয়ে না করেই দিয়েছেন সন্তানের জন্ম, থেকেছেন ৬ সন্তানের বাবার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ! মা দক্ষিণী ছবির জগতে আর মেয়ে বলিউডের ডাকসাইটে নায়িকা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Affair With A Father Of 6, Pregnant Out Of Wedlock: ১৯৪০ এবং ৫০-এর দশকের দক্ষিণী ছবির বিখ্যাত এই নায়িকাই বলিউড-কিংবদন্তি রেখার মা।
প্রদীপের তলাটাই ঠিক অন্ধকার, কথাটা বহু ব্যবহারে জীর্ণ হলেও পুষ্পাবলীর ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে খেটে যায়। পুরো নাম কান্দালা ভেঙ্কটা পুষ্পাবলী তায়ারু, যিনি চলচ্চিত্র দর্শকদের কাছে শুধু পুষ্পাবলী নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৪০ এবং ৫০-এর দশকের দক্ষিণী ছবির বিখ্যাত এই নায়িকাই বলিউড-কিংবদন্তি রেখার মা। ১৯২৬ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে জন্ম, পুষ্পাবলী খুব অল্প বয়সেই সিনেমার প্রতি আকৃষ্ট হন।
advertisement
মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ রামায়ণম (১৯৩৬) ছবিতে সীতার ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্র থেকে তিনি ৩০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন, যা সেই সময়ে একটি রীতিমতো বড়সড় অঙ্ক ছিল, যা নায়কের আয়কেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এর পর কেরিয়ারে গতি আসে ১৯৪২ সালের বাল নাগাম্মা এবং ১৯৪৭ সালের মিস মালিনী চলচ্চিত্রের বক্স অফিসে সুবিশাল সাফল্যের মাধ্যমে, পুষ্পাবলী নিজেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন ছবির জগতে।
advertisement
প্রায় দুই দশক ধরে তিনি জেমিনি স্টুডিওতে কাজ করেন, তেলুগু, তামিল এবং হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেন। পেশাগত জীবন ঝলমলে হলেও ব্যক্তিগত জীবন ছিল অস্থিরতায় ভরা। আইনজীবী আইভি রঙ্গচারীর সঙ্গে অল্প বয়সে বিয়ে, শীঘ্রই তা ভেঙেও যায়। মিস মালিনী নির্মাণের সময়ই পরিচয় হয় অভিনেতা জেমিনি গণেশনের সঙ্গে। গণেশন ইতিমধ্যেই বিবাহিত এবং ছয় সন্তানের জনক, তাঁরা প্রেমে পড়েন এবং দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয়।
advertisement
বিয়ে তাঁদের হয়নি, তাঁরা শুধু একসঙ্গে থাকতেন, দুই কন্যা ছিল- রেখা এবং রাধা। পুষ্পাবলী সারা জীবন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কলঙ্ক বহন করেছিলেন, কখনই প্রকাশ্যে গণেশনকে স্বামী হিসাবে স্বীকার করতে পারেননি। তিনি ১৯৯১ সালে মারা যান। ব্যক্তিগত কষ্ট সত্ত্বেও পুষ্পাবলী তাঁর পরিবারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। সংসারের দায়িত্ব বহন করতেন তিনিই এবং সময় এলে মেয়ে রেখাকে সিনেমার জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। মায়ের মতো রেখাও ঠিক ১২ বছর বয়সেই তেলুগু ছবি রঙ্গুলা রত্নম দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন।
advertisement
মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি আনজানা সফর (পরে দো শিকারি নামে মুক্তিপ্রাপ্ত ) দিয়ে বলিউডে পা রাখেন। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন হিন্দি ছবির কিংবদন্তি নায়িকাদের একজন। মায়ের ভাগ্যের ছায়া পড়েছিল মেয়ের সিঁথিতেও। সুপারস্টারডম সত্ত্বেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন অসম্পূর্ণ সম্পর্ক এবং ব্যর্থ বিবাহে ভরা। শেষ পর্যন্ত পুষ্পাবলীর মতো রেখাও অবিবাহিত রয়ে গিয়েছেন। পুষ্পাবলী এনটি রামা রাও সিনিয়রের সঙ্গে ১০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর জীবন সংক্ষেপে মহানটী ছবিতে উঠে এসেছিল, যেখানে অভিনেতা বিন্দু চন্দ্রমৌলি তাঁর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
advertisement