East Medinipur News: বাবা মৎস্যজীবী, অভাব নিত‍্যসঙ্গী, দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানে জিনোম নিয়ে গবেষণা করবে মেয়ে! কাঁথির কন‍্যার বড় সাফল‍্য

Last Updated:
East Medinipur News: অভাবকে জয় করে, দিল্লিতে গবেষণা করতে যাচ্ছেন কাঁথির মৎস্যজীবীর মেয়ে।
1/6
অভাব আর প্রতিকূলতাকে জয় করে জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছেন কাঁথির মৎস্যজীবী পরিবারের কন্যা সুনন্দিতা বর। দেশের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্লান্ট জিনোম রিসার্চ সেন্টারে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর এই কৃতিত্বে পরিবার, শিক্ষক এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার নেমেছে। এই সাফল্য শুধু পরিবারের নয়, গোটা এলাকার গর্ব। ( তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
অভাব আর প্রতিকূলতাকে জয় করে জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছেন কাঁথির মৎস্যজীবী পরিবারের কন্যা সুনন্দিতা বর। দেশের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্ল‍্যান্ট জিনোম রিসার্চ সেন্টারে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর এই কৃতিত্বে পরিবার, শিক্ষক এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার নেমেছে। এই সাফল্য শুধু পরিবারের নয়, গোটা এলাকার গর্ব। ( তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
2/6
কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের নয়পুটের বড়রামমাইতিবাড় গ্রামের মৎস্যজীবীর মেয়ে সে। সুনন্দিতার শিক্ষাজীবন শুরু থেকেই সহজ ছিল না। আর্থিক সংকটের কারণে মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তবে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি তাঁকে আবার স্কুলমুখো করে। নয়াপুট সুধীর কুমার হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যান। স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা তাঁকে নতুন অনুপ্রেরণা দেয়। ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তিনি প্রভাতকুমার কলেজে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হন।
কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের নয়পুটের বড়রামমাইতিবাড় গ্রামের মৎস্যজীবীর মেয়ে সে। সুনন্দিতার শিক্ষাজীবন শুরু থেকেই সহজ ছিল না। আর্থিক সংকটের কারণে মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তবে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি তাঁকে আবার স্কুলমুখো করে। নয়াপুট সুধীর কুমার হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যান। স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা তাঁকে নতুন অনুপ্রেরণা দেয়। ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তিনি প্রভাতকুমার কলেজে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হন।
advertisement
3/6
কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজ থেকে ২০২২ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন সুনন্দিতা। এরপর ২০২৪ শে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ২০২৩-এ ইউজিসি-সিএসআইআর নেট পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে ২২৭তম স্থান অর্জন করে জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ লাভ করেন। এই অর্জন তাঁর জন্য গবেষণার নতুন দরজা খুলে দেয়। সাফল্যের পথে এই অগ্রগতি তাঁর অধ্যবসায়, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রমেরই ফল, যা আজ বাকি ছাত্রছাত্রীদের জন্য উদাহরণ।
কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজ থেকে ২০২২ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন সুনন্দিতা। এরপর ২০২৪ শে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ২০২৩-এ ইউজিসি-সিএসআইআর নেট পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে ২২৭তম স্থান অর্জন করে জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ লাভ করেন। এই অর্জন তাঁর জন্য গবেষণার নতুন দরজা খুলে দেয়। সাফল্যের পথে এই অগ্রগতি তাঁর অধ্যবসায়, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রমেরই ফল, যা আজ বাকি ছাত্রছাত্রীদের জন্য উদাহরণ।
advertisement
4/6
সুনন্দিতার বাবা সুকুমার বর এবং মা শকুন্তলা বর মেয়ের পড়াশোনার জন্য প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সংসারের অভাব সত্ত্বেও বড় ও ছোট মেয়ের বিয়ের পরও সুনন্দিতার পড়াশোনা থামতে দেননি তাঁরা। তাঁর সাফল্যে গর্বিত হয়ে বাবা-মা বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি এত বড় জায়গায় পৌঁছাবে মেয়ে। শিক্ষকদের সহযোগিতা আর কিছু সহৃদয় মানুষের সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব হত না।” তাঁদের চোখে এখন শুধু আনন্দ আর গর্ব।
সুনন্দিতার বাবা সুকুমার বর এবং মা শকুন্তলা বর মেয়ের পড়াশোনার জন্য প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সংসারের অভাব সত্ত্বেও বড় ও ছোট মেয়ের বিয়ের পরও সুনন্দিতার পড়াশোনা থামতে দেননি তাঁরা। তাঁর সাফল্যে গর্বিত হয়ে বাবা-মা বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি এত বড় জায়গায় পৌঁছাবে মেয়ে। শিক্ষকদের সহযোগিতা আর কিছু সহৃদয় মানুষের সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব হত না।” তাঁদের চোখে এখন শুধু আনন্দ আর গর্ব।
advertisement
5/6
আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিনি যোগ দিচ্ছেন নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্লান্ট জিনোম রিসার্চ সেন্টারে। গবেষণার কাজে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতিতে পাশে দাঁড়িয়েছেন নয়াপুট স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র পিন্টু মাইতি। নয়াপুট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বসন্ত কুমার ঘোড়াই বলেন, “সুনন্দিতার এই সাফল্য প্রমাণ করে, দৃঢ় ইচ্ছা থাকলে কোনো প্রতিকূলতাই সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।” স্কুলের শিক্ষকরাও তাঁর কৃতিত্বে গর্বিত।
আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিনি যোগ দিচ্ছেন নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্লান্ট জিনোম রিসার্চ সেন্টারে। গবেষণার কাজে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতিতে পাশে দাঁড়িয়েছেন নয়াপুট স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র পিন্টু মাইতি। নয়াপুট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বসন্ত কুমার ঘোড়াই বলেন, “সুনন্দিতার এই সাফল্য প্রমাণ করে, দৃঢ় ইচ্ছা থাকলে কোনও প্রতিকূলতাই সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।” স্কুলের শিক্ষকরাও তাঁর কৃতিত্বে গর্বিত।
advertisement
6/6
নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সুনন্দিতা বলেন, “যদি লক্ষ্য স্থির থাকে তবে দারিদ্রতা একদিন হার মানবে। নিরন্তর পরিশ্রম করলে সহায়তা আসবেই। আমি চাই দেশের জন্য কিছু করতে।” তাঁর এই বক্তব্য শুধু এলাকার ছাত্রছাত্রীদের নয়, সাধারণ মানুষকেও অনুপ্রাণিত করছে। প্রতিকূলতার ভেতর থেকেও যে স্বপ্ন পূরণ সম্ভব, সুনন্দিতার এই কাহিনি তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতে সে দেশের জন্য আরও বড় অবদান রাখতে চায়।
নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সুনন্দিতা বলেন, “যদি লক্ষ্য স্থির থাকে তবে দারিদ্রতা একদিন হার মানবে। নিরন্তর পরিশ্রম করলে সহায়তা আসবেই। আমি চাই দেশের জন্য কিছু করতে।” তাঁর এই বক্তব্য শুধু এলাকার ছাত্রছাত্রীদের নয়, সাধারণ মানুষকেও অনুপ্রাণিত করছে। প্রতিকূলতার ভেতর থেকেও যে স্বপ্ন পূরণ সম্ভব, সুনন্দিতার এই কাহিনি তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতে তিনি দেশের জন্য আরও বড় অবদান রাখতে চান।
advertisement
advertisement
advertisement