Best Indian University THE Impact Rankings 2025: বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০ ইউনিভার্সিটির তালিকায় স্থান ভারতীয় ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের, দেখুন কাদের কপাল খুলল

শিক্ষার্থী কতটা যোগ্য, তার প্রমাণ দেয় তাঁর পরীক্ষার ফলাফল। সেই নিরিখেই আজীবন তাঁকে বিচার করা হয়ে থাকে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও সেই মানদণ্ড কাজ করে। কিন্তু, যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা ওঠে, তাহলে কোনটা সেরা, তা বোঝা সহজ নয়।

কিছু ইউনিভার্সিটি দীর্ঘ কাল ধরে শিক্ষাদানের সূত্রে খ্যাতিমান হয়ে যায়, তা বলে অন্যরাও যে পিছিয়ে থাকবে এমন কোনও মানে নেই। এই দিক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান তুলে ধরে কোনও না সংস্থার র‍্যাঙ্কিং।

এবার টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) ইমপ্যাক্ট র‍্যাঙ্কিং ২০২৫-এ শীর্ষ ৫০-এর মধ্যে স্থান পাওয়া একমাত্র দুটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হল অমৃতা বিশ্ব বিদ্যাপীঠম এবং লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি (LPU)। এই র‍্যাঙ্কিংয়ে United Nations Sustainable Development Goals (SDGs) অর্জনের অগ্রগতির জন্য বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মূল্যায়ন করা হয়েছে।

এই বছর, ১৩৫টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছিল, কিন্তু মাত্র চারটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০-তে স্থান পেয়েছে। অমৃতা বিশ্ব বিদ্যাপীঠম ৪১তম স্থানে রয়েছে এবং LPU ৪৮তম স্থানে রয়েছে। JSS অ্যাকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন এবং শূলিনী ইউনিভার্সিটিও শীর্ষ ১০০-তে রয়েছে। জলবায়ুর কর্মকাণ্ড, মানসম্মত শিক্ষা, শক্তি এবং লিঙ্গ সমতার মতো বিভিন্ন SDG-তে গবেষণা, প্রচার এবং ক্যাম্পাস পরিচালনার মতো সূচকগুলির উপর ভিত্তি করে এই র‍্যাঙ্কিং তৈরি করা হয়েছে।

অমৃতা SDG ৪ (মানসম্মত শিক্ষা), SDG ৭ -এ (সাশ্রয়ী মূল্য এবং শক্তি) দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে এবং আজীবন শিক্ষা এবং জলবায়ু কর্মকাণ্ডর ক্ষেত্রে ১০০/১০০ স্কোর করেছে। LPU বিশ্বব্যাপী শক্তির জন্য ৫ম, টেকসই শহরগুলির জন্য ৬তম এবং অগ্রগতির জন্য ৮তম স্থানে রয়েছে, যার সামগ্রিক স্কোর ৯২.৬। শূলিনী বিশ্ববিদ্যালয় জলবায়ু কর্মকাণ্ডের জন্য ৩৮তম স্থানে রয়েছে এবং পরিষ্কার জল এবং শক্তি প্রচেষ্টার জন্য শীর্ষ ১০০তেও স্থান পেয়েছে।

বিশ্বব্যাপী, ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় (অস্ট্রেলিয়া) টানা চতুর্থ বছরের জন্য শীর্ষ স্থান বজায় রেখেছে। তবে, এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখন শীর্ষ স্তরে আধিপত্য বিস্তার করেছে, যা শীর্ষ ৫০টি অবস্থানের মধ্যে ২২টি স্থান দখল করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে ইন্দোনেশিয়ার ইউনিভার্সিটিস এয়ারলাঙ্গা যৌথভাবে নবম স্থান অর্জন করেছে।

মালয়েশিয়া, হংকং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলিও শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, যা উচ্চ শিক্ষায় আঞ্চলিক নেতৃত্বের পরিবর্তনকে তুলে ধরেছে।