East Bardhaman News: পরীক্ষা দিয়েও ফেল! ডিপার্টমেন্টের গাফিলতিতে বিপাকে কাটোয়া কলেজের ৯২ জন পড়ুয়া
- Published by:Sudip Paul
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
East Bardhaman News: এক মারাত্মক গাফিলতিতে বিপাকে পড়েছেন কাটোয়া কলেজের ইতিহাস ও পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের পড়ুয়ারা। চিন্তায় ৯২ জন পড়ুয়া।
এক মারাত্মক গাফিলতিতে বিপাকে পড়েছেন কাটোয়া কলেজের ইতিহাস ও পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের পড়ুয়ারা। ষষ্ঠ সেমিস্টারের পরীক্ষার ফলাফলে দুটি বিভাগের মোট ৯২ জন ছাত্রছাত্রীকে ভুলভাবে ব্যাক (PNC) দেখানো হয়েছে। এর জেরে বৃহস্পতিবার কলেজ চত্বরে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা প্রিন্সিপালকে কার্যত ঘেরাও করে দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
ইতিহাস বিভাগের ছাত্র শুভ্র পাল বলেন, “আমাদের ইতিহাস বিভাগের সিসি-১৩ পেপারে এবং পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের দু’টি পেপারে মোট ৯২ জনকে ব্যাক দেখানো হয়েছে। অথচ আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। এটা পুরোপুরি ডিপার্টমেন্টের গাফিলতি। যিনি স্যার ছিলেন তিনি আমাদের ইন্টারনালের নাম্বার বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে আপলোড করেননি। তার ফলেই এই অবস্থা।”তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
তিনি আরও বলেন, “আগামী ৯ তারিখের মধ্যে রেজাল্ট না পেলে আমরা মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারব না। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, একটি বছর সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে। পরীক্ষা দিয়েও ফেল দেখানো হচ্ছে—এটা অন্যায়, অন্যায়েরও চূড়ান্ত।” পড়ুয়ারা দাবি তুলেছেন, শুধু রেজাল্ট সংশোধন করলেই হবে না, যিনি এই ভুল করেছেন তাঁকে চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন কাটোয়া কলেজের প্রিন্সিপাল নির্মলেন্দু সরকার। তিনি জানিয়েছেন, “ইন্টারনাল মার্কস বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে আপলোড না হওয়াতেই ছাত্রছাত্রীদের ব্যাক (PNC) দেখিয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীদের কোনও দোষ নেই। দায় আমাদেরই নিতে হবে। বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে ই-মেইল করে জানিয়েছি।”তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
advertisement
ঘটনার পর কলেজ চত্বরে টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শতাধিক ছাত্রছাত্রী একযোগে প্রিন্সিপালের ঘরে জমায়েত হয়ে নিজেদের দাবি-দাওয়া জানান। তারা স্পষ্ট করে দেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, রেজাল্ট সংশোধনই একমাত্র উপায়। নাহলে তাদের ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানানো হয়েছে। এখন দেখার, কত দ্রুত রেজাল্ট সংশোধন করে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার সমাধান হয়।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী