

আচমকা গাড়ির সামনে চলে এসেছিল গরু-মোষের পাল৷ আর তাদের বাঁচাতে গিয়েই উল্টে যায় পুলিশের গাড়ি৷ সেই সুযোগেই পুলিশকর্মীর পিস্তল নিয়ে পালায় বিকাশ দুবে৷ কানপুর এনকাউন্টার কাণ্ডে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই দাবি করল উত্তর প্রদেশ পুলিশের এসটিএফ৷ তাদের আরও দাবি, বিকাশকে জীবিত অবস্থায় ধরার জন্য সবরকম চেষ্টাই করা হয়েছিল৷ কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ৷


এ দিন সকালে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন থেকে কানপুরে আনার পথে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় বিকাশ দুবের৷ যে গাড়িতে করে বিকাশকে নিয়ে আসা হচ্ছিল, সেটি কানপুরের কাছে উল্টে যায়৷ পুলিশের দাবি, পুলিশকর্মীর পিস্তল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে৷ পাল্টা পুলিশ গুলি চালালে মৃত্যু হয় তার৷ যদিও পুলিশের এই দাবি ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে৷


এসটিএফ অবশ্য প্রেস বিবৃতিতে দাবি করেছে, কানপুরের সচেন্ডি থানা এলাকায় আচমকা পুলিশের গাড়ির সামনে গরু মোষের পাল চলে আসে৷ দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত গাড়ির চালক গরু, মোষগুলিকে বাঁচাতে দ্রুত গাড়িটি পাশ কাটিয়ে বেরোতে যান৷ তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে যায়৷


এসটিএফ অবশ্য প্রেস বিবৃতিতে দাবি করেছে, কানপুরের সচেন্ডি থানা এলাকায় আচমকা পুলিশের গাড়ির সামনে গরু মোষের পাল চলে আসে৷ দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত গাড়ির চালক গরু, মোষগুলিকে বাঁচাতে দ্রুত গাড়িটি পাশ কাটিয়ে বেরোতে যান৷ তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে যায়৷


পুলিশের দাবি অনুযায়ী, তখনই পিছন থেকে আসা পুলিশের আরও একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ সেই গাড়িতে ছিলেন উত্তর প্রদেশ এসটিএফ-এর সহকারী প্রধান তেজবাহাদুর সিং-এর নেতৃত্বে একটি দল৷ তেজবাহাদুর সিং-এর নেতৃত্বেই পুলিশের দলটি বিকাশকে ফিরিয়ে আনছিল৷


পুলিশের দাবি অনুযায়ী, আহত পুলিশকর্মীদের থেকে ঘটনার কথা শুনে তেজবাহাদুর সিং-এর নেতৃত্বে বাকি পুলিশকর্মীরা বিকাশের পিছু নেয়৷ কিন্তু তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে বিকাশ৷ অভিযুক্তকে জীবিত ধরতে পুলিশকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁর কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করেন বলেও দাবি করা হয়েছে প্রেস বিবৃতিতে৷