

স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের সময় বিভিন্ন অ্যাপে লাইভ শো করার অভিযোগ৷ মধ্যপ্রদেশের বিদিশা থেকে গ্রেফতার ২৪ বছর বয়সি এক যুবক৷ নিজের দুই স্ত্রীর সঙ্গেই যুবক একই কীর্তি করে বলে অভিযোগ৷


ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বিদিশায়৷ টাকার বিনিময়েই যুবক স্ত্রীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের লাইভ শো চালাত বলে অভিযোগ৷ এ ভাবেই ওই যুবক লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে বলে দাবি পুলিশের৷ Representative Image


অভিযুক্ত যুবকের দু'টি বিয়ে৷ তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এ বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরই ঘটনাটি পুলিশের গোচরে আসে৷ যুবকের যে আরও একটি বিয়ে রয়েছে, তা তার কোনও স্ত্রীই জানতেন না৷representative image


পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবক ক্লাস টেন পাস হলেও সে যথেষ্ট টেক স্যাভি৷ ডেটিং অ্যাপে ডিজিটাল গিফট কী ভাবে টাকায় বদলে ফেলতে হয়, সে বিষয়ে অভিযুক্ত যথেষ্ট সড়গড়৷ বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপে নথিভুক্ত ছিল সে৷


যুবকের দ্বিতীয় স্ত্রী এই লাইভ শোয়ের কথা জানতেন না৷ কিন্তু তদন্তকারীদের দাবি, বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সম্মতি আদায় করে নিয়েছিল ওই যুবক৷ তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা৷ যুবকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও করেননি তিনি৷ Photo- Representive


ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ধর্ষম এবং গোপনীয়তা ভঙ্গের ধারায় অভিযোগ এনেছে পুিলশ৷ তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগ, গোপন ছবি জনসমক্ষে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর উপরে নির্যাতন চালাত ওই যুবক৷ photo source collected


সংসদে তিনটি লেবার কোড বিল (Labour Code Bills) পাস হয়ে গিয়েছে ৷ এর মধ্যে রয়েছে অকুপেশনাল সেফ্টি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন বিল ২০২০, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন বিল ২০২০ ও সোশ্যাল সিকিউরিটি বিল ২০২০ সামিল রয়েছে ৷ সোশ্যাল সিকিউরিটি বিল ২০২০ অন্তর্গত গ্যাচুইটি সংক্রান্ত নিয়মের বিষয়ে জানানো হয়েছে ৷


কীভাবে ওই যুবক লাইভ শো থেকে আয় করত, তা জানতে পেরেছে পুলিশ৷ প্রথমত, ১০০ টাকার বিনিময়ে ট্রেলার দেখানো হত৷ তার পর ৫০০, ৭০০, ১০০০ টাকায় আরও বেশি সময় লাইভ শো দেখার সুযোগ পাওয়া যেত৷


পুলিশ জানিয়েছে, গত এক মাসেই অন্তত ৬ লক্ষ টাকা আয় করেছে ওই যুবক৷ দৈনিক সে তিন থেকে চার হাজার টাকা আয় করত বলে দাবি পুলিশের৷ তবে কারা এই টাকা ওই যুবককে পাঠিয়েছিল, তা খুঁজে বের করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে৷


যুবকের প্রথম স্ত্রী বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপের পর বিয়ে করে তারা৷ কিন্তু উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী একজন আধ্যাত্মিক মহিলা৷ তিনি এক আধ্যাত্মিক গুরুর শিষ্যা৷ ওই গুরুর ভক্ত হিসেবে পরিচয় দিয়েই দ্বিতীয় স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে অভিযুক্ত যুবক৷ মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে তাকে৷