পূজারি থেকে নাবালক ছাত্র, সাত দিন ধরে ৬ জনে মিলে ছিঁড়ে খেয়েছিল ছোট্ট শরীরটা...
Last Updated:
advertisement
টানা সাত দিন ধরে চলে বাড়ির ছোট মেয়ের খোঁজে খানা তল্লাশি ৷ পাড়া-পড়শি থেকে পুলিশ কিছুই বাকি ছিল না ৷ শেষে জঙ্গলের পথেই দেখা মিলল বেগুনি সালোয়ার পড়া ছোট্ট শরীরের ৷ তবে সে শরীরে ছিল না প্রাণের স্পর্শ ৷ ছোট ফুটফুটে শরীরে শুধুই ক্ষত ৷ ফর্সা কচি গাল কাটা ছেঁড়া ৷ খোবলানো চোখ ৷ আঁচড়ে-কামড়ে গোলাপি ঠোঁট তখন প্রায় ছিঁড়ে ঝুলে পড়েছে ৷ গোটা শরীরে কালশিটে ৷ মাথাটা থ্যাঁতলানো ৷ ফুলের মতো মেয়েটির দিকে তখন আর তাকানো যায় না ৷
advertisement
নৃশংসতার এখানেই শেষ নয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নাড়িয়ে দিল গোটা দেশকে ৷ ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সাত দিন ধরে অগণিত বার ছোট শরীরটাকে ভোগ করেছে ৬ জন নরপশু ৷ চলেছে অকথ্য মারধর ৷ ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটে মাথা থেঁতলে খুন করেও লালসা মেটেনি ধর্ষকদের ৷ কামড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয় কচি ঠোঁট ৷ নিথর কচি শরীরটাও রেহাই পায়নি ৷ প্রাণহীন শরীরের উপরও চলেছে উপুর্যপুরি ধর্ষণ ৷
advertisement
advertisement
advertisement
ছোট শরীরটি যেন কোনও লোভনীয় জিভে জল আনা খাবার ৷ চার্জশিটে উল্লেখ, ফুটফুটে শরীরটাকে ভোগ করতে ফোন করে বাকিদের ডেকে আনে সনঝি রাম এবং রীতিমতো সকলকে এই ঘৃণ্য কাজের জন্য উসকে দিতে থাকে সে ৷ উপর্যপুরি ধর্ষণে একে একে যোগ দেয় পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়া, পরবেশ কুমার ৷ পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়াই নাকি প্রথম মেরে ফেলার আগে বাচ্চাটিকে একসঙ্গে ধর্ষণের পরামর্শ দেন ৷
advertisement
বর্বরতার এখানেই শেষ নয় ৷ সনঝি রামের নাবালিক ভাইপো ধর্ষণের সময় চিৎকার থামাতে পাথরে থেঁতলে দেয় বাচ্চাটির মাথা ৷ সনঝি রামের ছেলে বিশাল জগৌত্রা যে মেরঠে পড়তে গিয়েছিল তাকে ফোন করে ধর্ষণের জন্য ডেকে পাঠায় সে ৷ খুড়তুতো ভাইয়ের ফোন পেয়ে কচি শরীরের লোভে একদিন পর সেও এসে জোটে ওই নারকীয় খেলায় ৷ ফের আরও একবার দাদার সঙ্গে প্রায় অর্ধমৃত ছোট্ট শরীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে ৷ পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপে মেয়েটিকে হত্যা করে সনঝি রামের নাবালিক ভাইপো ৷ শুধু খুড়তুতো দাদাকেই নয় নিজের বন্ধু পরবেশকেও এই দুষ্কর্মের জন্য ডেকে পাঠায় সে ৷ সেও নিজের বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করে ওই ছোট্ট শরীরটির উপর ৷
advertisement
আইন রক্ষকরাই যখন ভক্ষক ৷ এই ঘটনায় সামিল ছিলেন চার পুলিশকর্মী ৷ পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়া প্রত্যক্ষ ধর্ষণে যুক্ত থাকা ছাড়াও ঘটনায় দোষী আরও তিন পুলিশকর্মী ৷ এসআই আনন্দ দত্ত, কনস্টেবল তিলক রাজ ও পুলিশকর্মী সুরেন্দ্র কুমার ৷ প্রমাণ লোপাট করতে নির্যাতিতা নাবালিকার পোশাক, এমনকি যোনিও ধুয়ে ফেলা হয় ৷ (কাঠুয়া কাণ্ডের দোষীরা)
advertisement
অপরাধের ১৭ মাস পরে সোমবার রায়দান করল পাঠানকোর্টের বিশেষ আদালত ৷ মন্দিরের পুরোহিত সহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি তিন জনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড শোনাল আদালত ৷ তবু কি ন্যায় পেল সেই নিষ্পাপ শিশুটি? কাঠুয়ার সুন্দর সাজানো জঙ্গলের পাশের রাস্তায় আজও ভেসে বেড়ায় বেগুনি সালোয়ার ছোট মেয়েটির সহ্যাতীত যন্ত্রণায় অসহায় আর্তচিৎকার ৷