অতিমারীর জের! জানেন কি সব চেয়ে বেশি চাকরি হারাচ্ছেন কারা? কাদের চাকরিতে তৈরি হয়েছে সঙ্কট

Last Updated:
প্যান্ডেমিকের ফলে ভারত-সহ নানা দেশ জুড়ে চাকরি খুইয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সমীক্ষা বলছে যে ১৯৭৩ সালের পরে কর্মহীনতা এত লম্বা সময় ধরে চলেনি আর।
1/5
করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের জোড়া ফণায় কার্যত বিধ্বস্ত বিশ্বঅর্থনীতি। দুনিয়া জুড়েই চাকরি খুইয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে যে কেরিয়ারের মধ্যগগনে রয়েছেন এমন মানুষের তুলনায় চাকরিজীবনের শেষ দিকে পৌঁছনো মানুষেরই চাকরি খোয়া গিয়েছে বেশি। মঙ্গলবার নিউ স্কুলের তরফে করা একটি সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।
করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের জোড়া ফণায় কার্যত বিধ্বস্ত বিশ্বঅর্থনীতি। দুনিয়া জুড়েই চাকরি খুইয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে যে কেরিয়ারের মধ্যগগনে রয়েছেন এমন মানুষের তুলনায় চাকরিজীবনের শেষ দিকে পৌঁছনো মানুষেরই চাকরি খোয়া গিয়েছে বেশি। মঙ্গলবার নিউ স্কুলের তরফে করা একটি সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।
advertisement
2/5
প্যান্ডেমিকের ফলে ভারত-সহ নানা দেশ জুড়ে চাকরি খুইয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তবে ৫৫ বছর বা তার উপরে বয়স, এমন মানুষের চাকরি বিপন্ন হয়েছে বেশি। তুলনায় ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের কর্মহীন হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে কম। সমীক্ষা বলছে যে ১৯৭৩ সালের পরে কর্মহীনতা এত লম্বা সময় ধরে চলেনি আর। ১৯৭০ সালের পর থেকে যতবার আর্থিক মন্দা এসেছে, সিনিয়রিটির কারণেই বয়স্কদের চাকরিতে ঝুঁকি কম ছিল। তবে করোনা অতিমারীর আবহে বয়স্ক, মহিলা, এবং কলেজ ডিগ্রি না থাকাদের চাকরি খোয়া গিয়েছে সব চেয়ে বেশি।
প্যান্ডেমিকের ফলে ভারত-সহ নানা দেশ জুড়ে চাকরি খুইয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তবে ৫৫ বছর বা তার উপরে বয়স, এমন মানুষের চাকরি বিপন্ন হয়েছে বেশি। তুলনায় ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের কর্মহীন হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে কম। সমীক্ষা বলছে যে ১৯৭৩ সালের পরে কর্মহীনতা এত লম্বা সময় ধরে চলেনি আর। ১৯৭০ সালের পর থেকে যতবার আর্থিক মন্দা এসেছে, সিনিয়রিটির কারণেই বয়স্কদের চাকরিতে ঝুঁকি কম ছিল। তবে করোনা অতিমারীর আবহে বয়স্ক, মহিলা, এবং কলেজ ডিগ্রি না থাকাদের চাকরি খোয়া গিয়েছে সব চেয়ে বেশি।
advertisement
3/5
বয়স্কদের চাকরি গেলে নতুন চাকরি পেতেও সমস্যা হয়েছে অতিমারীতে। যদিও সমীক্ষাকারীরা বলেছেন বয়সের সঙ্গে শারীরিক সুস্থতার সম্পর্ক ব্যাস্তানুপাতিক হওয়ায় করোনা পরিস্থিতিতে ৫৫ বছরের বেশি বয়সের কর্মীকে নতুন করে নিয়োগ করতে চাইছে না সংস্থাগুলি।
বয়স্কদের চাকরি গেলে নতুন চাকরি পেতেও সমস্যা হয়েছে অতিমারীতে। যদিও সমীক্ষাকারীরা বলেছেন বয়সের সঙ্গে শারীরিক সুস্থতার সম্পর্ক ব্যাস্তানুপাতিক হওয়ায় করোনা পরিস্থিতিতে ৫৫ বছরের বেশি বয়সের কর্মীকে নতুন করে নিয়োগ করতে চাইছে না সংস্থাগুলি।
advertisement
4/5
সংস্থার এই প্রবণতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাধ্যতামূলক অবসর নিতে হচ্ছে বয়স্ক, মহিলা এবং সংখ্যালঘু মানুষদের। অবসর নেওয়ার সময় আর্থিক সুবিধাও প্রাকনির্ধারিত পরিমাণের তুলনায় অনেক কম পাচ্ছেন।এর মধ্যেই একাধিক সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে লিঙ্গবৈষম্যের অভূতপূর্ব ছবি৷ সমীক্ষকদের দাবি, লকডাউনের সময় ওয়র্ক ফ্রম হোম করতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়ছেন কর্মরতা মায়েরা। ঘরে স্বামী থাকলেও অধিকাংশ সময়ে সন্তান সামলাতে হচ্ছে মায়েদেরই। ফলে টান পড়ছে নিরবচ্ছিন্ন ওয়র্কিং আওয়ার বা শ্রমঘন্টায়৷ চাকরি ছাড়তেও বাধ্য হচ্ছেন অনেক কর্মরতা মা।
সংস্থার এই প্রবণতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাধ্যতামূলক অবসর নিতে হচ্ছে বয়স্ক, মহিলা এবং সংখ্যালঘু মানুষদের। অবসর নেওয়ার সময় আর্থিক সুবিধাও প্রাকনির্ধারিত পরিমাণের তুলনায় অনেক কম পাচ্ছেন।এর মধ্যেই একাধিক সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে লিঙ্গবৈষম্যের অভূতপূর্ব ছবি৷ সমীক্ষকদের দাবি, লকডাউনের সময় ওয়র্ক ফ্রম হোম করতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়ছেন কর্মরতা মায়েরা। ঘরে স্বামী থাকলেও অধিকাংশ সময়ে সন্তান সামলাতে হচ্ছে মায়েদেরই। ফলে টান পড়ছে নিরবচ্ছিন্ন ওয়র্কিং আওয়ার বা শ্রমঘন্টায়৷ চাকরি ছাড়তেও বাধ্য হচ্ছেন অনেক কর্মরতা মা।
advertisement
5/5
ইন্সটিটিউট অফ ফিসকাল স্টাডিজ (আইএফএস) এবং ইউসিএল ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কর্মরত বাবাদের তুলনায় কর্মরতা মায়েরা অনেক কম সময় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অফিসের কাজ করতে পারছেন। ওয়র্ক ফ্রম হোম করছেন এমন বাবারা গড়ে তিন ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অফিসের কাজ করতে পারলে কর্মরতা মায়েদের ক্ষেত্রে এই সময়ের পরিমাণ মাত্র ১ ঘন্টা!
ইন্সটিটিউট অফ ফিসকাল স্টাডিজ (আইএফএস) এবং ইউসিএল ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কর্মরত বাবাদের তুলনায় কর্মরতা মায়েরা অনেক কম সময় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অফিসের কাজ করতে পারছেন। ওয়র্ক ফ্রম হোম করছেন এমন বাবারা গড়ে তিন ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অফিসের কাজ করতে পারলে কর্মরতা মায়েদের ক্ষেত্রে এই সময়ের পরিমাণ মাত্র ১ ঘন্টা!
advertisement
advertisement
advertisement