অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজের সর্বোচ্চ দাম ১০০০ টাকা, ভারতে মিলবে ফেব্রুয়ারিতেই
- Published by:Debamoy Ghosh
- news18 bangla
Last Updated:
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মী এবং বয়স্কদের জন্য এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে৷ আর আগামী এপ্রিল মাস থেকেই তা সবার জন্য দেশের বাজারে মিলবে৷
advertisement
advertisement
advertisement
পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, এমনিতে বাজারে এই ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজের দাম থাকবে ৫ থেকে ৬ মার্কিন ডলারের মধ্যে৷ সেই হিসেবে দু'টি ডোজের সর্বাধিক দাম পড়বে ১০০০ টাকা৷ তবে ভারত সরকার আরও কম দামে এই ভ্যাকসিন কিনবে৷ বাজারে অন্যান্য যে ভ্যাকসিনগুলি রয়েছে, তার তুলনায় অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দাম কম রাখা হচ্ছে বলেই দাবি পুনাওয়ালার৷
advertisement
তিনি আরও দাবি করেছেন, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যথেষ্ট ভাল এবং ট্রায়ালে তা বয়স্ক মানুষের শরীরেও খুব ভাল কাজ করেছে৷ পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর শরীরে টি- সেল তৈরি হচ্ছে, যা করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ইঙ্গিত৷ কিন্তু বাস্তবে সত্যিই কতটা দীর্ঘ সময় ধরে করে কোনও ভ্যাকসিন মানবদেহে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখবে, তা এখনই কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয় বলে দাবি পুনাওয়ালার৷
advertisement
ব্রিটেনের সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস ইভ্যালুয়েশন এজেন্সি জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের অনুমতি দিলেই ভারতেও এই ভ্যাকসিনের ইমার্জেন্সি ব্যবহারের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাছে সিরাম ইন্সস্টিটিউট আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা৷ তবে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন পেলেও শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী, সামনের সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধা এবং বয়স্কদের উপরেই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে৷
advertisement
advertisement
এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর েসভাবে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা শারীরিক সমস্যা কারও মধ্যে দেখা যায়নি বলেই জানিয়েছেন পুনাওয়ালা৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, ভারতে ট্রায়াল পর্বে এই ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতার চূড়ান্ত ফলাফল মাস দেড়েকের মধ্যে প্রকাশিত হবে৷ তখনই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে৷
advertisement
ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ভারতে মাসে ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷ তবে তার মধ্যে কী পরিমাণ ভ্যাকসিন ভারত পাবে, সে বিষয়ে এখনও চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি৷ ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে এই ভ্যাকসিন মজুত করে রাখা যাবে৷ ফলে ভারতের কোল্ড স্টোরেজগুলিতে এই ভ্যাকসিন রাখতে সমস্যা হবে না৷
advertisement