এ কেমন নববর্ষের সকাল! ফাঁকা কালীঘাট মন্দির, পুলিশ পাহারায় চলছে মাইকিং, দূর থেকেই প্রার্থনা ভক্তদের
- Published by:Elina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
নববর্ষের সকালে এমন দৃশ্য এর আগে কল্পনা করাও অসম্ভব ছিল ৷ শূন্য চত্বর, বন্ধ কালীঘাট মন্দিরে শুরু হল বাংলা নববর্ষের প্রথম সকাল
advertisement
advertisement
বছরের-পর-বছর দেখে আসা সেই ছবি লকডাউনের জেরে উধাও। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই ভক্তদের জন্য মন্দির বন্ধ। নিয়ম মেনে যেরকম পুজো হওয়ার সেগুলো চললেও সেখানে হাতেগোনা কয়েকজন পুরোহিতের উপস্থিতি। মন্দির চত্বরে পুলিশি মোতায়ন। মাইকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে লকডাউন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাড়িতেই পালনের।মন্দিরে না আসার জন্য আবেদন।
advertisement
advertisement
মন্দির বন্ধ থাকায় দূর থেকেই নমস্কার করে ফিরে যাচ্ছেন। রাস্তায় কোনও পুরোহিতকে দিয়ে উৎসর্গ করে নিচ্ছেন পুজোটা। হালখাতায় সিঁদুরের ফোটা দেওয়ার লোক নেই। হালখাতা হাতে নিয়ে দূর থেকেই ঠাকুরকে নিবেদন করছেন পুণ্যার্থী। যারা নমস্কার করতে আসছেন তারাও দূর থেকেই হাতজোড় করে নমস্কার সারছেন। মন্দিরের কাছে যেতে মানা রয়েছে পুলিশের। তথ্য ও ছবি- Eeron Roy Burman
advertisement
advertisement
কালীঘাট মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি না যাওয়াই একই নাকি বাবলু হালদার জানান, "সরকারি নির্দেশ মেনে লকডাউনের সময় ভিড় এড়াতেই মন্দির বন্ধের সিদ্ধান্ত। তবে মায়ের পুজো নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। দুপুরে মায়ের ভোগ রান্না হয়েছে। ভোর রাতে আরতির হয়েছে। যারা মন্দিরে প্রবেশ করছেন সেইসব পুরোহিত মুখে মাস্ক পড়ে নিয়েছেন। আমরা মন্দির চত্বর জীবাণু মুক্ত করছি।" তথ্য ও ছবি- Eeron Roy Burman
advertisement
মন্দির এরকম বন্ধ শেষ কবে রাখা হয়েছিল? প্রশ্নের উত্তরে বাবলু বাবু জানান, "আমি আমার জীবন দশায় এরকম মন্দির চত্বর কোনদিনও দেখিনি। বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে মন্দির খোলা ছিল। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় মন্দির বন্ধ করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। জমায়েত এড়াতে এটাই ঠিক সিদ্ধান্ত।" তথ্য ও ছবি- Eeron Roy Burman






