Investments and Returns: এখানে বিনিয়োগ করে রিটার্ন পেতে পারেন ২ কোটির বেশি টাকা ! কে দেবে এমন সুযোগ, দেখে নিন

টাকা ছাড়া জীবন চলে না। তাই স্বনির্ভর হওয়াই মানুষের জীবনের প্রথম লক্ষ্য। রোজগার শুরু হলে সারাজীবন শুধু সঞ্চয় করে যাওয়াই প্রধান কাজ। তবে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে হলে শুধু সঞ্চয় করলেই চলবে না। বরং অর্জিত অর্থকে আরও বাড়িয়ে নিতে চাইলে করতে হবে বিনিয়োগ।

কিন্তু বিনিয়োগের পথ বড় জটিল। অনেকেই তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন। কীভাবে, কোন পথে বিনিয়োগ করলে অর্জিত অর্থ নিরাপদ থাকবে, আবার তার পরিমাণও বাড়বে, ভবিষ্যৎ হবে নিশ্চিত তা নিয়ে সকলেই ভাবেন। গত প্রায় এক দশকে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনিয়োগ চিন্তা বেড়েছে। এখন নান রকম পন্থা রয়েছে বিনিয়োগের। তবে সেখানে ঝুঁকিও রয়েছে প্রচুর।

সব জায়গা থেকেই যে নিরাপদে লাভ করা যাবে এমন নয়। বরং বিপদের আশঙ্কাও থাকে। সেক্ষেত্রে বরং চিরাচরিত একটি পথের কথা ভাবা যেতে পারে, যা লাভও দেবে, আবার নিশ্চয়তাও। আর সেই পথ হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ। যাঁরা অসরকারি সংস্থার কাজ করেন বা অসংগঠিত ক্ষেত্রে, তাঁদের জন্য এই প্রকল্প একেবারে উপযোগী।

ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্য বিনিয়োগ করতে চাইলে এই প্রকল্পই সব থেকে ভাল। প্রত্যাশা অনুযায়ী রিটার্ন এবং নিরাপত্তা দুইই পাওয়া যায় এখানে। তবে মনে রাখতে হবে, এটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। সাধারণত যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা এই প্রকল্পটি বেছে নিতে পছন্দ করেন। কারণ একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই প্রকল্প থেকে যে পরিমাণ রিটার্ন পাওয়া যাবে তা তাঁদের অবসরের সময় কাজে লাগতে পারে।

হিসেব বলছে যদি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পে কোনও ব্যক্তি বিনিয়োগ করে চলেন, তাহলে একটা বড় অঙ্কের টাকা এককালীন তিনি পাবেন নির্দিষ্ট সময় পর। এমনকী চাইলে এককোটি টাকা পাওয়াও খুব সমস্যার নয়।

সাধারণত পিপিএফ-এ ১৫ বছরের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। এই মেয়াদ শেষ হলে তবেই সুদ-সহ অর্থ ফেরত পাওয়া যায়। এই মুহূর্তে পিপিএফ-এ ৭.১০ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়।

সেই অনুযায়ী ১৫ বছরের মেয়াদে কেউ যদি প্রতি মাসে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করে জমাতে পারেন, তাহলে বছরে তাঁর দেড় লক্ষ টাকা করে জমা হয়। মেয়াদ শেষে তিনি ভাল অঙ্কের টাকা ফেরত পেতে পারেন।

শুধু তাই নয়, যেকোনও বিনিয়োগকারী ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা আরও পাঁচ বছরের জন্য বৃদ্ধি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সেক্ষেত্রে ২০ বছর ধরে প্রতি বছর দেড় লক্ষ টাকা করে জমালে প্রায় ২.২৭ কোটি টাকা পাওয়া সম্ভব।