জুয়েলারদের জন্য বিআইএস হলমার্কযুক্ত সোনার গয়না বিক্রি বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। ২০২১ সালের ১৬ জুন এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। সেখানে পুরনো হলমার্ক চিহ্ন সংশোধন করা হয়। পাশাপাশি জানানো হয়, ১ জুলাই থেকে হলমার্কযুক্ত সোনার গয়নায় ৩টি চিহ্ন থাকবে। সেগুলি হল: ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) হলমার্ক, বিশুদ্ধতা/সূক্ষ্মতা গ্রেড এবং ৬-সংখ্যার আলফানিউমেরিক কোড।
তাহলে ২০২১-এর ১ জুলাইয়ের আগে কেনা সোনার গয়নাগুলোর কী হবে? পুরনো, হলমার্ক না করা সোনার গয়না বা পুরনো চিহ্ন-সহ হলমার্ক করা সোনার গয়না নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। উপায় আছে। যদি কারও কাছে হলমার্কহীন সোনার গয়না থাকে তাহলে তাঁর কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে। ক) বিআইএস নিবন্ধিত জুয়েলার্সের গয়না হলমার্ক করানো। খ) যে কোনও বিআইএস স্বীকৃত অ্যাসেইং এবং হলমার্কিং সেন্টার থেকে গহনা পরীক্ষা করা।
বিআইএস নিবন্ধিত জুয়েলার্সের থেকে গয়না হলমার্ক: ডিপার্টমেন্ট অফ কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স ওয়েবসাইট অনুসারে, গ্রাহক বিআইএস জুয়েলার্সের মাধ্যমে পুরনো সোনার গয়নায় হলমার্ক করাতে পারেন। জুয়েলার সেই গয়না বিআইএস অ্যাসাইয়িং অ্যান্ড হলমার্কিং কেন্দ্র থেকে হলমার্কিং করে আনবেন। মাথায় রাখতে হবে, প্রত্যেক সোনার গয়না হলমার্ক করার জন্য ৩৫ টাকা নেওয়া হয়।
বিআইএস স্বীকৃত অ্যাসেইং এবং হলমার্কিং সেন্টার থেকে গয়না পরীক্ষা: আরেকটি বিকল্প হল বিআইএস স্বীকৃত অ্যাসেইং এবং হলমার্কিং সেন্টার থেকে গয়না পরীক্ষা করে নেওয়া। এর জন্য চার্জ দিতে হয়। গয়না পরীক্ষার পর সেন্টার সনাক্তকরণ প্রদান করে এবং অ্যাসে রিপোর্ট দেয়। ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রকের জারি করা প্রেস রিলিজ অনুসারে, রিপোর্টে গয়নার বিশুদ্ধতা সম্পর্কে জানানো হবে এবং পরবর্তীকালে গয়না বিক্রি করতে চাইলে সেই রিপোর্ট কার্যকরী প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল, সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার দুটি পদ্ধতি রয়েছে: ক) এক্সআরএফ পদ্ধতি এবং খ) ফায়ার অ্যাসেইং পদ্ধতি। কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হচ্ছে সেটা গ্রাহককে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়।