Savings Tips: অনেক টাকা রোজগার করেও সঞ্চয় শূন্য? এই ১০ আর্থিক নিয়ম নতুন বছরে আপনাকে কোটিপতি করে তুলতে পারে
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending-desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Savings Tips: এখানে সেই ১০টি বিশেষ আর্থিক নিয়ম সম্পর্কে জানানো হল, যা কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকা দিয়ে ভর্তি করে দিতে পারে।
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক লোক রয়েছেন, যাঁরা ভাল টাকা রোজগার করলেও মাস শেষে হাত একেবারে খালি থাকে। তাঁদের কাছে মাসের শেষে কোনও টাকা অবশিষ্ট থাকে না এবং যখন তাঁদের প্রয়োজন হয় তখন তাঁরা তা পাওয়ার জন্য অন্য উপায় খোঁজেন। কিন্তু, কেউ যদি নিজেদের ভবিষ্যৎ উন্নত করতে চান, তাহলে তাঁকে টাকা সঞ্চয় করতে হবে এবং এর জন্য একটি আর্থিক কৌশল তৈরি করতে হবে। ২০২৪ সাল শেষ হতে যাচ্ছে। এই সময় আমাদের অতীতের ভুলগুলো নিয়ে ভাবার এবং নতুন বছর থেকে সেগুলো সংশোধনের সংকল্প নেওয়া প্রয়োজন। এখানে সেই ১০টি বিশেষ আর্থিক নিয়ম সম্পর্কে জানানো হল, যা কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকা দিয়ে ভর্তি করে দিতে পারে। এর পরে জীবনে আর কখনও আর্থিক সঙ্কটের কারণে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না।
advertisement
মাসিক বাজেট -আগেকার দিনে আমাদের বাড়িতে মাসিক বাজেট তৈরি করা হত এবং সেই অনুযায়ী গৃহস্থালির খরচ করা হত। কিন্তু, এখন বেতন আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চাহিদা মেটাতে আমরা দ্রুত অনলাইন পেমেন্ট করে অনেক টাকা খরচ করি। কেউ যদি টাকা সঞ্চয় করতে চায় তবে প্রথমে একটি পরিবারের বাজেট তৈরি করা শুরু করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করতে হবে এবং প্রতি মাসে সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
advertisement
একটি জরুরি তহবিল প্রস্তুত -জীবনের কোনও না কোনও সময়ে প্রতিটি মানুষকেই জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। সেটা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরিরী বা অন্য কোনও ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সঞ্চয় শেষ হতে পারে। অতএব, ৬-১২ মাসের ব্যয়ের সমান পরিমাণের একটি জরুরি তহবিল তৈরি করতে হবে। এটি সকলকে কঠিন সময়ে সাহায্য করবে এবং সঞ্চয় রক্ষা করবে।
advertisement
ক্রেডিট কার্ড সাবধানে ব্যবহার -ক্রেডিট কার্ডে অবশ্যই অনেক অফার পাওয়া যাবে। কিন্তু, ডিসকাউন্ট এবং অফারের কারণে মানুষ অপ্রয়োজনীয় খরচ করে। অনেক সময় ব্যয় এত বেশি হয় যে তারা গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যেও ক্রেডিট কার্ডে ব্যয় করা অর্থ পরিশোধ করতে পারে না এবং তারপরে ঋণের ফাঁদে আটকে পড়ে উচ্চ সুদ দেয়। কেউ যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে, তাহলে তা বুদ্ধির সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে।
advertisement
বাড়িতে টাকা সঞ্চয় না করে বিনিয়োগ -কেউ যদি প্রতি মাসে টাকা সঞ্চয় করে এবং আলমারি বা লকারে রাখে, তাহলে সেই টাকা যেমন সঞ্চয় করা হচ্ছে তেমনই থাকবে। কিন্তু, কেউ যদি সেই টাকা কোথাও বিনিয়োগ করে, তাহলে তার উপর সুদ পাওয়া যাবে এবং সেই অর্থ বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রতি মাসে যে টাকা সঞ্চয় করা হচ্ছে তা বাড়িতে না রেখে বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করতে হবে।
advertisement
বিভিন্ন লক্ষ্য -জীবনে বিভিন্ন লক্ষ্য পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের সমস্ত প্রয়োজন মেটানোর জন্য সময়ে সময়ে অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। তাই নিজেদের অর্থ দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগে ভাগ করতে হবে এবং বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে। এর সঙ্গে যদি কারও মাঝে মাঝে অর্থের প্রয়োজন হয়, তাহলে স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদে করা বিনিয়োগ স্পর্শ করতে হবে না। মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক মার্কেট, সোনা, এফডি, আরডির মতো বিভিন্ন বিকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
advertisement
অবসরের জন্য পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে হবে -প্রত্যেককেই কখনও না কখনও বার্ধক্যের সম্মুখীন হতে হয়। সেই সময়ের সব চাহিদা মেটাতে টাকা লাগবে। সেই সময় শরীরও পরিশ্রম করতে সক্ষম হয় না। অতএব, যৌবন থেকেই অবসর পরিকল্পনা শুরু করা উচিত, যাতে বৃদ্ধ বয়সে কারও কাছে অর্থ চাইতে না হয়। এর জন্য EPF, VPF এবং NPS-এর মতো স্কিমগুলির সুবিধা নেওয়া যেতে পারে।
advertisement
স্বাস্থ্য এবং জীবন বিমা -অনেকে স্বাস্থ্য এবং জীবন বিমাকে অপ্রয়োজনীয় খরচ হিসাবে বিবেচনা করে। কিন্তু, তারা আসলে কঠিন সময়ের সঙ্গী। স্বাস্থ্য বিমা অসুস্থতার সময়ে সঞ্চয় রক্ষা করে এবং জীবন বিমা নিজেদের পরিবারকে একটি নিরাপত্তা স্তর প্রদান করে। তাই এটিকে একটি প্রয়োজনীয় ব্যয় হিসাবে বিবেচনা করতে হবে এবং অবশ্যই এটি ক্রয় করতে হবে।
advertisement
অযথা ব্যয় এড়িয়ে চলতে হবে -অনলাইন কেনাকাটা করতে অনেক টাকা খরচ হয়। অতএব, এটি নিয়ন্ত্রণ করতে, নগদ অর্থ ব্যয় করার অভ্যাস করতে হবে। কেউ যদি অর্থ সঞ্চয় করতে চায়, তাহলে পার্টি, সিগারেট, মদ ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বন্ধুদের দেখাতে অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজেদের আয় অনুযায়ী অর্থ ব্যয় করতে হবে।
advertisement
নতুন দক্ষতা শিখতে হবে এবং নিজেদের আয়ের পথ বাড়াতে হবে -কেউ যদি অর্থ উপার্জন করতে চায়, তবে আয়ের নতুন পথও তৈরি করতে হবে। এর জন্য নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে কখনও নতুন কিছু শেখা থেকে পিছিয়ে গেলে হবে না। নিজেদের দক্ষতা আপগ্রেড করা থাকলে কর্মজীবনে নতুন সুযোগ পাওয়া যাবে এবং অনেক উন্নতি করা সম্ভব হবে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং বা ছোট ব্যবসার মাধ্যমে আয়ের একটি অতিরিক্ত উৎস তৈরি করা যেতে পারে।
advertisement
কর পরিকল্পনা -নিজেদের আয়ের একটি বড় অংশ আয়কর প্রদানে যায়। এটি সংরক্ষণ করার জন্য কর পরিকল্পনা করতে হবে। CA-এর সাহায্যে, সেই স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করতে হবে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য ভাল টাকা সঞ্চয় করা যেতে পারে এবং ট্যাক্সও বাঁচানো যেতে পারে। কর বাঁচাতে 80C, 80D এবং 80E সেকশনের সুবিধা নিতে হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে।