৫০০০ টাকা দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন, আজ কোম্পানির মূল্য ১৭ হাজার কোটি ! এই মানুষটি ২ টাকার পণ্য দিয়ে ট্রিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন

Last Updated:
Success Story: রামচন্দ্রন নিজের বাড়ির রান্নাঘরে লন্ড্রি হোয়াইটনার তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যান। তিনি অনেকবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি।
1/6
ব্যবসায়ীদের সাফল্যের গল্প সব সময়েই রোমাঞ্চিত করার মতো হয়। এটাও যেন ঠিক সিনেমার গল্পের মতো, রামচন্দ্রনের সাফল্যও সবাইকে অবাক করবে। রামচন্দ্রন লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তাঁর ব্যবসা শুরু করেননি বা কোনও ব্যয়বহুল পণ্যও তৈরি করেননি। মাত্র ১ বা ২ টাকার পণ্যের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন এবং আজ তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।
ব্যবসায়ীদের সাফল্যের গল্প সব সময়েই রোমাঞ্চিত করার মতো হয়। এটাও যেন ঠিক সিনেমার গল্পের মতো, রামচন্দ্রনের সাফল্যও সবাইকে অবাক করবে। রামচন্দ্রন লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তাঁর ব্যবসা শুরু করেননি বা কোনও ব্যয়বহুল পণ্যও তৈরি করেননি। মাত্র ১ বা ২ টাকার পণ্যের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন এবং আজ তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।
advertisement
2/6
কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা রামচন্দ্রনের এই গল্পটি শুরু হয় তাঁর স্কুলজীবন থেকে। সেন্ট থমাস কলেজ থেকে বি.কম ডিগ্রি অর্জন করেন এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি একজন অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। যদিও এই চাকরি থেকে তিনি ভালই আয় করছিলেন, কিন্তু শুরু থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল নিজের কিছু করার। রামচন্দ্রন সর্বদা একটি সৃজনশীল পণ্য তৈরি করার চেষ্টা করতেন। প্রথম থেকেই তাঁর মনে লন্ড্রি হোয়াইটনার তৈরির স্বপ্ন জেগে উঠছিল।
কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা রামচন্দ্রনের এই গল্পটি শুরু হয় তাঁর স্কুলজীবন থেকে। সেন্ট থমাস কলেজ থেকে বি.কম ডিগ্রি অর্জন করেন এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি একজন অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। যদিও এই চাকরি থেকে তিনি ভালই আয় করছিলেন, কিন্তু শুরু থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল নিজের কিছু করার। রামচন্দ্রন সর্বদা একটি সৃজনশীল পণ্য তৈরি করার চেষ্টা করতেন। প্রথম থেকেই তাঁর মনে লন্ড্রি হোয়াইটনার তৈরির স্বপ্ন জেগে উঠছিল।
advertisement
3/6
সাফল্যের সূত্র খুঁজে পেলেন যে ভাবে:  রামচন্দ্রন নিজের বাড়ির রান্নাঘরে লন্ড্রি হোয়াইটনার তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যান। তিনি অনেকবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি। অবশেষে একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ তাঁকে সাফল্যের সূত্রটি দিয়েছিল। এই নিবন্ধে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল যে কীভাবে বেগুনি রঙকে সাদা করা যায় যা পোশাককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। এই নিবন্ধের উপর ভিত্তি করে রামচন্দ্রন হোয়াইটনার তৈরির জন্য এক বছর ধরে আরও চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে, তিনি সাফল্য পান।
সাফল্যের সূত্র খুঁজে পেলেন যে ভাবে:  রামচন্দ্রন নিজের বাড়ির রান্নাঘরে লন্ড্রি হোয়াইটনার তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যান। তিনি অনেকবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি। অবশেষে একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ তাঁকে সাফল্যের সূত্রটি দিয়েছিল। এই নিবন্ধে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল যে কীভাবে বেগুনি রঙকে সাদা করা যায় যা পোশাককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। এই নিবন্ধের উপর ভিত্তি করে রামচন্দ্রন হোয়াইটনার তৈরির জন্য এক বছর ধরে আরও চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে, তিনি সাফল্য পান।
advertisement
4/6
এর পর রামচন্দ্রন ১৯৮৩ সালে ৫ হাজার টাকা ঋণ নেন এবং তাঁর পৈতৃক জমিতে একটি ছোট ল্যাব স্থাপন করে কাজ শুরু করেন। তিনি তাঁর মেয়ে জ্যোতির নামে এই ল্যাবটির নামকরণ করেন এবং একটি ছোট কারখানা শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে, তিনি কয়েকটি পণ্য তৈরি করেন, কিন্তু আসল সাফল্য আসে 'উজালা সুপ্রিম লিকুইড ফ্যাব্রিক হোয়াইটনার' নামের একটি পণ্য থেকে। এই সস্তা পণ্যটি সারা দেশে পছন্দ হয়েছিল এবং প্রতিটি পরিবারের অংশ হয়ে ওঠে।
এর পর রামচন্দ্রন ১৯৮৩ সালে ৫ হাজার টাকা ঋণ নেন এবং তাঁর পৈতৃক জমিতে একটি ছোট ল্যাব স্থাপন করে কাজ শুরু করেন। তিনি তাঁর মেয়ে জ্যোতির নামে এই ল্যাবটির নামকরণ করেন এবং একটি ছোট কারখানা শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে, তিনি কয়েকটি পণ্য তৈরি করেন, কিন্তু আসল সাফল্য আসে 'উজালা সুপ্রিম লিকুইড ফ্যাব্রিক হোয়াইটনার' নামের একটি পণ্য থেকে। এই সস্তা পণ্যটি সারা দেশে পছন্দ হয়েছিল এবং প্রতিটি পরিবারের অংশ হয়ে ওঠে।
advertisement
5/6
এই সংস্থা অনেক বিখ্যাত পণ্য তৈরি করেছে: রামচন্দ্রনের কোম্পানি এবং তাঁর পণ্য প্রথমে দক্ষিণ ভারতে সাফল্য অর্জন করে এবং ১৯৯৭ সালে তিনি উত্তর ভারতেও তার পণ্য সম্প্রসারণ শুরু করেন। ধীরে ধীরে এই পণ্যটি সারা দেশে পছন্দ হতে শুরু করে। প্রায় এক দশকের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর রামচন্দ্রনের জ্যোতি ল্যাবের তৈরি পণ্যগুলি তাঁর ভাগ্য বদলে দেয়। আজ এই কোম্পানির পণ্যগুলি সারা দেশে জনপ্রিয়। জ্যোতি ল্যাবের বাজার মূলধনও প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকায় বেড়ে গিয়েছে।
এই সংস্থা অনেক বিখ্যাত পণ্য তৈরি করেছে: রামচন্দ্রনের কোম্পানি এবং তাঁর পণ্য প্রথমে দক্ষিণ ভারতে সাফল্য অর্জন করে এবং ১৯৯৭ সালে তিনি উত্তর ভারতেও তার পণ্য সম্প্রসারণ শুরু করেন। ধীরে ধীরে এই পণ্যটি সারা দেশে পছন্দ হতে শুরু করে। প্রায় এক দশকের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর রামচন্দ্রনের জ্যোতি ল্যাবের তৈরি পণ্যগুলি তাঁর ভাগ্য বদলে দেয়। আজ এই কোম্পানির পণ্যগুলি সারা দেশে জনপ্রিয়। জ্যোতি ল্যাবের বাজার মূলধনও প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকায় বেড়ে গিয়েছে।
advertisement
6/6
জ্যোতি ল্যাবস যা যা তৈরি করে: রামচন্দ্রনের কোম্পানি জ্যোতি ল্যাবস উজালা হোয়াইটনারের পরে আরও অনেক পণ্য তৈরি করেছে, যার আজ সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা। কোম্পানির সর্বাধিক জনপ্রিয় পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উজালা, হেনকো, মিস্টার হোয়াইট, মোর লাইট, এক্সো এবং প্রিলের মতো ডিশ ওয়াশ, মার্গো, নিম এবং ফা-এর মতো পার্সোনাল কেয়ার পণ্য, ম্যাক্সো, টি-শাইন, মায়া আগরবাতির মতো হোম কেয়ার পণ্য। কোম্পানিটি পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানোর পণ্যও তৈরি করেছে।
জ্যোতি ল্যাবস যা যা তৈরি করে: রামচন্দ্রনের কোম্পানি জ্যোতি ল্যাবস উজালা হোয়াইটনারের পরে আরও অনেক পণ্য তৈরি করেছে, যার আজ সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা। কোম্পানির সর্বাধিক জনপ্রিয় পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উজালা, হেনকো, মিস্টার হোয়াইট, মোর লাইট, এক্সো এবং প্রিলের মতো ডিশ ওয়াশ, মার্গো, নিম এবং ফা-এর মতো পার্সোনাল কেয়ার পণ্য, ম্যাক্সো, টি-শাইন, মায়া আগরবাতির মতো হোম কেয়ার পণ্য। কোম্পানিটি পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানোর পণ্যও তৈরি করেছে।
advertisement
advertisement
advertisement