Success Story: এই ফল চাষ করেই হতে পারেন কোটিপতি, চাষিরা বছরে রোজগার করছেন ১০ কোটি, জেনে নিন সহজ উপায়

বারমের পশ্চিম রাজস্থানে জলের অভাবের জন্য পরিচিত একটি গ্রাম। রাজস্থানের মরুভূমিতে যে কোনও ফসল চাষ করাই অন্যতম কঠিন কাজ। প্রতিনিয়ত জলের অভাব ও রুক্ষ্ম আবহাওয়ার মতো নানা অনিশ্চয়তার ও প্রতিকূলতার মধ্যেও মরুভূমিতে ডালিম চাষ করে ধনী হয়েছেন কৃষকরা। হ্যাঁ, বারমেরে ৪ হাজারের বেশি কৃষক ডালিম চাষ করে ১০ বিলিয়নের ব্যবসা করছেন। শুধু তাই নয়, বালির টিলার মাঝে ডালিমের দারুন ফলন নিয়ে কৃষিকাজের নতুন গল্প লিখছেন রাজস্থানের কৃষকরা।

এক সময় এখানকার মানুষ মাত্র কয়েক ফোঁটা জলের জন্যও আকুল ছিল, এখন একই জমিতে নতুন করে চাষের গল্প লিখছেন কৃষকরা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কঠোর পরিশ্রম করে এখানকার কৃষকরা তাদের চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিম রাজস্থানের থর শহরে ডালিমের চাষ যেন নতুন আলো ছড়াচ্ছে। এখানে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বছরে ১০ কোটি টাকার ডালিম উৎপাদন হচ্ছে। বারমের জেলার ভিমরা, চৌহতান, জালিপা, উন্দু, বখসার, গুদামালানি, রামজি কা গোল এবং বালোত্রা জেলার বুদিওয়াদা, পাদ্রু, সামদারি, সিওয়ানা, মোকালসার সহ অনেক গ্রামের কৃষকরা ডালিম চাষ থেকে ভাল টাকা লাভ করছেন।

বারমেরে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বছরে ১.৫০ লক্ষ টন ডালিম উৎপাদন হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখানে কৃষি বিভাগ কৃষকদের ডালিম চাষে ভর্তুকিও দেয়। এক হেক্টরে প্রায় ৮০০টি ডালিম গাছ জন্মায়। কৃষি বিভাগের উদ্যানপালনের উপ-পরিচালক বনওয়ারি লাল জানিয়েছেন, এখানকার ডালিম সমুদ্র পেরিয়ে বিদেশের নানা স্থানে যায়। ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৮ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে ডালিম চাষ হয়েছে। এখন ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ডালিম চাষ হচ্ছে, বছরে এখানে দেড় লক্ষ টন ডালিম উৎপাদন হয়।

১০ বিলিয়নের বার্ষিক ব্যবসাকৃষি কর্মকর্তা বাবুরাম রানাউতের মতে, মহারাষ্ট্রে দেশে সবচেয়ে বেশি ডালিম উৎপাদন হয়। এর পরে, ডালিম উৎপাদিত হয় গুজরাতে এবং তারপরে রাজস্থান রয়েছে তৃতীয় স্থানে। থরের ডালিম নেপাল, বাংলাদেশ, ইরান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং ফ্রান্স সহ আরও অনেক দেশে সরবরাহ করা হয়। এটি বছরে ১০ বিলিয়নের ব্যবসা তৈরি করেছে।