SIP Calculation: মাসে ৮ হাজার টাকার SIP থেকে ২০ লক্ষ টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন সহজেই, হিসেবটা দেখে নিন

এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ উত্তরোত্তর বাড়ছে। বর্তমান সময়ে SIP বিনিয়োগের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। অনেকেই এখন প্রতি মাসে SIP-তে বিনিয়োগ করছেন। তবে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের সঙ্গে যুক্ত, তাই নিশ্চিত রিটার্ন আশা করা যায় না। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, এসআইপিতে গড়ে ১২ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

অধিকাংশ ইক্যুইটি ফান্ডে ২০২৩ সালের রিটার্ন ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। ভবিষ্যতেই একই হারে রিটার্ন মিলবে, তা বলা যায় না। তবে গত কয়েক বছর অনেক মিউচুয়াল ফান্ড ৪০ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে।

মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে এসআইপি শুরু করা যায়। একটানা বিনিয়োগ করে গেলে ২৫ বছরে কোটি টাকার রিটার্ন মিলতে পারে। বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিয়েই বিনিয়োগ শুরু করতে হয়। তবে চাইলে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোও যায়।

তবে এখানে আমরা মাসে ৫০০ টাকার নয়, বরং মাসে ৮ হাজার টাকার এসআইপির হিসেব করব, দেখে নেব যে কত দিনে তা ২০ লক্ষ টাকার তহবিল তৈরি করতে পারে।সবাই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চান, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত রিটার্ন অর্জনের জন্য তাঁদের কত দিন ধরে বিনিয়োগ করতে হবে তা বুঝতে পারেন না- এখানেই হিসেব কাজে আসে।

গণনা বিনিয়োগের পরিমাণ- প্রতি মাসে ৮০০০ টাকাবিনিয়োগের রিটার্ন- ১২% যদি কোনও ব্যক্তি এসআইপিতে প্রতি মাসে ৮,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন এবং ২০ লক্ষ টাকার তহবিল তৈরি করতে চান, তাহলে তাঁকে ১১ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে যে মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্ন স্টক মার্কেটের ওঠানামার উপর নির্ভর করে।

বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি প্রচলিত ধারণা হল যে এসআইপি সবসময় ভাল রিটার্ন দেয়। এটা কিন্তু আংশিক সত্য। বাজারের ওঠানামা থাকে, তার সঙ্গে রয়েছে বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টাও। প্রথম কয়েক বছরে, অন্তত ৩ থেকে ৫ বছর তো বটেই, এসআইপি কিন্তু সেরকম ভাল রিটার্ন দেয় না। এই সময়টা লাগে একটা ভিত্তি তৈরি হতে। সেটা তৈরি হয়ে গেলেই শুরু হয় চক্রবৃদ্ধির জাদু, যা দীর্ঘ মেয়াদে লাখ লাখ টাকার তহবিল এনে দেয়।

আর হ্যাঁ, শেয়ার বাজার ক্রমাগত ওঠানামা করে। ক্ষতি এড়াতে অনেকেই মন্দার সময় তাঁদের এসআইপি বন্ধ করে দেন। এটাও সম্পূর্ণ ভুল। এসআইপির জন্য স্টকের পতন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়েই সর্বাধিক বিনিয়োগ করা উচিত যাতে বাজার উত্থানের সময়েও লাভ করতে পারা যায়। কেন না, শেয়ার বাজারের পতন আরও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট কিনতে সাহায্য করতে পারে।