Rich Man: বারবার পড়তেন নতুন প্রেমে! কখনও লুকিয়ে, কখনও হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতেন, বিয়ে করেছেন ৬টি
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Rich Man: পকেটে ছিল না কানাকড়ি! কলকাতা থেকে শুরু বড়লোক হওয়ার দৌড়, ৬ টি বিয়ে এই শিল্পপতির
সফল মানুষদের জীবন সবসময়েই অনুপ্রাণিত করে৷ সেরকইম এক শিল্পপতি রামকৃষ্ণ ডালমিয়া৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে দেশের শীর্ষ শিল্পপতি ছিলেন রামকৃষ্ণ ডালমিয়া। সেলফ মেড ম্যান বলতে যা বোঝায় তাঁর সম্পর্কেও সেই বিশেষণটি একশ শতাংশ খাটে৷ পকেটে ছিল না কানাকড়ি সেই অবস্থা রাজস্থান থেকে কলকাতায় আসেন তারপর গড়ে তোলেন নিজের কোটি কোটি টাকার সাম্রাজ্য। দালালির কাজ দিয়ে শুরু কিন্তু জীবনের পুরোটাই গোলাপ বিছানো পথ ছিল না৷ কাঁটার ওপর দিয়েও একাধিকবার হাঁটতে হয়েছে৷
advertisement
advertisement
নীলিমা ডালমিয়া অধর তাঁর "ফাদার ডিয়ারেস্ট: দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ আর কে ডালমিয়া" বইতে তাঁর বাবার বিয়ে এবং অনেক রোম্যান্স সম্পর্কেও লিখেছেন। তিনি বলেন “ বাবা নিজেকে রাজার চেয়ে কম মনে করতেন না, তাই তিনি একই রকম জীবনযাপনে বিশ্বাস করতেন। সেটা ক্ষমতার বিষয়ে হোক বা নারী সঙ্গ বিষয়ে।”
advertisement
খুব অল্প বয়সে প্রথম বিয়েডালমিয়ার প্রথম বিয়ে হয়েছিল খুব অল্প বয়সে। প্রথম স্ত্রী নর্মদার বয়স তখন মাত্র ১২ বছর। কিন্তু মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে নর্মদা মারা যান। এরপর তাঁর মা তাঁকে দ্বিতীয়বার দুর্গা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন। কিন্তু এতে কিছু হয়নি, রেকর্ড সংখ্যক বিয়ে করে তিনি সকলকে অবাক করে দেন৷
advertisement
এরপর বিয়ে করেন পাঞ্জাবি মেয়ে প্রীতমকেতার দ্বিতীয় বিয়ের কয়েক বছর পর, রামকৃষ্ণ ডালমিয়ার জীবনে নতুন প্রেম আসে৷ প্রীতম নামের এক মহিলার প্রেমে পড়েন তিনি৷ আধুনিক আচার-আচরণ সম্পন্ন সুন্দরী পাঞ্জাবি মেয়ে। এমনকি গোপনে বিয়েও করেছেন। তিনি যখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী দুর্গা এবং তার পরিবারকে এই কথা বলেন, তখন অনেক বিরোধিতা হয়েছিল কিন্তু ডালমিয়া তাতে দমে যাননি৷ ডালমিয়া তাঁকে দিল্লিতে থাকার জন্য আলাদা বড় বাড়ি দিয়েছিলেন। তবে এই প্রেমের মেয়াদ বেশিদিন টেকেনি৷
advertisement
advertisement
এখানেই থেমে থাকেননি ডালমিয়া। এরপরেও তিনি আরও এক মহিলাকে নতুন করে পছন্দ করেন৷ তিনি রাজস্থানের একজন উদীয়মান কবি ছিলেন। নাম ছিল দীনেশ নন্দিনী। দীনেশ নন্দিনীর বইটি ডালমিয়া ইনস্টিটিউট প্রদত্ত সাকসেরিয়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। পুরস্কার অনুষ্ঠানে ডালমিয়া তাঁকে প্রথম দেখেছিলেন এবং তাঁকে পছন্দ করেছিলেন।
advertisement
দুই বছর ধরে বিয়ের জন্য রাজি করানদু’বছর ধরে দু’জনের মধ্যে চিঠিপত্র লেখালিখি করত৷ ডালমিয়া তাঁকে বিয়ের জন্য বারবার বোঝাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তিনি রাজি হন৷ কিন্তু তিনি একটিই শর্তে যে এরপর সে বিয়েটা গোপন রাখবে। নীলিমা ডালমিয়া জানিয়েছেন, বেনারসে গঙ্গার ধারে ডালমিয়ার বাড়িতে গোপনে এই বিয়েও হয়েছিল। কিন্তু মা যখন জানতে পারলেন যে এই বিয়েটা গোপনে হবে, তখন তিনি হতবাক হয়ে গেলেন। বিয়ের পরপরই ডালমিয়া তাকে লন্ডনে গিয়ে বসবাস করতে বলে কিন্তু আমার মা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেন, তারপর তাকে দিল্লিতে একটি বড় বাড়ি দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
আমি এক ইংরেজ মেয়ের প্রেমে পড়েছিলামডালমিয়া তাঁর ষষ্ঠ বিয়ের পর ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভমেন্ট শুরু করেন। যার জন্য তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিমানে বহু দেশে গেছেন। তিনিও ভালো সাড়া পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ষষ্ঠ স্ত্রী দিনেশ নন্দিনীকে নিয়ে আমেরিকায় যান। সেখানে তাঁর হৃদয় এক ইংরেজ মেয়ের উপর পড়ে। নীলিমা তার বইয়ে লিখেছেন, আমেরিকায় তাঁর বাবার ফের এক ইংরেজ মহিলার প্রেমে পড়েছিলেন। এই পর্বটি বেশিদিন চলেনি৷
advertisement
প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর সঙ্গে এমন দ্বন্দ্ব হয় যে তাঁর কাজের বৃদ্ধি আটকে গিয়েছিল৷ কিন্তু তারপরেও আজও শিল্পপতিদের দুনিয়ায় বড় নাম এই ডালমিয়া৷ রামকৃষ্ণ ডালমিয়ার কন্যা নীলিমা ডালমিয়া অধরের লেখা “ফাদার ডিয়ারেস্ট – দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ আর কে ডালমিয়া” বইয়ে ডালমিয়ার জীবনের নানাদিকে ফুটে উঠেছে, তাঁর শিল্পপতি হয়ে ওঠার লড়াইয়ের পাশাপাশি তাঁর বিবাহ জীবন নিয়েও নানা বিস্ফোরক কথা উঠে আসে৷
advertisement
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ব্রিটিশ সরকার যখন রুপো সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন করে, ডালমিয়ার ভাগ্য এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যে তিনি যে কাজই শুরু করেন তাতে সাফল্য পেতে শুরু করেন। তিনি উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উঠতে শুরু করেন যা ছিল স্বপ্নের মতো। ডালমিয়ার নাম পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে৷ ২০ থেকে ৪০-র দশকের মধ্যে দেশে ডালমিয়া শিল্পের দ্রুত প্রসার ঘটে। দেশের আনাচে কানাচে খুলতে থাকে তাদের কারখানা ও অফিস। ডালমিয়া ইন্ডাস্ট্রি ইনসিওরেন্স, ব্যাঙ্কিং, মিডিয়া, কেমিক্যাল, অ্যাভিয়েশন, আয়রন, সিমেন্ট, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি এবং ফুড আইটেম সহ অনেক সেক্টরে নিজের ব্যবসা বড় করেন৷
advertisement
তিনি কি ফাতেমা জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন?মহম্মদ আলি জিন্না-র বোন ফাতিমা জিন্নার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বলেও কথা শোনা যেত। নীলিমা স্মরণ করেন যে তার মা দীনেশ নন্দিনী প্রায়ই বলতেন, তোমার বাবাও ফাতেমার কাছের ছিলেন, কারণ তিনি প্রায়শই তার সঙ্গে থাকতেন। ফাতেমা জিন্নাহ একাই থাকতেন। যাইহোক, নীলিমা সন্দেহ করেন যে তাঁর বাবা জিন্নার বোনের সঙ্গেও হয়ত প্রেমের সম্পর্ক ছিলেন৷