PPF-এ প্রতি মাসে ১১,১১১ টাকা জমা করলে, ম্যাচিউরিটির সময়ে কত রিটার্ন আসতে পারে?

ভারত সরকারের একটি সেভিংস যোজনা হল পিপিএফ, অর্থাৎ পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। এটি হল লম্বা সময়ের জন্য টাকা জমা করার একটি স্কিম। যেখানে টাকা জমা করলে, ম্যাচিউরিটির সময়ে মোটা টাকা পাওয়া যেতে পারে।

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিম ভারতে একটি খুবই জনপ্রিয় দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্প। কারণ এর মধ্যে ট্যাক্স সঞ্চয়, রিটার্ন এবং নিরাপত্তার সমন্বয় রয়েছে। পিপিএফ স্কিমটি ১৯৬৮ সালে অর্থ মন্ত্রকের জাতীয় সঞ্চয় ইনস্টিটিউট দ্বারা চালু হয়েছিল। এই স্কিমের মূল উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিদের ক্ষুদ্র সঞ্চয় করতে এবং সঞ্চয়ের উপর রিটার্ন প্রদান করতে সাহায্য করা। পিপিএফ স্কিম একটি আকর্ষণীয় সুদের হার অফার করে এবং সুদের হার থেকে উৎপন্ন রিটার্নের উপর কোন কর দিতে হয় না।

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি বছর ১.৫০ লক্ষ টাকা জমা করা যেতে পারে। এখন পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৭.১% হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে। ভারত সরকার এর সুদ নির্ধারণ করে।

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে ১৫ বছরের লক ইন পিরিয়ড থাকে। অর্থাৎ এখানে জমা করা পুরো টাকা ১৫ বছর পরেই তোলা যেতে পারে। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে আংশিক কিছু টাকা ৫ বছর পরেও তোলা যেতে পারে। নতুন নিয়মের অধীনে এই টাকা তোলা যেতে পারে।

এই হিসাবে কেউ যদি প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি মাসে ১১,১১১ টাকা জমা করে, তাহলে পিপিএফ ক্যালকুলেটরের হিসেব অনুযায়ী, ম্যাচিউরিটির সময়ে সেই টাকার পরিমাণ হতে পারে ৩৫,০৬,২৭৬ টাকা।

ম্যাচিউরিটির সময়ে পাওয়া ৩৫,০৬,২৭৬ টাকার মধ্যে, বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ ১৯,৯৯,৯৮০ টাকা এবং বাকি টাকা অর্থাৎ ১৫,০৬,২৯৬ টাকা সুদ হিসাবে পাওয়া যাবে।

অর্থাৎ প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি মাসে ১১,১১১ টাকা জমা করলে, ম্যাচিউরিটির সময়ে হতে পারে ৩৫,০৬,২৭৬ টাকা। পিপিএফ ক্যালকুলেটরের হিসেব অনুযায়ী এই টাকা পাওয়া যেতে পারে।

ভারত সরকার এর সুদের পরিমাণ নির্ধারণ করে। অর্থাৎ সুদ আরও বাড়িয়ে দিলে এই টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।