Money Making Mutual Fund: মাসে মাত্র ১০ হাজার টাকা জমিয়ে ৯ কোটি রিটার্ন? গল্প নয়, নিখাদ সত্যি, হিসেবটা শুধু একবার দেখে নিন
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Money Making Mutual Funds: দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের একটি সাধারণ অথচ কার্যকরী পরিকল্পনা জেনে নিন, যা বদলে দিতে পারে আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎ।
বিনিয়োগের অনেক মাধ্যমই রয়েছে বাজারে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোনটা সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দিতে পারে! আসলে, আয় বাড়লেও সঞ্চয় সেই অনুপাতে বাড়ে না। কারণ একান্তই মুদ্রাস্ফীতি। জিনিসপত্র এবং পরিষেবার দাম পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলে, ফলে উপার্জন বাড়লেও তা সেভাবে দেখলে সুরাহা এনে দিতে পারে না সংসারে। এই কারণেই বিনিয়োগই ভরসা, এমন বিনিয়োগ যা বহু গুণ বেশি রিটার্ন দেবে। এই দিক থেকে দেখলে মিউচুয়াল ফান্ডের সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, সংক্ষেপেএআইপি একমাত্র বিকল্প।
advertisement
এই জায়গায় এসেও আবার আরেকটা প্রশ্ন ওঠে- কোন ফান্ড সবচেয়ে ভাল! আসলে, সব মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি যে প্রত্যাশিত লাভের মুখ দেখাবেই, সে গ্যারান্টি নেই। সেই জন্যই এমন ফান্ড বেছে নেওয়া দরকার যা ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফর্ম করে চলেছে। এই দিক থেকে দেখলে বিনিয়োগকারীদের ভরসা দিতে পারে আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল মাল্টিক্যাপ ফান্ড। কেন এবং কীভাবে, সেটা এবার দেখে নেওয়া যাক!
advertisement
এই ফান্ড চালু হয়েছিল ১৯৯৪ সালের অক্টোবর মাসে। এসআইপি হোক বা এককালীন বিনিয়োগ, উভয় ক্ষেত্রেই তা ভাল রিটার্ন এনে দিয়েছে। কেউ যদি ৩০ বছর আগে প্রতি মাসে এই ফান্ডে ১০ হাজার এসআইপি করেন, তাহলে এখন এসে তার মূল্য দাঁড়াবে ৯.৮ কোটি টাকা! এ তো গেল এসআইপির হিসেব! এককালীন বিনিয়োগের কথা বললেও রিটার্ন দারুণ- ১৯৯৪ সালের অক্টোবর মাসে করা ১ লক্ষ টাকার মূল্য এখন দাঁড়াবে ৭৯ লক্ষ টাকা।
advertisement
কীভাবে টাকা এত বাড়ছে, সেটাও এবার বোঝা যাক! নাম এর মাল্টি ক্যাপ, অর্থাৎ এখানে লার্জ, মিড এবং স্মল- তিন ধরনের ক্যাপেই বিনিয়োগ করা হয়। ক্যাপিটাল গ্রোথ অর্জনে তাই এই ফান্ড কখনই বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেনি। এর অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট বর্তমানে প্রায় ১৫,০৯৫ কোটি টাকা। অন্য দিকে, এর ব্যয় অনুপাত ১.৭৪ শতাংশ, অর্থাৎ ক্যাটাগরি অ্যাভারেজ ১.৯৬ শতাংশের চেয়ে কম তো বটেই!
advertisement
advertisement
আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল মাল্টিক্যাপ ফান্ড যে সব সংস্থায় বিনিয়োগ করে তাদের মধ্যে রয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, সান ফার্মা, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, ইনফোসিস, এনটিপিসি, এসবিআই ইত্যাদি। এরা সবাই বাজারের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা। তবে, যতই হোক, এই বিনিয়োগ বাজারের ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত, তাই টাকা খাটানোর আগে একজন আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে নেওয়া উচিত হবে।