

•গাড়ি কিনেছেন? বিমা করবেন? খরচ আছে কিন্তু! তবে ভয় পাবেন না। প্রিমিয়ামের হার কমানোর কয়েকটি সহজ রাস্তা আছে। এর জন্য সবার প্রথমে কোনও বিশ্বস্ত বিমা ওয়েব অ্যাগ্রিগেটরের সাহায্য নিতে পারেন। এখানেই অনলাইনে আপনি গাড়ির বিমা কোটগুলির পারস্পরিক তুলনা করতে পারবেন। এ ছাড়াও এমন আরও কয়েকটি উপায় রয়েছে, যা এই বিষয়ে আপনার খরচ কমাবে।


•গাড়ির বিমা করানোর সময়ে যাতে প্রিমিয়ামের হার কম করা যায়, সেই বিষয়ে কয়েকটি জরুরি টিপস রইল আপনাদের জন্য।


•আসলে যাঁর গাড়ি, তিনি কোন পেশায় যুক্ত, তাঁর গাড়ি চালানোর রেকর্ড, তাঁর বয়স- সমস্ত কিছুর উপর এই ছাড় নির্ভর করে। প্রোবাস ইন্সিওরেন্স, ইন্সারটেক ব্রোকিং কোম্পানির ডিরেক্টর রাকেশ গয়ালও পরামর্শ দিচ্ছেন সে জন্য- এই কারণেই বিমা করানোর আগে কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে, সেটা দেখে নেওয়া উচিৎ।


•লোকেশন দেখতে হবে: গয়ালের মতে গাড়ির বিমার ক্ষেত্রে লোকেশন বা স্থানও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর উপর প্রিমিয়ামের হার নির্ভর করে। আপনি যদি কোনও দুর্ঘটনাবহুল জায়গায় থাকেন, তা হলে স্বভাবতই আপনার প্রিমিয়ামের হার বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনে বিমার বিভিন্ন কোটসের সুলুকসন্ধান নিতে হবে।


•স্বেচ্ছায় কিছু ছাড় দিতে হবে: গাড়ির ইন্সিওরেন্স প্রিমিয়াম কম করতে আপনাকে নিজে থেকেই কিছু বিষয়ে ছাড় দিতে হবে। যদি সেই ছাড় খুব কম হয় তাহলে প্রিমিয়ামের হার বেশি হবে।


•গয়াল বুঝিয়ে বলেন, যাঁরা গাড়ির বিমা নিয়ে এর আগে কোনও দাবি বা ক্লেম করেননি বা যাঁরা দুর্দান্ত গাড়ি চালান (অর্থাৎ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম), তাঁদের স্বেচ্ছায় কিছু বিষয়ে ছাড় রাখতে হবে। এতে তাঁদের প্রিমিয়াম রেট কম হবে।


•সুরক্ষা ডিভাইস রাখুন: গাড়িতে অ্যান্টি থেফট যন্ত্র বা চুরি থেকে বিরত থাকার যন্ত্র বসান। এতে আপনার গাড়িও সুরক্ষিত থাকবে এবং বার্ষিক প্রিমিয়ামের রেটও কম হবে। এআরএআই বা অটোমেটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের সসদ্য পদ নিলেও প্রিমিয়ামে কিছু বাড়তি ছাড় পাবেন।


•তিনি এও বলেন, যদি গাড়িতে কিছু পাল্টান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা বিমা দফতরে জানাবেন। সঠিক সময়ে না জানালে ক্লেম করার সময় এমন অনেক কিছু যোগ করে দেওয়া হবে যার সম্পর্কে আপনার কোনও সম্যক ধারণা নেই। কিছু ক্ষেত্রে বিমা সংস্থা এ কারণে পলিসি বাতিলও করে দিতে পারে।


•পুরনো গাড়ির বিমা নতুনের সঙ্গে যোগ করলে বোনাস দাবি করবেন না: গ্রাহক তাঁর এনসিবি নতুন গাড়ি কেনার সময় স্থানান্তরিত করে নিতে পারেন। কারণ এই স্বয়ংক্রিয় বিমা শুধুমাত্র বিমা করা গাড়ির সঙ্গেই যুক্ত। এমনকি পুরনো গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার পরেও গ্রাহক বিমাকর্মীকে নো ক্লেম সার্টিফিকেট দিতে বলতে পারেন। এর পর গ্রাহক বিদ্যমান পলিসিকে নতুন গাড়ির সঙ্গে যুক্ত করে আরও বোনাস যোগ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নতুন গাড়ির নতুন পলিসি অনুযায়ী গাড়ির প্রিমিয়াম রেট অনেক কম হবে।


•সঠিক আইডিভি বা রাইট ইনসিওর্ড ডিকলেয়ার্ড ভ্যালু বেছে নিন: আইডিভি হল যে পরিমাণ টাকা দিয়ে গাড়ি বিমা করানো হয়েছে এবং গাড়ি চুরি হয়ে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী ভাবে মধ্যস্থতা করা হবে তার চুক্তিপত্র। পলিসিএক্সের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা নেভাল গোয়েলের মতে, কম আইডিভি হলে প্রিমিয়ামও কম হয়। তবে এর হিসেব খুব বুদ্ধি করে কষতে হবে। না হলে অনেক টাকা বিমা সংস্থাকে দিতে হতে পারে।


•অ্যাড অনস বুদ্ধি করে বেছে নিন: ডিজিট ইন্সিওরেন্সের নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাকচুয়ারি আদর্শ আগরওয়াল বলছেন, প্রয়োজন ও গাড়ির অবস্থা অনুযায়ী অ্যাড অন বা কিছু নতুন যোগ করা যায়। উদাহরণ হিসেবে তিনি বুঝিয়ে বলেন যে, যদি কারও গাড়ির বয়স তিন বছরের বেশি হয়, তা হলে কিছু কম হবে না, কিন্তু নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে সেটা হতে পারে। তাই সে ভাবেই বিমা কভার বেছে নেওয়া উচিৎ যাতে পকেটে বাড়তি টান না পড়ে।