Business Ideas: ব্রাজিলের বিরল ও সুস্বাদু ফল এখন বাংলার মাটিতে! ঔষধি গুণে ভরা জাবুটিকাবা ফল চাষ করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয়
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:JULFIKAR MOLLA
Last Updated:
Business Ideas: ব্রাজিলের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর জাবুটিকাবা ফল এখন চাষ হচ্ছে বসিরহাটে। কম পরিশ্রমে বেশি লাভের সম্ভাবনা তৈরি করায় কৃষকদের নতুন আশার আলো হয়ে উঠছে এটি।
বসিরহাটের কৃষিক্ষেত্রে যুক্ত হলো এক নতুন নাম — জাবুটিকাবা। ব্রাজিলের এই বিরল ও সুস্বাদু ফল এখন চাষ হচ্ছে বসিরহাটের মাটিতে। দক্ষিণ আমেরিকার এই ফল দেখতে অনেকটা কালো আঙুরের মতো, ফলে অনেকেই প্রথম দেখায় একে জাম বলে ভুল করেন। অথচ এটি একেবারেই আলাদা জাতের ফল, যার পরিচিতি এখন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে উত্তর ২৪ পরগনার গ্রামীণ এলাকায়ও।
advertisement
এই বিদেশি ফলের গাছ দেখা মিলছে বসিরহাটের সাহানুর, প্রভাতি নার্সারি সহ বেশ কিছু গাছ প্রেমী মানুষের বাগানে। ওষুধি গুণে ভরপুর জাবুটিকাবা ফল গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ঘনভাবে ধরে, যা দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। অপরিপক্ক অবস্থায় ফলের রং সবুজ থাকে, পরে ধীরে ধীরে গাঢ় কালো রঙে পরিণত হয়। ফলটি খাওয়ার উপযোগী হতে সাধারণত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। গাছটি ধীরে বাড়ে বলে এর থেকে বনসাই তৈরি করাও সম্ভব, যা শহুরে ছাদবাগানের জন্য দারুণ উপযোগী।
advertisement
গাছের ফুল সাদা ও তুলার মতো কোমল, যা কয়েক দিনের মধ্যেই সবুজ ফলের জন্ম দেয়। ক্রমে ফলগুলো কালো আঙুরের মতো ঝুলে পড়ে গোটা গাছে, সৃষ্টি করে এক অপূর্ব দৃশ্য। পরিপক্ক ফলের ভেতরে থাকে চারটি বীজ, যদিও প্রজাতিভেদে ফলের আকার ও বীজের সংখ্যা কিছুটা আলাদা হয়। এই ফলের বিশেষত্ব হলো—গাছের কাণ্ড ও ডালেও ফল ধরে, যা সাধারণ ফলগাছের ক্ষেত্রে বিরল বৈশিষ্ট্য।
advertisement
স্বাদে এই ফলটি সুমিষ্ট এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে জাবুটিকাবা ব্যবহার করা হয় জুস, জ্যাম এবং ওয়াইন তৈরিতে। ফলটির রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই গুণেই এটি “ব্রাজিলিয়ান সুপারফ্রুট” নামে পরিচিত।
advertisement
এই গাছ রোপন করে অনেকেই বলছেন, যদি সঠিকভাবে এ ফলের চাষ ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তবে ভবিষ্যতে এটি রাজ্যের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা এনে দিতে পারে। কম পরিশ্রমে ও অল্প জায়গায় টবে বা ছাদবাগানেও এর চাষ সম্ভব বলে অনেকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। পাশাপাশি, এই গাছের নান্দনিক সৌন্দর্য একে করে তুলেছে জনপ্রিয় শোভাগাছও।
advertisement
