ঘুরে দাঁড়াচ্ছে IndusInd Bank-এর শেয়ার, বুধবার দর বাড়ল প্রায় ১৪ শতাংশ, বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করলেন অশোক হিন্দুজা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
IndusInd Bank Shares Rebound Sharply: গত কয়েকদিন ধরেই ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের লিকুইডিটি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দরপতন অব্যাহত ছিল। তবে সমস্ত আশঙ্কা উড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে অশোক হিন্দুজা বলেছেন, “ভয়ের কিছু নেই। এগুলো সাধারণ বিষয়।’’ প্রয়োজনে তিনিই মূলধন যোগান দেবেন।
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের (IndusInd Bank) শেয়ার। বুধবার দর বাড়ল প্রায় ১৪ শতাংশ। ব্যাঙ্কের প্রবর্তক অশোক হিন্দুজা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থা মজবুত রয়েছে। প্রয়োজনে তিনি মূলধনের যোগান দেবেন।
advertisement
ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের শেয়ারে গত পাঁচ দিন ধরে পতন চলছে। এনএসই-তে দাম ছুঁয়েছে ৬৯০ টাকা। যা দিনের সর্বনিম্ন ৬০৬ টাকা থেকে বেড়েছে ১৩.৮৬ শতাংশ। তবে দিনের শুরুতে দর প্রায় ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। বিএসই-তে ৭.৭ শতাংশ পতনের সঙ্গে দাম নেমে গিয়েছিল ৬০৫.৪০ টাকায়।
advertisement
গত কয়েকদিন ধরেই ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের লিকুইডিটি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দরপতন অব্যাহত ছিল। তবে সমস্ত আশঙ্কা উড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে অশোক হিন্দুজা বলেছেন, “ভয়ের কিছু নেই। এগুলো সাধারণ বিষয়।“ প্রয়োজনে তিনিই মূলধন যোগান দেবেন।
advertisement
মঙ্গলবার ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের শেয়ারে ২৭ শতাংশ পতন হয়। যা একদিনে ব্যাঙ্কের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পতন। ডেরিভেটিভস লেনদেনে হিসেব সংক্রান্ত ভুলের কারণে নিট সম্পদ প্রায় ২,১০০ কোটি টাকা কমে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল ব্যাঙ্কের তরফে। তারপর থেকেই দাম পড়তে শুরু করে।
advertisement
এরপরই একাধিক বিশ্লেষক সংস্থা ব্যাঙ্কের রেটিং কমিয়ে দেয়। সঙ্গে ব্যাঙ্কের মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের সমস্যা এবং সিইওর মেয়াদ তিন বছরের বদলে এক বছর করা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়। মঙ্গলবার শেয়ার ২৭ শতাংশ কমে ৬৫৫ টাকায় বন্ধ হয়। যার ফলে ব্যাঙ্কের বাজারমূল্য ১৯,০০০ কোটি টাকা কমে ৫১,১০২ কোটি টাকায় নেমে আসে।
advertisement
ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, নিট সম্পদের পরিমাণ ২.৩৫ শতাংশ বা প্রায় ১,৬০০ কোটি টাকা কমতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ ও আমানতের হেজিং খরচ কমিয়ে দেখানোই এর প্রধান কারণ। কোটাক সিকিউরিটিজের ইক্যুইটি গবেষণা প্রধান শ্রীকান্ত চৌহান বলেন, “আসল সমস্যা ব্যাঙ্কের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।’’ এই খবর সামনে আসার পর জেফারিজ, নুভামা, এমকেই গ্লোবাল ও পিএল ক্যাপিটালের মতো ব্রোকারেজ সংস্থা ব্যাঙ্কের রেটিং কমিয়ে দেয়।
advertisement
ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের সিইও সুমন্ত কাঠপালিয়া জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মার্চের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। রয়টার্স-কে তিনি বলেছেন, ব্যাঙ্ক লাভ করছে ও মূলধন পরিস্থিতিও যথেষ্ট শক্তিশালী, তাই এই সমস্যা সামাল দেওয়া সম্ভব। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকের শেষে পুরো ২০২৫ অর্থবর্ষের লাভের হিসেব দেওয়া হবে।