৫ লাখ টাকার গাড়ির লোন নেবেন ভাবছেন ? জানেন প্রতি মাসে কত টাকা EMI দিতে হবে?

বাড়ি থেকে অফিসের পথ অনেকটাই ৷ প্রতিদিন ক্যাবে যাতায়াত করতে গেলে অনেকটাই টাকা চলে যাচ্ছে ৷ আবার অফিস টাইমে বাসে এত ভিড় হচ্ছে যে অর্ধেক এনার্জি যেতে আসতেই চলে যাচ্ছে ৷ ভাবছেন লোন নিয়ে একটি গাড়ি কিনবেন ? ক্যাব খরচা অনেকটাই বেচে যাবে আর যাতায়াতের কষ্টও ৷ আজকাল বিভিন্ন ব্যাঙ্ক আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে ৷ তবে লোন নেওয়ার আগে বেশ কয়েকটি বিষয়ে খতি দেখে নিন ৷

অনেক ব্যাঙ্কই ১০০ শতাংশ লোন দিয়ে থাকে গাড়ির অন-রোড প্রাইসে ৷ সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রায় কোনও ডাউন পেমেন্টই করতে হয় না ৷ তবে সাধারণত বলা হয় গাড়ির অন-রোড প্রাইসের ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট করে দিলে আপনার উপরে চাপ অনেকটাই কমে যাবে ৷ আপনার ডাউন পেমেন্ট কম থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বেশি ইন্টারেস্ট চার্জ করা হয়ে থাকে ৷

লোন নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে আপনার ইএমআই যেন আপনার আয়ের ১০ শতাংশের বেশি না হয় ৷ লোন ৪ বছরের বেশি সময়ের জন্য না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ দীর্ঘমেয়াদি লোনের ক্ষেত্রে ইএমআই কম হলেও আপনাকে অনেক বেশি সুদ দিতে হবে ৷

ধরে নিন আপনি ১০ শতাংশ সুদে ৫ লক্ষ টাকা গাড়ির লোন নিচ্ছেন ৫ বছরের জন্য তাহলে আপনাকে মোট ৬,৩৭,৪১১ টাকা দিতে হবে ৷ অর্থাৎ ১,৩৭,৪১১ টাকা সুদ দিতে হবে ৷ সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি মাসে প্রায় ১০,৬২৩ টাকা দিতে হবে ৷

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর খারাপ, তাঁদের জন্য স্বল্পমেয়াদী ঋণ-ই ভালো। যদিও মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমে যায়, তবে দীর্ঘমেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি হয়। আর গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলে সুদের হার সাধারণত বেশি হয় আর দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে তো এমনিতেই সুদের হার বেশি।

ধু তা-ই নয়, দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে নেগেটিভ ইক্যুইটিও একটা বড় ঝুঁকি। ঋণের পরিমাণের থেকে যখন গাড়ির মূল্য কম হয়, তখন সে ক্ষেত্রে নেগেটিভ ইক্যুইটির বিষয়টি লাগু হয়। ঋণের মেয়াদ চলাকালীন গাড়ি মেরামতির প্রয়োজন হতে পারে। ফলে সে ক্ষেত্রেও খরচ বাড়ে, যা গ্রাহকের জন্য একেবারেই লাভজনক নয়।