How To Become Crorepati: কম সময়ে কোটিপতি হতে চান? তাহলে মেনে চলতেই হবে এই সকল গোপন সূত্র, আপনার ধনী হওয়া আর কেউ আটকাতে পারবে না

কোটিপতি হতে কে না চান! আসলে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন সকলেই দেখেন। কিন্তু কত জন এর জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন? তবে অনেকেই ধনী হওয়ার জন্য সংক্ষিপ্ত পথ অবলম্বন করেন, যার জেরে তাঁদের কিন্তু বিপদের মুখেই পড়তে হয়। কিন্তু কোটিপতি হওয়া কি মুখের কথা? এর জন্য কী কী প্রয়োজন? আসলে কিছু মন্ত্র রয়েছে, যার মাধ্যমে অনায়াসে কোটি টাকার সম্পত্তি গড়ে তোলা সম্ভব। সেটাই দেখে নেওয়া যাক।

আয় কিন্তু মূল বিষয় নয়:আয় করলেই কিন্তু বড়লোক হওয়া যায় না। এর মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে, কতটা আয় হচ্ছে আর কতটা সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তার মধ্যেই। ধরা যাক দুই ব্যক্তির কথা। প্রথম ব্যক্তি মাসিক ১ লক্ষ টাকা আয় করেন কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। আবার দ্বিতীয় ব্যক্তি মাসিক ৬০ হাজার টাকা আয় করেন, কিন্তু তিনি বিনিয়োগ করেন ২০ হাজার টাকা। দুজনেই মিউচুয়াল ফান্ডে নিজেদের টাকা রাখেন। তাঁরা দুজনেই ১৩ শতাংশ গড় বার্ষিক রিটার্ন পান। তাহলে ১৫ বছর পর দেখা যাবে, দ্বিতীয় ব্যক্তি জমাতে পারবেন ১ কোটি টাকা। অথচ বেশি আয় করা সত্ত্বেও প্রথম ব্যক্তি জমাতে পারবেন মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকা। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে, বেশি আয় করলেই দ্রুত কোটিপতি হওয়া যায় না। সঠিক বিনিয়োগ করা আবশ্যক।

বিনিয়োগে ঝুঁকি নেওয়া আবশ্যক:ফিক্সড ডিপোজিট এবং ট্র্যাডিশনাল সেভিংস এমনিতে নিরাপদ। কিন্তু কখনও কখনও তা কম রিটার্ন দেয়। যা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না।

সম্পদ গড়ে তুলতে বুদ্ধি খাটিয়ে সময়ের ব্যবহার:বহু মানুষই দ্রুত ধনী হওয়ার পরিকল্পনার পিছনে ছুটতে থাকেন। কিন্তু কোটিপতিরা জানেন যে, অনেকটা সময় ধরেই সত্যিকারের সম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব। মার্কেটে ভাগ্য পরীক্ষা না করে তাঁরা স্টক, রিয়েল এস্টেট এবং সোনায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের উপর মনোনিবেশ করেন। রিয়েল এস্টেট হোক কিংবা স্টকেই হোক, দাম ওঠা-নামা করে। দর কম থাকাকালীন বিনিয়োগ করে রাখতে হয়। এরপর ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়।

আর্থিক লক্ষ্য লিখে ফেলা:আর্থিক লক্ষ্য তো রয়েছে, আর মনে তা নিয়ে অস্পষ্ট আইডিয়া থাকে। কোটিপতিরা নিজেদের আর্থিক লক্ষ্য নিয়ে শুধু ভাবেন না, তাঁরা সেটা লিখে ফেলেন। রিচ হ্যাবিটস-এর লেখক থমাস কোরলের সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে, ৬৭ শতাংশ কোটিপতি নিজেদের লক্ষ্য লিখে রাখেন। আর ৮১ শতাংশই নিজেদের রোজকার কাজের রুটিন লিখে রাখেন।

কোটিপতিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা থাকা আবশ্যক:নিজের আর্থিক বিষয় ঠিক রাখার জন্য বিশেষজ্ঞদের গাইডেন্সের প্রয়োজন হয়। গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আইনজীবী, একজন অডিটর এবং একজন আর্থিক বিশেষজ্ঞ। অনেকেই ভাবেন যে, পেশাদারদের পরামর্শ নিতে গেলে খরচ বেশি হয়। কিন্তু আসলে বিশেষজ্ঞদের গাইডেন্স থাকলে ভুল হবে না।

অপ্রয়োজনীয় খরচ নয়:রোজকার খরচের উপর নজর রাখা উচিত। এমনটা কোটিপতিরা করে থাকেন। কোনও অপ্রয়োজনীয় কিছু কেনার আগে অপেক্ষা করতে হবে। সেটার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, সেটা নির্ধারণ করতে হবে।

নিরাপদ অবসরের পরিকল্পনা:বেশিরভাগ মানুষই অনেক দেরি না হওয়া পর্যন্ত সঞ্চয় শুরু করেন না। কোটিপতিরা দ্রুত অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করে থাকেন, যাতে পরবর্তী বছরগুলিতে আর্থিক স্বাধীনতা বজায় থাকে।