8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশনে পেনশন বাড়তে পারে ১৮৬ শতাংশ! পেনশনভোগীরা মাসে কত টাকা হাতে পাবেন জানুন

২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে লাগু হতে পারে অষ্টম বেতন কমিশন। এতে সরকারি কর্মীচারীরা তো বটেই, পেনশনভোগীরাও উপকৃত হবেন। মাসিক পেনশন একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। কারণ ডিআর-ও বাড়তে চলেছে।

অষ্টম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হতে পারে ২.৮৬। বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন তা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এখন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন কতটা বাড়তে পারে দেখা যাক।

সপ্তম বেতন কমিশন লাগু হয়েছিল ২০১৬ সালে। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ন্যূনতম বেসিক পেনশন ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। সর্বোচ্চ পেনশন ঠিক হয় প্রতি মাসে ১,২৫,০০০ টাকা (সর্বোচ্চ বেতনের ৫০ শতাংশ)। এর সঙ্গে রয়েছে ডিয়ারনেস রিলিফ বা ডিআর।

বর্তমানে বেসিক পেনশনের ৫৩ শতাংশ ডিআর পান পেনশনভোগীরা। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। ধরে নেওয়া যাক, একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী বেসিক পেনশনের পরিমাণ প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা। তাহলে ডিআর যোগ করে তিনি হাতে পাবেন ১৫,৩০০ টাকা।

মুদ্রাস্ফীতি এবং কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ডিআর-এর হার ঠিক করা হয়। যাতে পেনশনভোগীদের ক্রয় ক্ষমতা বজায় থাকে। সপ্তম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ২.৫৭। অষ্টম বেতন কমিশনে তা বেড়ে ২.৮৬ হতে পারে। ফলে বেতনের সঙ্গে পেনশনও বাড়বে।

ন্যূনতম: বর্তমানে ন্যূনতম পেনশন ৯,০০০ টাকা। ২.৮৬ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ধরলে তা বেড়ে ২৫,৭৪০ টাকা হয়ে যাবে। অর্থাৎ প্রায় ১৮৬ শতাংশ বাড়বে।সর্বোচ্চ পেনশন: সর্বোচ্চ পেনশন বর্তমানে ১,২৫,০০০ টাকা। অষ্টম বেতন কমিশনে তা প্রতি মাসে ৩,৫৭,৫০০ টাকা পর্যন্ত চলে যেতে পারে। এর সঙ্গে ডিআর যোগ হলে পেনশনের পরিমাণ আরও বাড়বে।

অতিরিক্ত ভাতা এবং সংশোধনী: অষ্টম বেতন কমিশনের আওতায় পেনশন সুবিধার জন্য কিছু সুপারিশ করা হতে পারে। সেগুলি হল ডিয়ারনেস রিলিফ এবং গ্র্যাচুইটির সীমা বৃদ্ধি।ডিয়ারনেস রিলিফ: ভবিষ্যতের বৃদ্ধি সংশোধিত পেনশনের ভিত্তিতে হিসেব করা হবে।গ্র্যাচুইটির সীমা: বেতন এবং পেনশনের পরিমাণ যেহেতু বাড়ছে, তাই গ্র্যাচুইটির সীমাও বাড়ানো হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ এবং সপ্তম পে কমিশন বেতন বৃদ্ধি অনুযায়ী পেনশন বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। অষ্টম পে কমিশনেও তেমনটাই হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত আর্থিক পরিস্থিতি, বাজেট এবং কমিশনের সুপারিশের উপরেই পুরোটা নির্ভর করছে।