Explainer: ডলারের বিপরীতে রুপির দাম কমছে কেন? স্বাধীনতার সময় ১ রুপি ১ ডলারের সমান ছিল, তারপর কী হল?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Why Rupee is Going Down: ২০১৪ সালে এক ডলারের দাম ছিল ৬১ রুপি। গত পনেরো বছরে সেটাই ৮৬.৫৪ রুপিতে পৌঁছে গিয়েছে। এই পতনের সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি হওয়ার স্বপ্নও যেন ম্লান হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
advertisement
২০১৪ সালে এক ডলারের দাম ছিল ৬১ রুপি। গত পনেরো বছরে সেটাই ৮৬.৫৪ রুপিতে পৌঁছে গিয়েছে। এই পতনের সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি হওয়ার স্বপ্নও যেন ম্লান হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। সবাধীনতার পর থেকেই ভারতীয় মুদ্রায় উত্থান-পতন চলছে। এর পিছনে রয়েছে মূলত রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা। Representative Image
advertisement
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় ভারতীয় রুপির মূল্য ছিল আমেরিকান ডলারের সমান। কোনও বিদেশি ঋণও ছিল না। ১৯৫১ সালে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সূচনা হয়। তখন থেকে শুরু হয় বিদেশি ঋণ নেওয়ার পালা। বাধ্য হয়েই রুপির অবমূল্যায়ন করতে হয়। এরপর ১৮ বছর রুপির মূল্য স্থিতিশীল ছিল। ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে রুপির মান ছিল ৪.৭৯ এর আশেপাশে। ১৯৬২ সালে চিন এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ভারত। বাজেট ধাক্কা খায়। ফলে কেন্দ্র সরকার ডলারের বিপরীতে রুপির মান ৭.৫৭-এ নামিয়ে আনে। Representative Image
advertisement
১৯৭১ সালে ব্রিটিশ মুদ্রার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমেরিকান ডলারের সঙ্গে যুক্ত হয় রুপি। ১৯৭৫ সালে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দাম ঠিক হয় ৮.৩৯ রুপি। এরপর ১৯৮৫ সালে ফের রুপির অবমূল্যায়ন হয়। দাম দাঁড়ায় ১ ডলার পিছু ১২ রুপি।১৯৯১ সালে ব্যাপক আর্থিক সঙ্কটে পড়ে ভারত। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকে। মাত্র ৩ সপ্তাহ আমদানি করার মতো মুদ্রাই ছিল ভারতের ভাড়ারে। মুদ্রাস্ফীতির লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে ফের রুপির অবমূল্যায়ন হয়। ডলার পিছু দাম দাঁড়ায় ১৭.৯০ রুপি। Representative Image
advertisement
advertisement
advertisement
পতনের কারণ: বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন। এর ফলে রুপির উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে আমেরিকান ডলার শক্তিশালী হয়েছে। ফলে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে রুপি দুর্বল হচ্ছে। ভারতের রফতানি তুলনামূলকভাবে কম। রফতানি না বাড়লে বিদেশি মুদ্রা আসবে না। রুপি আরও দুর্বল হবে। Representative Image
advertisement
advertisement
পতনের কারণ: বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন। এর ফলে রুপির উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে আমেরিকান ডলার শক্তিশালী হয়েছে। ফলে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে রুপি দুর্বল হচ্ছে। ভারতের রফতানি তুলনামূলকভাবে কম। রফতানি না বাড়লে বিদেশি মুদ্রা আসবে না। রুপি আরও দুর্বল হবে। Representative Image
advertisement
advertisement
সরবরাহের তুলনায় চাহিদা কমে গেলে মুদ্রার মূল্য হ্রাস হয়। তখন বিদেশি মুদ্রার মূল্য আপনাআপনিই বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মুদ্রানীতি তৈরি করে। সেই অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। একই সঙ্গে বিদেশিদের চাহিদাও একটা বড় ফ্যাক্টর। কোনও দেশের পণ্য বা সম্পত্তি কিনতে হলে স্থানীয় মুদ্রায় কিনতে হয়। ফলে সেই সব জিনিসের চাহিদা বেশি থাকলে মুদ্রার মূল্য বাড়ে। কম থাকলে উল্টোটা।Representative Image
advertisement
advertisement
ভারত বেশি দাম দিয়ে বিদেশ থেকে তেল, কাঁচামাল কেনে। এটাও রুপি দুর্বল হওয়ার অন্যতম কারণ। কারণ ভারত রফতানি বাড়াতে পারেনি। সেটা সম্ভব হলে রুপির চাহিদা বাড়ত। এর প্রভাব পড়ছে বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারেও। সেপ্টেম্বর মাসে ৭০০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৬৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ৮ মাসের সর্বনিম্ন। তবে বিশ্লেষকরা এও বলছেন, ডলারের তুলনায় রুপির মানে ভারসাম্য রাখার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যদি হস্তক্ষেপ না করত, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। Representative Image