বার্ষিক আয় ট্যাক্সের আওতায় পড়ে না, তবুও কি ITR ফাইল করতে হবে ? Nil ITR ফাইল করার ৬ বড় সুবিধা জেনে নিন

Last Updated:
আপনার বার্ষিক আয় যদি ট্যাক্সের আওতায় না-ও পড়ে, তবুও Nil ITR ফাইল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোন, ভিসা, সরকারি সুযোগ সহ একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়। জেনে নিন এই ৬টি বড় সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত।
1/7
আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিলের সময় আসার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই তাড়াহুড়ো করে ফর্ম পূরণ শুরু করেন। যাঁরা কর দেন তাঁদের জন্য এটি প্রয়োজনীয়! কিন্তু এমন একটি বৃহৎ অংশ আছে যাঁদের আয় করের আওতায় আসে না। তাহলে তাঁদেরও কি ITR পূরণ করা উচিত? বেতন আছে, কিন্তু আয় কম। কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাহলে ITR পূরণ করার প্রয়োজন কেন? সহজ কথায়, কর দিতে না হলেও ITR দাখিল করা সকলের জন্য একটি লাভজনক চুক্তি হতে পারে। এটিকে 'Nil ITR' বলা হয় এবং এর অনেক সুবিধা রয়েছে।
আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিলের সময় আসার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই তাড়াহুড়ো করে ফর্ম পূরণ শুরু করেন। যাঁরা কর দেন তাঁদের জন্য এটি প্রয়োজনীয়! কিন্তু এমন একটি বৃহৎ অংশ আছে যাঁদের আয় করের আওতায় আসে না। তাহলে তাঁদেরও কি ITR পূরণ করা উচিত? বেতন আছে, কিন্তু আয় কম। কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাহলে ITR পূরণ করার প্রয়োজন কেন? সহজ কথায়, কর দিতে না হলেও ITR দাখিল করা সকলের জন্য একটি লাভজনক চুক্তি হতে পারে। এটিকে 'Nil ITR' বলা হয় এবং এর অনেক সুবিধা রয়েছে।
advertisement
2/7
Nil ITR কী -যদি কারও বার্ষিক আয় এত কম হয় যে, এতে কর দিতে হয় না, তাহলে সেই ব্যক্তি Nil ITR দাখিল করতে পারেন। অর্থাৎ, এমন একটি রিটার্ন যেখানে দেখানো হয় যে, কোনও কর প্রদেয় নয়। এটি আইনত বাধ্যতামূলক নয়, তবে এর থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে যখন ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়া, ভিসার জন্য আবেদন করা বা কর ফেরত পাওয়ার মতো এমন কোনও বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
Nil ITR কী -যদি কারও বার্ষিক আয় এত কম হয় যে, এতে কর দিতে হয় না, তাহলে সেই ব্যক্তি Nil ITR দাখিল করতে পারেন। অর্থাৎ, এমন একটি রিটার্ন যেখানে দেখানো হয় যে, কোনও কর প্রদেয় নয়। এটি আইনত বাধ্যতামূলক নয়, তবে এর থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে যখন ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়া, ভিসার জন্য আবেদন করা বা কর ফেরত পাওয়ার মতো এমন কোনও বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
advertisement
3/7
শূন্য আইটিআর দাখিলের ৬টি বড় সুবিধা রয়েছে:১) ফেরত পাওয়া যেতে পারে:

অনেক সময় ব্যাঙ্ক সুদ বা ফ্রিল্যান্স পেমেন্টের উপর কর (টিডিএস) কেটে নেওয়া হয়ে থাকে। কেউ যদি আইটিআর না পূরণ করেন, তাহলে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। কেউ যদি আইটিআর দাখিল করেন, তাহলে সেটি ফেরতের দাবি করা যেতে পারে।

২) আর্থিক রেকর্ড শক্তিশালী হয়:

আইটিআর সকলের আর্থিক আচরণের এক ধরনের 'স্কোরকার্ড' হয়ে ওঠে। কেউ যখন ঋণ বা ভিসার জন্য আবেদন করেন, তখন ব্যাঙ্ক এবং দূতাবাসগুলি এটি দেখে।
শূন্য আইটিআর দাখিলের ৬টি বড় সুবিধা রয়েছে:১) ফেরত পাওয়া যেতে পারে:অনেক সময় ব্যাঙ্ক সুদ বা ফ্রিল্যান্স পেমেন্টের উপর কর (টিডিএস) কেটে নেওয়া হয়ে থাকে। কেউ যদি আইটিআর না পূরণ করেন, তাহলে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। কেউ যদি আইটিআর দাখিল করেন, তাহলে সেটি ফেরতের দাবি করা যেতে পারে।২) আর্থিক রেকর্ড শক্তিশালী হয়:আইটিআর সকলের আর্থিক আচরণের এক ধরনের 'স্কোরকার্ড' হয়ে ওঠে। কেউ যখন ঋণ বা ভিসার জন্য আবেদন করেন, তখন ব্যাঙ্ক এবং দূতাবাসগুলি এটি দেখে।
advertisement
4/7
৩) ভবিষ্যতের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ:যদি কেউ কোনও বছরে শেয়ার, সম্পত্তি বা ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হন, তাহলে তা আইটিআরে রেকর্ড করতে হবে। এতে ক্ষতি কমবে এবং ভবিষ্যতে লাভ করার সময় কম কর দিতে হবে।

৪) আয়ের প্রমাণ তৈরি করা হয়:

অনেক সময় যে কোনও আর্থিক কাজের জন্য (যেমন ঋণ নেওয়া, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া) আয়ের নথি প্রয়োজন হয়। আইটিআর সেই সময়ে আয়ের একটি নিশ্চিত প্রমাণ।
৩) ভবিষ্যতের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ:যদি কেউ কোনও বছরে শেয়ার, সম্পত্তি বা ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হন, তাহলে তা আইটিআরে রেকর্ড করতে হবে। এতে ক্ষতি কমবে এবং ভবিষ্যতে লাভ করার সময় কম কর দিতে হবে।৪) আয়ের প্রমাণ তৈরি করা হয়:অনেক সময় যে কোনও আর্থিক কাজের জন্য (যেমন ঋণ নেওয়া, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া) আয়ের নথি প্রয়োজন হয়। আইটিআর সেই সময়ে আয়ের একটি নিশ্চিত প্রমাণ।
advertisement
5/7
৫) আইনত সুরক্ষিত:কেউ করযোগ্য না হলেও ITR দাখিল করলে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে অবহিত করা হবে। এটি যে কোনও চিঠি, নোটিস বা অডিট থেকে রক্ষা করতে পারে।

৬) দেরিতে দাখিলের জন্য কোনও জরিমানা হবে না:

কেউ যদি শূন্য ITR দাখিল করেন এবং কোনও কর বকেয়া না থাকে, তাহলে দেরিতে দাখিলের জন্য কোনও জরিমানা হবে না। তবে সময়মতো দাখিল করা সর্বদা ভাল, যাতে রিফান্ড বা অন্যান্য সুবিধা দ্রুত পাওয়া যায়।
৫) আইনত সুরক্ষিত:কেউ করযোগ্য না হলেও ITR দাখিল করলে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে অবহিত করা হবে। এটি যে কোনও চিঠি, নোটিস বা অডিট থেকে রক্ষা করতে পারে।৬) দেরিতে দাখিলের জন্য কোনও জরিমানা হবে না:কেউ যদি শূন্য ITR দাখিল করেন এবং কোনও কর বকেয়া না থাকে, তাহলে দেরিতে দাখিলের জন্য কোনও জরিমানা হবে না। তবে সময়মতো দাখিল করা সর্বদা ভাল, যাতে রিফান্ড বা অন্যান্য সুবিধা দ্রুত পাওয়া যায়।
advertisement
6/7
আয়ের কত অংশ করযোগ্য নয় -আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিলের কথা বলার সময় প্রথমে নিজেদের আয় করযোগ্য আওতার মধ্যে আসে কি না তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য, সরকার একটি মৌলিক ছাড়ের সীমা নির্ধারণ করেছে, যার অর্থ যদি কারও বার্ষিক আয় এই নির্দিষ্ট সীমার কম হয়, তাহলে কর দিতে হবে না। এই সীমা বয়স এবং নির্বাচিত কর ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে - পুরাতন কর ব্যবস্থা বা নতুন কর ব্যবস্থা।
[caption id="attachment_2269235" align="alignnone" width="1200"] আয়ের কত অংশ করযোগ্য নয় -আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিলের কথা বলার সময় প্রথমে নিজেদের আয় করযোগ্য আওতার মধ্যে আসে কি না তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য, সরকার একটি মৌলিক ছাড়ের সীমা নির্ধারণ করেছে, যার অর্থ যদি কারও বার্ষিক আয় এই নির্দিষ্ট সীমার কম হয়, তাহলে কর দিতে হবে না। এই সীমা বয়স এবং নির্বাচিত কর ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে - পুরাতন কর ব্যবস্থা বা নতুন কর ব্যবস্থা।</dd> <dd>[/caption]
advertisement
7/7
কেউ যদি পুরাতন কর ব্যবস্থা বেছে নিয়ে থাকেন, তাহলে ৬০ বছরের কম বয়সীদের ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর দিতে হবে না। একই সঙ্গে, ৬০ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনও কর দিতে হয় না এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনও কর দিতে হয় না। অন্য দিকে, কেউ যদি নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নেন, তাহলে বয়স যা-ই হোক না কেন, সকলেই ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর ছাড় পাবেন। কখনও কখনও এমনও হয় যে, আয় এই সীমার চেয়ে একটু বেশি, কিন্তু কিছু ছাড় বা কর ছাড়ের কারণে কর প্রদেয় হয় না।তাই কর দিতে না হলেও আইটিআর ফাইল করা এখনও একটি বুদ্ধিমানের পদক্ষেপ। কারণ এটি রিফান্ড দাবি করতে, আর্থিক রেকর্ড বজায় রাখতে এবং ঋণ বা ভিসার মঞ্জুরি পেতে সহায়তা করে।
কেউ যদি পুরাতন কর ব্যবস্থা বেছে নিয়ে থাকেন, তাহলে ৬০ বছরের কম বয়সীদের ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর দিতে হবে না। একই সঙ্গে, ৬০ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনও কর দিতে হয় না এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনও কর দিতে হয় না। অন্য দিকে, কেউ যদি নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নেন, তাহলে বয়স যা-ই হোক না কেন, সকলেই ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর ছাড় পাবেন। কখনও কখনও এমনও হয় যে, আয় এই সীমার চেয়ে একটু বেশি, কিন্তু কিছু ছাড় বা কর ছাড়ের কারণে কর প্রদেয় হয় না।তাই কর দিতে না হলেও আইটিআর ফাইল করা এখনও একটি বুদ্ধিমানের পদক্ষেপ। কারণ এটি রিফান্ড দাবি করতে, আর্থিক রেকর্ড বজায় রাখতে এবং ঋণ বা ভিসার মঞ্জুরি পেতে সহায়তা করে।
advertisement
advertisement
advertisement