Business Ideas: পেঁপে চাষে কোটিপতি হওয়ার হাতছানি! এক বিঘা জমিতে ৩ লাখ টাকা লাভ, জানুন চাষের খুঁটিনাটি কৌশল

Last Updated:
Business Ideas: পেঁপে চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন কৃষকরা। কম খরচে বেশি লাভের এই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। জানুন পেঁপে চাষের সঠিক নিয়ম, মাটি, সেচ ও ফলনের পদ্ধতি।
1/6
পেঁপে চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন উপকূলীয় জেলার কৃষকরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের পুরুষোত্তমপুর ও কাশিপুর গ্রামের কৃষকরা পেঁপে চাষ করেই প্রচুর পরিমাণে ফল উৎপাদন করছেন। তাদের চাষের সাফল্য দেখে জেলার কৃষকরাও পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষকদের মতে, এই ফল চাষে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হলেও লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। চাইলে আপনিও পেঁপে চাষ করে লাভবান হতে পারেন। তবে পেঁপে চাষের ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
পেঁপে চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন উপকূলীয় জেলার কৃষকরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের পুরুষোত্তমপুর ও কাশিপুর গ্রামের কৃষকরা পেঁপে চাষ করেই প্রচুর পরিমাণে ফল উৎপাদন করছেন। তাদের চাষের সাফল্য দেখে জেলার কৃষকরাও পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষকদের মতে, এই ফল চাষে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হলেও লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। চাইলে আপনিও পেঁপে চাষ করে লাভবান হতে পারেন। তবে পেঁপে চাষের ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
2/6
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাণিজ্যিক ফল হিসেবে পেঁপে এখন অত্যন্ত জনপ্রিয়। কারণ, এটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল গাছ এবং মাত্র নয় মাসের মধ্যেই ফলন দিতে শুরু করে। এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করলে বছরে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল শরীরের জন্যও খুব উপকারি। তাই বাজারে পেঁপের চাহিদা সারা বছরই স্থিতিশীল থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাণিজ্যিক ফল হিসেবে পেঁপে এখন অত্যন্ত জনপ্রিয়। কারণ, এটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল গাছ এবং মাত্র নয় মাসের মধ্যেই ফলন দিতে শুরু করে। এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করলে বছরে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল শরীরের জন্যও খুব উপকারি। তাই বাজারে পেঁপের চাহিদা সারা বছরই স্থিতিশীল থাকে।
advertisement
3/6
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক সম্মান প্রাপ্ত এগরার কৃষি বিশেষজ্ঞ মাদল পালের মতে, পটাশপুরের কৃষকদের মতো যে কেউ চাইলে পেঁপে চাষ করে লাভবান হতে পারেন। বর্তমানে জেলার বহু কৃষকই এই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে পেঁপে চাষের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মানা জরুরি। সঠিক মাটি, সঠিক দূরত্বে চারা রোপণ এবং সঠিকভাবে সেচ দেওয়া—এই তিনটি দিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক সম্মান প্রাপ্ত এগরার কৃষি বিশেষজ্ঞ মাদল পালের মতে, পটাশপুরের কৃষকদের মতো যে কেউ চাইলে পেঁপে চাষ করে লাভবান হতে পারেন। বর্তমানে জেলার বহু কৃষকই এই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে পেঁপে চাষের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মানা জরুরি। সঠিক মাটি, সঠিক দূরত্বে চারা রোপণ এবং সঠিকভাবে সেচ দেওয়া—এই তিনটি দিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
4/6
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপে চাষের জন্য মূলত দোঁয়াশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে পটাশপুর ২ ব্লকের বেলে দোঁয়াশ মাটিতেও ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। জমিতে জল নিকাশের ব্যবস্থা ভাল রাখতে হবে, কারণ জমিতে জল জমলে গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সাধারণত রেড লেডি প্রজাতির বীজ বাণিজ্যিক চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো। চারা গাছ রোপনের দেড় মাস আগে থেকেই চারা প্রস্তুত করতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপে চাষের জন্য মূলত দোঁয়াশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে পটাশপুর ২ ব্লকের বেলে দোঁয়াশ মাটিতেও ভাল ফলন পাওয়া যাচ্ছে। জমিতে জল নিকাশের ব্যবস্থা ভালো রাখতে হবে, কারণ জমিতে জল জমলে গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সাধারণত রেড লেডি প্রজাতির বীজ বাণিজ্যিক চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো। চারা গাছ রোপনের দেড় মাস আগে থেকেই চারা প্রস্তুত করতে হয়।
advertisement
5/6
এক বিঘা জমিতে প্রায় সাত ফুট দূরত্বে প্রায় তিনশোটি চারা গাছ রোপণ করতে হয়। চারা লাগানোর সময় দুটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে গাছকে হেলান দিয়ে বাঁধা উচিত, যাতে ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ ভেঙে না যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপকূলীয় এলাকায় গাছগুলি উত্তরমুখীভাবে হেলানো অবস্থায় লাগানোই সবচেয়ে ভালো। শীতকালে ১০ থেকে ১৫ দিন অন্তর সেচ দিতে হয় এবং গ্রীষ্মকালে ৫ দিন অন্তর জল দেওয়া জরুরি।
এক বিঘা জমিতে প্রায় সাত ফুট দূরত্বে প্রায় তিনশোটি চারা গাছ রোপণ করতে হয়। চারা লাগানোর সময় দুটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে গাছকে হেলান দিয়ে বাঁধা উচিত, যাতে ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ ভেঙে না যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপকূলীয় এলাকায় গাছগুলি উত্তরমুখীভাবে হেলানো অবস্থায় লাগানোই সবচেয়ে ভালো। শীতকালে ১০ থেকে ১৫ দিন অন্তর সেচ দিতে হয় এবং গ্রীষ্মকালে ৫ দিন অন্তর জল দেওয়া জরুরি।
advertisement
6/6
গাছ রোপণের ৯ মাস পর থেকেই ফলন শুরু হয় এবং একটি গাছ থেকে প্রায় দু’বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এক একটি গাছ থেকে দু বছরে দেড় কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন সম্ভব। বর্তমান বাজারে পেঁপের দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। ফলে এক বিঘা জমি থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হতে পারে। পেঁপে চাষে জৈব সার ব্যবহার, সাদা মাছি ও লাল মাকড় দমন এবং নিয়মিত ছত্রাকনাশক প্রয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
গাছ রোপণের ৯ মাস পর থেকেই ফলন শুরু হয় এবং একটি গাছ থেকে প্রায় দু’বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এক একটি গাছ থেকে দু বছরে দেড় কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন সম্ভব। বর্তমান বাজারে পেঁপের দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। ফলে এক বিঘা জমি থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হতে পারে। পেঁপে চাষে জৈব সার ব্যবহার, সাদা মাছি ও লাল মাকড় দমন এবং নিয়মিত ছত্রাকনাশক প্রয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
advertisement
advertisement
advertisement