Bandhan Bank Q1 Results: নেট প্রফিটের পরিমাণ ৩৭২ কোটি, NII ২৭৫৭ কোটি টাকা, প্রথম ত্রৈমাসিকের ফলাফল ঘোষণা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
সম্প্রতি নিজেদের জুন ত্রৈমাসিকের (Q1) ফলাফল ঘোষণা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। জানানো হয়েছে যে, ব্যাঙ্কের নেট প্রফিট হয়েছে ৩৭২ কোটি টাকা। এটি অ্যানালিস্টদের দেওয়া পরিসংখ্যানের থেকে অনেকটাই বেশি।
সম্প্রতি নিজেদের জুন ত্রৈমাসিকের (Q1) ফলাফল ঘোষণা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। জানানো হয়েছে যে, নেট প্রফিট হয়েছে ৩৭২ কোটি টাকা। এটি অ্যানালিস্টদের দেওয়া পরিসংখ্যানের থেকে অনেকটাই বেশি। অ্যানালিস্টরা অনুমান করেছিলেন যে, ওই ত্রৈমাসিকে নেট প্রফিট হতে পারে ৩৫২ কোটি টাকা। গত বছরের জুন ত্রৈমাসিকে বন্ধন ব্যাঙ্কের নেট প্রফিট ছিল ১০৬৩ কোটি টাকা। ফলে ইয়ার-অন-ইয়ার নেট প্রফিটে পতন হয়েছে ৬৬.৮ শতাংশ।
advertisement
যদিও ক্রমিক ভিত্তিতে নেট প্রফিট ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিকে ৩১৮ কোটি টাকা নেট প্রফিট হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল ব্যাঙ্কের তরফে। এদিকে Q1FY26-এ ব্যাঙ্কের নেট ইন্টারেস্ট ইনকাম (এনআইআই) ছিল ২৭৫৭ কোটি টাকা। ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া থেকে অর্জিত সুদ এবং ডিপোজিটরদের প্রদত্ত সুদের মধ্যে পার্থক্য হল এনআইআই। গত বছরের আগের ত্রৈমাসিকে এনআইআই ছিল ৩০৫৫ কোটি টাকা। ফলে ইয়ার অন ইয়ার বেসিসে পতন হয়েছে ৯.৭ শতাংশ। আবার কোয়ার্টার-অন-কোয়ার্টার বেসিসে এনআইআই ফ্ল্যাট থেকে গিয়েছে।
advertisement
advertisement
বন্ধন ব্যাঙ্কের স্লিপেজ বা ঋণের পতন Q4FY25-এ ১৭৫০ কোটি থেকে কমে ১৫৫০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ক্রমিক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের অ্যাসেট কোয়ালিটি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তবে Q1FY26-এ গ্রস এনপিএ (জিএনপিএ) বেড়ে হয়েছে ৬৬২০ কোটি টাকা। যা Q4FY25-এ ছিল ৬৪৪০ কোটি টাকা এবং Q3FY25-এ ছিল ৬১৮০ কোটি টাকা। ফলে এই নিয়ে GNPA টানা পাঁচ বার বৃদ্ধি পেল। যা অ্যাসেট কোয়ালিটির উপর ক্রমাগত চাপ ইঙ্গিত করছে। Q4FY25-এ নেট এনপিএ (এনএনপিএ) Q4FY25-এ ১৬৯০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭৪০ কোটি টাকা।
advertisement
বন্ধন ব্যাঙ্কের শেয়ার প্রাইস ট্রেন্ড: সাম্প্রতিক কিছু মাসে শেয়ারের ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন দেখা গিয়েছে। চলতি মাস-সহ শেষ ৫ মাসে ৩২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদি পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে এই স্টকটি চাপের মধ্যেই রয়েছে। কারণ ব্যাঙ্কটি দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাসেট কোয়ালিটি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে, যার ফলে এর রিটার্ন অন অ্যাসেটস (RoA)-এ তীব্র অবনতি ঘটেছে। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৭৪১ টাকায় পৌঁছনোর পর শেয়ারগুলি আর কখনও সেই স্তরের কাছাকাছি পৌঁছায়নি। আসলে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে শেয়ারটি ৩০০ টাকার গণ্ডি অতিক্রম করেনি।