EPFO থেকে পেনশন তুলতে হলে বয়স কত হওয়া দরকার? এই নিয়ম না জানলে সমস্যায় পড়তে হবে
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending-desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
EPFO Pension: এখানে আকর্ষণীয় হারে রিটার্ন দেওয়া হয়, যা ব্যাঙ্কে প্রদত্ত হারের চেয়ে অনেক বেশি।
বিনিয়োগ করতে চাইছেন, অথচ স্বভাব বা স্বল্প বেতনের কারণে সম্ভব হয়ে উঠছে না, এমন অনেকেই রয়েছেন। তাঁদের জন্যই আদর্শ EPFO। কোনও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের বেতন থেকে একটি অংশ বাধ্যতামূলক ভাবে কেটে জমা রাখা হয় EPF-এ। কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ এখানে জমা করেন। EPF-এর মূল উদ্দেশ্য হল কর্মচারীদের অবসর জীবনের জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে সাহায্য করা। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যান্ড মিসলেনিয়াস অ্যাক্ট, ১৯৫২ অনুযায়ী এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) এই তহবিল পরিচালনা করে।
advertisement
এখানে আকর্ষণীয় হারে রিটার্ন দেওয়া হয়, যা ব্যাঙ্কে প্রদত্ত হারের চেয়ে অনেক বেশি। ন্যূনতম অবদানের চেয়ে বেশি অর্থও কোনও কর্মচারী জমা করতে পারেন। তখন তাকে ভলান্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ড বলা হয়। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় এতে ছাড় পাওয়া যায়। বর্তমানে এখানে সুদ জমা করা হচ্ছে ৮.৩৩ শতাংশ হারে। এর ভিত্তিতে পেনশনের পরিমাণ প্রস্তুত করা হয়। তবে পেনশন গ্রহণ ও উত্তোলনের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।
advertisement
EPFO নিয়ম বলছে যে, কোনও ব্যক্তির যদি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে PF অ্যাকাউন্ট থাকে তবেই তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য। তবে পেনশনের টাকার জন্য আবেদন করতে হলে তাঁর বয়স ৫০ বছরের বেশি হতে হবে। অবশ্য, ৫০ বছর বয়সেই আবেদন করতে হবে এমনটা নয়। কেউ চাইলে ৫৮ বছর বয়সের পরেও পেনশনের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে সুদের হার কিছুটা কম হবে। আর ব্যক্তির বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে ৮ শতাংশ হারে পেনশন পাবেন।
advertisement
advertisement
এই বিষয়গুলি সহজ করে বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দেখা যাক। ধরা যাক একজন ব্যক্তির বয়স এখন ২৩ বছর। তিনি ৫৮ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করবেন। সেক্ষেত্রে তাঁর কাজের সময়কাল ৩৫ বছর। সুতরাং কাজের সময় বেশি হলে পেনশনের পরিমাণও স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী কিছুটা বাড়বে। তবে কেউ যদি অগ্রিম পেনশন পেতে চান, তাহলে তাঁর সুদের হার অনেক কমে যাবে।