AI খেয়ে নেবে চাকরি! কাজ হারাতে পারেন ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার ৭% মানুষ! বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে উদ্বেগ! কারা নিরাপদ? কাদের যেতে পারে কাজ?
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব ব্যাঙ্কও। ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার মোট ছ'টি দেশে সাত শতাংশ মানুষের চাকরি খেয়ে নেবে এআই।
আগামী ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে প্রভাব ফেলতে চলেছে কৃত্রিম মেধা বা এআই। বিশ্বজুড়েই চাকরির বাজারে এর প্রভাব পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল। এবার সেই আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব ব্যাঙ্কও।
advertisement
এশিয়ার মোট ছ'টি দেশে সাত শতাংশ মানুষের চাকরি খেয়ে নেবে এআই।মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এআই ঢুকে পড়াতেই চাকরি ক্ষেত্রে ঘনিয়েছে আশঙ্কার মেঘ। কারণ, এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র যন্ত্রের মতন কাজ করে না, পাশাপাশি মানুষের মতন মাথা খাটানোরও চেষ্টা করে। ফলে পাওয়ারপয়েন্ট হোক বা কোনও তথ্য খুঁজে দেওয়া বুদ্ধিমত্তার উপর এই প্রবণতা শ্রমবাজারে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে।
advertisement
সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্ক একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে। রিপোর্টের নাম 'সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট, জবস, এআই অ্যান্ড ট্রেন্ড'। মূলত, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কা- এই ছ'টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এআই-য়ের ফলে মূলত ব্যবসায়িক সংস্থা এবং তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে মাঝারি বা অল্প শিক্ষিত এবং তরুণ কর্মীরাই সবথেকে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়বেন। অর্থাৎ, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবস্থার কারণে বিশ্বের উন্নয়নশীল অর্থনীতির ১৫ শতাংশ চাকরি রাতারাতি উবে যাবে।
advertisement
মূলত শ্রমবাজারে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি 'জেনারেটিভ এআই' বহুদিন ধরেই কাজ কমিয়ে দিচ্ছে ফলে ছোট হয়ে আসছে বাজার। এই ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি হল এক ধরনের জেনারেটিভ এআই।মূলত, আগে যখন নিবন্ধ লেখা হত, তখন গুগল সার্চ ইঞ্জিন সেই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সামনে এনে দিত। কোনটা কাজের বা কোনটা কাজের নয়- মানুষ নিজেই তা ঝেড়েবেছে নিয়েছে।
advertisement
কিন্তু, এখন এআইতে চ্যাটজিপিটি নিজেই নিবন্ধ লিখে দিচ্ছে। ফলে, কমে যাচ্ছে কাজ। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উচ্চ আয়ের বা অধিক দক্ষতার চাকরি যারা করেন তাঁদের পক্ষ হারানোর সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে, নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের চাকরি যাওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম। অন্যদিকে অভিজ্ঞতার দামও রয়েছে। ফলে, যাদের অভিজ্ঞতা বেশি তাঁদের থেকে কম অভিজ্ঞতাপূর্ণ অল্পবয়সীদেরই চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।