200 Rupee Note: ২০০ টাকার নোট...! বিরাট আপডেট দিয়ে দিল আরবিআই, নতুন বছরে 'বড়' ঘোষণা?

বর্তমানে ভারতে সর্বোচ্চ মূল্যের কারেন্সি নোট হল ৫০০ টাকা। ২০০০ টাকার নোট বাতিলের পর থেকেই এই নিয়ে কিছুটা সমস্যা বাড়ে ব্যবসায়িক ও আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে। সর্বাধিক ব্যবহৃত নোটগুলির মধ্যে রয়েছে ২০০ ও ৫০০ টাকার নোট।

কিন্তু সরকার সূত্রে খবর এই ২০০ টাকার নোট নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ। দেশে জাল নোটের প্রচলন আবারও গতি পাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) প্রচলন থেকে ২,০০০ টাকার উচ্চ মূল্যের নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করার পরে, প্রতারকরা দেশে ১০০, ২০০ এবং ৫০০ টাকার জাল নোটের সরবরাহ বাড়িয়েছে।

প্রায় ৯ বছর আগে, জাল নোটের প্রবণতা বন্ধ করতে এবং বিদেশে লুকিয়ে থাকা কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে, কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ করেই ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো বড় নোটগুলি তুলে নিয়েছিল, কিন্তু তারপরেও জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে উত্তরোত্তর।

জাল ২০০ টাকার নোট: দেশে ফের জাল নোটের বাজার সরগরম। বিহারের বাজারে চলছে ৫০০ টাকার জাল নোট, এখন ২০০ টাকার জাল নোটও বাজারে এসেছে। বাজার থেকে জাল নোটের প্রচলন দূর করার জন্য, সরকার ২০১৬ সালে প্রায় ৯ বছর আগে হঠাৎ করে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেছিল।

দুটি বড় নোট হঠাৎ করেই প্রচলন থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরে গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল, তারপর RBI ২০০০, ৫০০, ২০০ এবং ১০০ টাকার নতুন নোট জারি করেছিল। ২০২৩ সালে ২০০০ টাকার নোট প্রচলন থেকে সরে যায়। কিন্তু এবার আসছে একের পর এক সতর্কবাণী। ৫০০ এবং ২০০ টাকার অবশিষ্ট জাল নোটগুলি আবার বাজারে ঘুরছে।

বাজারে এসেছে ২০০ টাকার জাল নোট:
সর্বভারতীয় দৈনিক এশিয়া নেট-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তেলেঙ্গানার নির্মল জেলায় ২০০ টাকার জাল নোট আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ব্যবসায়ীরা এসব নোট নিতে ভয় পাচ্ছেন এবং লেনদেনে সতর্ক হচ্ছেন।

জাল নোট দেখতে হুবহু আসল নোটের মতো, যার কারণে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে অহরহ। এ নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। তোলপাড় পরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অনেকেই তাদের কাছে থাকা ২০০ টাকার নোট নিয়ে ভাবছেন আদৌ সেগুলি আসল কিনা। নানারকম খবরে ভয় পেয়ে অনেকে বাড়িতে গিয়ে চেক করছেন তাদের কাছে কতগুলি নোট আছে।

তবে এক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে, গুজব না ছড়িয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। । আগে জেনে নিন ঠিক কী ঘটেছে আর কী ভাবেই বা সতর্ক হবেন আপনি।

২০০ টাকার জাল নোট নির্বিচারে ছাপা হচ্ছে:
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাল নোট বন্ধ করতে এবং বিদেশী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে ৮ নভেম্বর ২০১৬-এ রাত ৮ টায় নোট বাতিল ঘোষণা করেছিলেন।

কিন্তু, বিমুদ্রাকরণের পরেও সরকারের উদ্দেশ্য অর্জিত হচ্ছে না। প্রতারকরা আরবিআই জারি করা ৫০০ এবং ২০০ টাকার নোটও নকল করছে। ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় ৫০০ টাকার জাল নোট পাওয়া গিয়েছে। এখন ২০০ টাকার জাল নোটও নির্বিচারে ছাপা হচ্ছে।

২০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়ছে একাধিক জায়গায়:
সর্বভারতীয় দৈনিকের রিপোর্ট অনুসারে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) থেকে সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, “জাল ২০০ টাকার নোটের সংখ্যায় উদ্বেগজনক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। "২০১৯-২০ অর্থবছরে, ২০০ টাকার ৩১,৯৬৯ টি জাল নোট শনাক্ত করা হয়েছিল, যেখানে ২০১৮-১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২,৭২৮, যা ১৫১% বৃদ্ধি দেখাচ্ছে।"

তেলেঙ্গানায় ২০০ টাকার জাল নোটের প্রচলন বাড়ছে:
তেলেঙ্গানার নির্মল জেলায় সম্প্রতি ২০০ টাকার জাল নোটের প্রচলন বেড়েছে, যার কারণে ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় লোকজন সতর্ক হয়ে উঠেছেন এলাকায়। জাল নোট শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে কারণ সেগুলি দেখতে আসল নোটের মতো, যার কারণে ব্যবসায়ীরা লেনদেনে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

জাল নোট শনাক্ত করতে তথ্য দিল RBI
দেবনাগরীতে '২০০': আসল নোটে '২০০' লেখা আছে দেবনাগরী লিপিতে।
মহাত্মা গান্ধীর ছবি: নোটের মাঝখানে মহাত্মা গান্ধীর একটি পরিষ্কার ছবি ছাপা হয়েছে।
মাইক্রো লেটারিং: নোটে মাইক্রো অক্ষরে 'আরবিআই', 'ভারত', 'ইন্ডিয়া' এবং '২০০' লেখা আছে।

নিরাপত্তা থ্রেড: নোটটিতে একটি সুরক্ষা থ্রেড রয়েছে যার উপরে 'ভারত' এবং 'আরবিআই' লেখা রয়েছে।
অশোক স্তম্ভ: নোটের ডানদিকে অশোক স্তম্ভের প্রতীক রয়েছে

২০০ টাকার জাল নোট নিয়ে আরবিআইয়ের আবেদন:
জাল ২০০ টাকার নোটের ক্রমবর্ধমান প্রসারের পরিপ্রেক্ষিতে, আরবিআই জনসাধারণকে লেনদেনের সময় সতর্ক থাকার এবং সঠিকভাবে পরীক্ষা করার জন্য আবেদন করেছে। কেউ জাল নোট পেলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান।