Tulsi Vastu Tips: বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে 'এই' ২ ভুল জীবনে করবেন না, ঘটি-বাটি বিক্রি হয়ে যাবে, পথের ভিখারি হবেন

*ভারতীয় বাড়িতে, তুলসী গাছ পবিত্রতার প্রতীক। এটি কেবল একটি ধর্মীয় রীতি নয়, বরং বিশ্বাস, ভক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীকও। বিশ্বাস করা হয়, যে বাড়িতে তুলসী থাকে, সেখানে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা এবং ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ সর্বদা থাকে। সেই কারণেই প্রতিটি বাড়ির উঠোন, বারান্দা বা ছাদে তুলসী গাছ লাগানো হয়।

*তবে, কেবল তুলসী গাছ লাগানো যথেষ্ট নয়; কিছু নির্দিষ্ট রীতিনীতি এবং নিয়ম মেনে চললে, শান্তি, সুখ, ইতিবাচক শক্তি এবং সম্পদ সর্বদা ঘরে থাকবে।

*প্রতিদিন তুলসী গাছে জল দেওয়া খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। সকালে স্নান করে তুলসী গাছের চারপাশে জল ঢেলে দিলে ঘরের পরিবেশ বিশুদ্ধ হবে। নিয়মিত গাছে জল দিলে তা সবুজ হয়ে উঠবে। এতে পরিবারের সদস্যদের মানসিক শান্তি আসবে। বিশেষ করে যদি ঘরে সম্পদ স্থিতিশীল থাকে, তাহলে প্রতিদিন জল দেওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

*রবিবার এবং একাদশীতে তুলসী স্পর্শ করা উচিত নয়। এই দিনগুলি বিশেষ। রবিবার সূর্যকে উৎসর্গ করা হয় এবং একাদশী বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনগুলিতে তুলসী গাছের পাতা স্পর্শ করা, জল দেওয়া বা কাটা দেবতার অপমান বলে মনে করা হয়। তাই, এই দু'দিনে কেবল তুলসী গাছের কাছেই পুজো করা উচিত, তবে গাছটিকে স্পর্শ করা উচিত নয়।

*তুলসী গাছের কুঁড়ি (ফুল) অপসারণ করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। গাছটি যদি বেশি ফুল দেয়, তবে পুজোয় এর শক্তি কম কার্যকর হয়। যদি শুকনো কুঁড়ি নিয়মিত অপসারণ করা হয়, তবে গাছটি দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ থাকবে। এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ঘরে ইতিবাচক পরিবেশ বৃদ্ধি করে।

*তুলসী গাছের কাছে শিব লিঙ্গ রাখবেন না। শাস্ত্র অনুসারে, তুলসীকে দেবী লক্ষ্মীর একটি রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য। কিন্তু শিব পুজোয় তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয় না। তাই, শিব লিঙ্গের কাছে তুলসী গাছ রাখা বাস্তু দোষের কারণ বলে মনে করা হয়।

*শুক্রবার তুলসীকে দুধ নিবেদন করা খুবই শুভ। শুক্রবার দেবী লক্ষ্মীর দিন। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে দুধ ঢাললে ঘরের আর্থিক সমস্যা দূর হবে এবং সমৃদ্ধি আসবে। পরিবারে চাঁদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এটা বিশ্বাস করা হয় ঘরে সম্পদ স্থিতিশীল থাকে এবং কখনও খালি থাকে না।

*ঘরে তুলসী গাছ লাগানো একটি পবিত্র প্রথা। তবে এর শক্তি তখনই কার্যকর হবে যদি এর সাথে সম্পর্কিত নিয়মগুলি অনুসরণ করা হয়। যদি জল দেওয়া, কুঁড়ি তোলা, বিশেষ দিনে স্পর্শ না করা এবং দুধ দেওয়া ইত্যাদি আচার নিয়মিত করা হয়, তাহলে ঘরে শান্তি, সুখ, ইতিবাচক শক্তি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা সর্বদা বজায় থাকবে। (অস্বীকৃতি: এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ অনুমানের উপর ভিত্তি করে। News18 বাংলা এটি যাচাই করেনি। এগুলি বাস্তবায়নের আগে অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করুন)