Shanivar ke Totke: শনির ঢাইয়া-সাড়ে সাতি জীবনকে নরক করে তুলেছে! এই তরল অর্পণ করুন মহাদশার মহাচাপ থেকে সহজেই মুক্তি আসবে

শনিবার গ্রহরাজ শনিদেবের আরাধনার দিন ৷ গ্রহরাজ শনিদেব ন্যায়ের দেবতা কর্মের অনুসারে ফল প্রদান করেন তিনি ৷ প্রতীকী ছবি ৷

যদি শনি মহারাজ কারোর উপরে সন্তুষ্ট হন তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে ৷ কিন্তু যে ব্যক্তি শনির মহাদশার মহাচাপে আছেন তাঁদের শনিকে প্রসন্ন করতে বিভিন্ন রকমের উপায় অবলম্বন করতে হয় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

শনিবার শনির সামনে সরষের তেল শনি মন্দিরে অর্পিত করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

শাস্ত্রমতে উল্লিখিত আছে শনিবার সরষের তেল অর্পিত করলে শনির ঢাইয়া ও সাড়ে সাতির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ৷ প্রতীকী ছবি ৷

শনিদেবের মূর্তির সামনে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালালে তা অত্যন্ত শুভ হয়ে থাকে ৷ অনেক মানুষ মনে করেন আসলে শনিদেবকে সরষের তেল অর্পিত কেন করা হয়? প্রতীকী ছবি ৷

কবে থেকেই বা এই প্রথার প্রচলন রয়েছে ৷ এর পিছনে পৌরাণিক কাহিনিও রয়েছে ৷ সেটিই আজ জেনে নেওয়া যায় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

রামায়ণে বর্ণিত আছে লঙ্কার অধিপতি রাবণ অপার শক্তিতে শনিদেবকে আটকে রেখেছিলেন ৷ কিন্তু সীতার হরণের পরে যখন শ্রীরামচন্দ্রের আদেশে হনুমান লঙ্কায় পৌঁছেছিলেন ৷ প্রতীকী ছবি ৷

সেই খানে শনিদেবের প্রার্থনার কারণেই বজরঙ্গবলি মুক্তি করেছিলেন রাবণের কয়েদ থেকে শনিদেবকে ৷ এবং লঙ্কা থেকে অনেক দূরে শনিদেবকে তুলে ফেলছিলেন যেখানে রাবণ কোনও ভাবেই পৌঁছতে পারবেনা ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এই ভাবে পড়ে গিয়ে শনিদেবের চোট লেগেছিল অনেক ৷ সেই সময়ে কষ্ট কমানোর জন্য বজরঙ্গবলি সরষের তেল মালিশ করে দিয়েছিলেন ৷ এতে ব্যথা যন্ত্রণা অনেকটাই কমেছিল ৷ প্রতীকী ছবি ৷

বজরঙ্গবলির উপর শনিদেব অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছিলেন তাই তিনি পবনপুত্র হনুমানকে সঙ্কটমোচক বলেছিলেন ৷ প্রতীকী ছবি ৷

শনিদেব তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে শনিদেবকে সরষের তেল অর্পিত করবে তাঁর মঙ্গল হবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এই কারণেই শনিবার শনিদবকে সরষের তেল অর্পিত করেন অনেকেই ৷ এতে বাধা বিপত্তি ও মহাদশার কষ্টের বিনাশ হয় ৷ জীবন আরও সুন্দর হয় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

Disclaimer: উপরোক্ত তথ্যগুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য করেনা নিজের বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন ৷ প্রতীকী ছবি ৷